সরকার একদিকে তথ্য অধিকার আইন পাস করবে, অন্য দিকে তথ্য প্রবাহের টুটি চেপে ধরবে, তা তো হতে পারে না।
আজ পত্রিকায় পড়লাম টেরেস্ট্রিয়াল টেলিভিশন সম্প্রচার সুবিধা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ নামে একটি জঘন্য আইনের কথা। এই আইন সম্পর্কে একটি কথা পরিস্কার হওয়া দরকার।
দেশে একমাত্র টেরেস্ট্রিয়াল সুবিধা আছে বিটিভির। বিটিভির নিজস্ব অর্থায়নে এই সুবিধা তৈরি হয়েছে। গত আওয়ামী সরকারের সময় বিটিভির এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সুবিধা পেয়েছিল একুশে টিভি। পরে বিএনপি সরকার এলে আমরা জানতে পারি, অবৈধভাবে একুশে টিভিকে এই সুবিধা দেয়া হয়েছিল। তবে তাদের লাইসেন্স জটিলতার সুযোগ নিয়ে বিএনপি একুশে টিভি বন্ধ করে দেয়। আইনী লড়াই শেষে একুশে টিভি বর্তমানে সম্প্রচারে। কিন্তু তাদের টেরেস্ট্রিয়াল সম্প্রচার সুবিধা আর ফিরে পায় নি।
বিটিভির টেরেস্ট্রিয়াল সুবিধা তাদের নিজের। সেটা অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন কি না এটা তাদের একান্ত ব্যাপার। তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখেন।
কিন্তু কোন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল নিজস্ব অর্থায়নে টেরেস্ট্রিয়াল সুবিধা নিতে পারবেন না বলে আইনে যদি কোন ধারা থাকে সেটা মহা অন্যায়। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমাদের বেসরকারী টেলিভিশনের সম্প্রচার সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। যে কোন টিভি দর্শক ডিস সংযোগ নিয়ে বেসরকারী টিভি দেখতে পারছেন। সুদূর আমেরিকা, বিট্রেন, মধ্যপ্রাচ্যের দর্শকারা এসব টিভি দেখতে পারছেন। দেখতে পারছেন আমাদের গাঁয়ের মানুয। যে সব এলাকায় ডিস ব্যবসা নাই সে সব এলাকার দর্শকরা এখনও বিটিভির বস্তাপচা অনুষ্ঠান দেখেন। তাদের কোন উপায় নাই।
বেসরকারী টিভিগুলো যদি মনে করে টেরেস্টিয়াল সুবিধা সৃষ্টি করলে তাদের ব্যবসার জন্য সুবিধা হবে, তবে তারা সেটা করতে পারে। কিন্তু কেউ বিনিয়োগ করার সামর্থ্য রাখলেও টেরেস্টিয়াল সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না - এই রকম আইন অন্যায্য। তথ্য প্রবাহের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে এমন যে কোন আইনই কালা-কানুন।
আরেকটি কথা, যে আওয়ামী লীগ বিটিভির টেরেস্ট্রিয়াল সুবিধা বেসরকারী টিভিকে দিয়েছিল, সেই আওয়ামী লীগই এখন কোন টিভি এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না বলছে। এটা চরম স্ববিরোধিতা। এই রকম চরম স্ব বিরোধিতার নিন্দা জানাই।
আসেন, আমরা এই অন্যায্য আইনের প্রতিবাদ করি।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





