দেশে আরও কিছু টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেবে সরকার। ভালো খবর। কিন্তু লাভ কী ?
দেশে এখন ১১টি টিভি চ্যানেল, তবে একটা আরেকটার নকল। সবগুলি খিচুড়ি মার্কা চ্যানেল। নাটক, টক শো, সংবাদ, সিরিয়াল, ম্যাগাজিন ও অধুনা শুরু হওয়া রিয়েলিটি শো - এসব কিছুই আছে আমাদের চ্যানেলগুলোতে।
রিয়েলিটি শোগুলো সবই নকল। ভারতীয় চ্যানেলগুলো থেকে সরাসরি নকল করে নির্মিত হচ্ছে একাধিক অনুষ্ঠান। এক্ষেত্রে টিভি চ্যানেলগুলো ভারতীয় জি-বাংলা ও ইটিভিকে গুরু মনে করে। ওদের অনুষ্ঠানগুলো থেকে নির্দ্বিধায় নকল করা হয়। এ রকম নকল অনুষ্ঠান হল, ম্যারিডিয়ান ক্ষুদে গান রাজ, ক্লোজ আপ ওয়ান ইত্যাদি।
তাছাড়া একটি চ্যানেলে কোন অনুষ্ঠান জনপ্রিয় হলে অন্য চ্যানেলগুলো সেই আইডিয়া নকল করে প্রোগ্রাম বানাতে থাকে। যেমন : বাংলাদেশের প্রথম টিভি চ্যানেল ইটিভির সকল অনুষ্ঠান নকল করা হয়েছে দেদারসে। তাদের নিউজ, টক শো থেকে শুরু করে সব কিছুই পরবর্তীতে অনুসরণ করে গেছে অন্য টিভিগুলো।
ফলে টিভি চ্যানেল সংখ্যায় বাড়লেও বৈচিত্র্যে বাড়েনি। টিভির লোগো খেয়াল না করলে সব টিভিকে একই রকম মনে হয়। সবগুলো চ্যানেল খিচুড়ি মার্কা। নকলে ভরপুর।
বরং আমাদের দেশে চালু হতে পারত বিষয়ভিত্তিক টিভি চ্যানেল।
যেমন জি-সিনেমা, স্টার মুভিজ বা এইচবিওর মতো সিনেমাভিত্তিক চ্যানেল, বিবিসি, সিএনএন এর মতো নিউজভিত্তিক চ্যানেল, এমটিভির মতো মিউজিকভিত্তিক চ্যানেল, জি-টিভি বা স্টার প্লাসের মতো নাটক বা সিরিয়ালভিত্তিক চ্যানেল, টেনস্পোর্টস বা ইএসপিএন এর মতো স্পোর্টস চ্যানেল, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতো পরিবেশভিত্তিক চ্যানেল এবং কার্টুন টিভি চ্যানেল । কিন্তু কেন যেন সেটা হয় নি। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের টেলিভিশন সংশ্লিষ্ট লোকজনের নকল প্রবণতা এ জন্য দায়ী।
আমাদের দেশে বিষয়ভিত্তিক কেবল একটি চ্যানেল আছে , সেটা ইসলামিক টিভি।
আমার মনে হয়, এখন বিষয়ভিত্তিক চ্যানেল অনুমোদন দেয়ার সময় এসেছে। সেই টিভিগুলো আর খিচুড়ি হবে না, একটি নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক টিভি চ্যানেল হবে।
আর সরকার নাকি নীতিমালাও করবে। সেই নীতিমালায় অবশ্যই একটা কঠোর নীতি থাকা দরকার। কোন দেশী বা বিদেশী চ্যানেল থেকে অনুকরণ করে নকল অনুষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। সেটা বেআইনী। তবেই ভবিষ্যতে টিভি চ্যানেলগুলোর মান বাড়বে এবং সৃজনশীল অনুষ্ঠান দেখতে পাবে দর্শক।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





