পেশা জীবীদের কর্ম স্থল পরিবর্তন করেন না এমন লোকের সংখ্যা আমার মনে হয় নাই বললেই চলে। বর্তমান মুক্তবাজার অর্থনীতিতে নিজের বাজার মুল্য কত তা পরখ করা জরুরি বৈকি। এতে নিজের আত্নবিশ্বাস বাড়ানো যায়। আবার খোলা প্রতিযোগিতায় দুর্বলতা গুলোও চিহ্নিত করে পরবর্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করে।
নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার আগে এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে নতুন কর্মস্থল পুরানোটার মত হবে না। এক্ষেত্রে প্রথম হল আপনার মানিয়ে নেওয়া। প্রশ্ন হল কতটুকু মানিয়ে নিতে পারবেন!। সবচাইতে বড় সমস্যা হল মধ্যম পর্যায়ের চাকুরির ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে যা হয় আপনার উপরওয়ালার প্রত্যাশা থাকবে আপনি নতুন ভাবে কিছু আনবেন যা তার কাজ কে সহজ করবে কিন্তু উনার করা কোন কিছুই আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনি যত ভাল কিছুই দিন না কেন উপর ওয়ালার প্রশ্ন হল পুরানোতে ও সমস্যা নাই।
আপনার নিচের দিক থেকে সমস্যা হল তারা আপনাকে বস হিসাবে কতটুকু নিতে পারে। সব থেকে বড় সমস্যা হল তারা যদি জোট বদ্ধ হয়ে কিছু করে। এটা শুনতে খারাপ শুনালে ও বাস্তবতা হল আমাদের জাতিগত কিছু সমস্যা আছে। বলা বাহুল্য এটা নির্ভর করে সামগ্রিক পরিবেশের উপর। মানুষের স্বভাব হল রক্ষনাত্ত্বক। পুরানোকে ছাড়তে চাইবে না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু কর্মশৈলি আছে। প্রত্যেকের অভিরুচিকে সম্মান জানিয়ে বলছি একটা একক ধারা “unique format” “টিমে” আনার জন্য কার ও না কার ও টা বিসর্জন দিতেই হয়। সেক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়। আর একটা সমস্যা হল পুর্বের চাইতে যদি তাদের বেশি কিছু কাজ করতে হয়।
এই সব সমস্যা হল জন্মিলে মরিতে হইবে এরখম সত্য। এক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে শৃঙ্খলা “chain of command” যাতে না ভাঙ্গে। যা কিছুই হোক না কেন আপনার উপর ওয়ালার কাছ থেকে আদায় করবেন নিজের কতৃত্ব আপনার জুনিয়রদের উপর। আমি বলছি না "force" দিবেন কিনবা জোরপুর্বক কিছু করতে। প্রেরনা এবং প্ররোনোদনার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম খাটে না। নিজেকে শক্ত রাখতে হবে “উদ্দেশ্যের” প্রতি। সময়ে মন্তর কিনবা ত্বড়িত কিছু করতে হবে। সবার চেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে নিজের কাজের একাগ্রতা। যা নিচের দিকের কাছে উদাহরণ হিসেবে থাকবে। আর উপরওয়ালা পাবে আস্থা রাখার কারন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



