আমরা আর কত প্রতারণা করব, কত প্রতারণা সহ্য করব। ঘেন্নায় আয়নায় নিজের মুখ দেখতে লজ্জা লাগে। পুরনো কথা রেল মন্ত্রির সাঙ্গ পাঙ্গরা টাকা নিয়ে হাতে নাতে ধরা পরেছেন। অপেক্ষাকৃত নতুন হল এক সপ্তাহের তাল বাহানার পর মন্ত্রি পদত্যাগ করেছেন ৩রা বৈশাখ ১৪১৯ বঙ্গাব্দ বেলা ১টা ১৫ মিনিটে। উনার মন্ত্রিত্ব কাল ছিল ১৪১ দিন। এর পর বিরতি। হ্যাঁ দীর্ঘ ১,৬৬৫ মিনিটের (প্রায় ১০ সহস্র সেকেন্ড) দীর্ঘ বিরতিতে উনি কি করেছেন আমরা জানি না। ৪ঠা বৈশাখ সন্ধ্যা-রাত ৯ ঘটিকায় উনি আবার সদর্পে বীরের বেশে ফিরে এলেন মন্ত্রীসভায়। উনাকে ফিরিয়ে এনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার হারানো গৌরভ (স্বতিত্ব) পূনরুদ্ধার করলেন। (অনেকটা গ্রীক দেবী দেবতার সাথে রাতে মিলনের পর নদীতে গোসল করলে স্বতিত্ব যে ভাবে ফিরে পেতেন) মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর এহেন সাহসী, সময়োচিত পদক্ষেপ অবশ্যই মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে অভিনন্দিত করা উচিত। একটা সংবর্ধনার আয়োজন আশা করা মোটেও অযাচিত হবে না। আর বর্ষীয়ান নেতা পুনঃরায় পদ ফিরে পাওয়াতে আগামী বছর থেকে "মন্ত্রীসভায় প্রত্যাবর্তন দিবস" হিসাবে পালন করতে পারে। আমরা উনাকে বেশী দিন দপ্তর বিহীন মন্ত্রী দেখতে চাই না। আশা করি উনাকে যোগ্য পদে দায়িত্ব দেবেন খুব শিগ্রই, যাতে পুনঃরায় আরও গোপনীয়তার সাথে কাজ করতে পারেন।
আমাদের এই প্রতারণা কার সাথে? কার স্বার্থে? মনে হচ্ছে আমরাই আমাদেরকে পাহারা দেওয়ার জন্য পিশাচ/ নেকড়ে নিয়োগ করেছি।
গতকালের প্রথম আলোর খোলা কলামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও অধ্যাপক ড, সাইফুদ্দীন চৌধুরীর প্রকাশের কিছু অংশের উদৃতি দেওয়াটা সমিচিন মনে করছি। উনি ও ইতিহাস থেকে উদৃতি দিয়েছেন এভাবে "প্রাচীন ধ্রুপদী সাহিত্য ঐতরেয় আরণ্যক, ঐতরেয় ব্রাহ্মণ, মহাভারত, ভাগবত, আচারাঙ্গ সুত্র প্রভৃতিতে এখানকার অধিবাসী বাঙ্গালীদের অনাচারী, ম্লেচ্ছ, ভ্রষ্ট, দস্যু, অদীক্ষিত ইত্যাদি বলে অনেক দুর্নাম করা হয়েছে।…………………………………..এখানকার লোকেরা ধর্ম প্রচারককে কুকুর দিয়ে তাড়া করেছিল।…………………………………..একটি গ্রন্তে লেখা আছে যে ঐ ম্লেচ্ছ দেশে যাবে তাকে দেশে ফিরে গিয়ে অবশ্যই প্রাশ্চিত্য করতে হবে"
আড়াই হাজার বছর আগে আমাদের পুর্বপুরুষ শঠ ছিল তাই আমরা ও "হাজার বছরের বাঙ্গালী ঐতিয্য" ধরে রাখব। একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট জায়গায় মুখের উপর মুখুশ পড়লেই কি সভ্য হয়ে যাব?
আমরা আসলেই সেই শট জাতি। আমাদের শাসকরা শঠ হবেন তা আর বিচিত্র কি? তবে প্রশ্ন হল আমরা কি এভাবেই থাকব? এই শঠতার কি কোন জবাব নাই।
আমাদের কোন পতন নেই কারন আমরা পতিত জাতি হিসাবেই আছি। আমরা হাজার বছর ধরে শঠ, অভিশপ্ত। আমরা বৃহত্তর শঠতার পরিচয় দিই যখন আমরা অস্বীকার করি আমরা শঠ। এবং এই ক্ষমাহীন শঠতার প্রাশ্চিত্ব করছি পর পর তথোধিক অভিশপ্ত শাসক নিয়োগের মাধ্যমে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১২ রাত ৮:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



