বাংলাদেশের তোল-পার করা ঘটনা হল রেল মন্ত্রীর ঘুষের টাকার চালান ধরা পরা। সেটা পুরানো হয়ে গিয়েছে। সুসেগু যথারীতি চমকদার কথা শুনালেন, জানালেন বাংলাদেশে এটা (ঘুষ গ্রহন) স্বাভাবিক ঘটনা, অস্বীকার করলেন পদত্যাগে, দেখা করলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাথে। এর পর এসে বললেন আমি প্রধান মন্ত্রীর কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা পোষন করেছি। পদত্যাগের ২৭ ঘণ্টার মধ্যে উনি সদর্পে সকল "ষড়যন্ত্রের" জাল ছিন্ন করে মন্ত্রী সভায় প্রত্যাবর্তন করলেন। সব মেনে নিলাম।
কিন্তু আজমের কি হবে। যে রেলমন্ত্রির এপিএসের গাড়ি চালাত। তাঁর মায়ের বিলাপ "আমার পোলাডা কই? ওরে আমার বুহে আইন্না দাও। ওর চাকরির দরকার নাই। আমি কেল ওর মুখটা এট্টু দেখতে চাই।"
আজ সুশিল সমাজের লোকেরা বানি বক্তিতা শেষ করেছেন। সুরঞ্জিত বাবুকে সাধু বাদ জানিয়েছেন উনার এমন সাহসী নির্লোভ নির্মোহ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন পুর্বক সবিনয়ে স্বেচ্ছায় মন্ত্রিত্ব বিষর্জনের জন্য; যদিও উনার ঘুষ গ্রহনের কোন প্রমান এখন ও হয় নাই (আমি নিশ্চিত করে বলছি কখনোই প্রমানিত হবে না) প্রধান মন্ত্রিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উনার এমন তর দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য যাতে পরবর্তিতে কেও এসে গভেষনা করতে পারে যে কত দেশ প্রেম থাকলে, দল-মতের এমন উর্ধে উঠে স্ব দলিয় মন্ত্রীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করতে পারে।
কিন্তু গাড়ি চালক আজমের ব্যাপারে কেউ কিছু বলছে না কেন? তাঁর কি হবে। সে যদি বাংলাদেশের উজ্জ্বলতম রাজনীতি বিদের, ন্যায় পরায়ন, দেশ প্রেমিক সরকারী কর্ম- কর্তাদের নিষ্কলুস চরিত্রে কালিমা লেপন করে তাহলে তাঁর ফাঁসি কেউ দাবি করছেনা কেন?
কেন বলছেনা তাকে গুপ্ত হত্যা নয় প্রকাশ্যে জীবন্ত চামড়া খুলে নেওয়া উচিত।
কেন কোন বিচারক তাঁর নামে রুল জারি করছেনা?
কলাম লেখকদের কলমের কালি কি ফুরিয়ে গিয়েছে?
সুশীল ব্লগারদের হাতে কি কুষ্ট হয়েছে?
কিছু করুন, অন্তত যাতে বলতে পারেন আপনার অবস্থান থেকে আপনি সম্ভবের কিছু অংশ করেছেন।
সুশীলের বাসার বিদেশি কুত্তার বাচ্ছা হলে কলাম লেখে, তা হারিয়ে গেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে থানায় জিডি করে। আর এই গাড়ি চালকের খবর নেই সাত দিন। কেউ কিছু বলছেনা। কেউ কিছু করছেনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



