একজন হযরত আলী বীরোচিত হয়ে মরে বেঁচে গেলেন।
তাকে আমরা আগে চিনতাম না। তাঁর মৃত্যু তাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে সবার সাথে। ঠিক তাঁর মৃত্যু নয়। তাঁর মৃত্যুর ধরন সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তায্র মৃত্যুতে অনেক কিছু হয়েছে। খবরের কাগগে দিস্তা দিস্তা কাগজে লেখা হয়েছে স্থুতি। " টেবিল চাপড়ে টেবিল ভেঙ্গে ফেলার " দশা। সামু তে তো স্টিকি হয়ে ব্লগার রা আরও ভাল ভাবে চিনতে পারছে। শত শত ব্লগার মন্তব্য করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ পেয়ে গেল।
সমসাময়িক কালে আরও একটি ঘটনা কার ও কার ও কাছে বীরোচিত ও মনে হয়েছে। আলী আজম এখন বহুল আলোচিত একটি নাম। কারও কল্যানে কিনবা অকল্যানে সারা দেশের মানুষের মুখে মুখে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। এই আলী আজম কে (ছিলেন) তা আর নতুন করে পরিচয়ের প্রয়োজন নাই। তাঁর পরিচয় জানা যায় সে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।
কিন্তু তিনি এখন কোথায়???
সামু মৃত মানুষের (আমি হযরত আলীর প্রতি, তাঁর আত্ব-ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই, তাঁর পরিবারের প্রতি সমব্যাথি হয়েই বলছি) স্টীকি করে অনেক দিন রেখে দিয়েছে, কিন্তু আলী আজম ড্রাইভারের ব্যাপারে কোন কিছু করে না কেন? তবে কি সে মরে গেলে তবেই কিছু একটা করবে? নাকি ক্ষমতাসীনদের থলের বিড়াল বের করে দিয়ে সামূর ও অনাস্থাভাজন হয়ে গেল???
আলী আজম নিখোজ হওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল তাঁর ব্যাপারে কেউ তেমন উচ্চ বাচ্য করছেনা। অথচ ইলিয়াস আলী নিখোজ হওয়ার পরদিন থেকেই পত্র পত্রিকা, মানবাধীকার সংস্থা সম্ভব সর্বোচ্চ পর্যায়ে সচেতনতা প্রকাশ করেছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। (আমিও একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে উদ্ভিগ্ন) বিরোধী দল হরতাল ডেকেছে। গতকাল রাস্তায় গাড়ী পোড়ানোর মহড়া হয়েছে, সেখানে শিকার হয়েছে একজন ঘুমন্ত গাড়ী চালক। সে ও আরেক আলী। " বদর আলী বেগ। (আমরা সাধারণ জনগনের বিমুর্ত প্রতীক) কোন হায়েনা স্বাদ নিতে পারলে, এবং ভাষায় প্রকাশ করতে পারলে ( আমার মত ব্লগে লেখার সুযোগ পেলে) জানতে পারতাম "জীবন্ত গ্রিল"মানুষের স্বাদ কেমন।
আমরা যারা সাধারণ তারা নিখোজ হলে কেউ জনবে ও না। উদ্ভেগ উতকন্ঠার প্রশ্নই আসে না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



