আমাদের অনেকের কিশোর থেকে যৌবনে এসেছি কয়েকজন সুশীলের "বিজ্ঞান কল্প কাহিনী" পড়ে। তারা বিজ্ঞানের সাথে সামাজিক ব্যাপারেও মতামত দিয়ে আম জনতাকে চরম খেদমত করার চেষ্টা করেন। তাদের লেখা পত্র পত্রিকায় ছাপা হলে ভাবি দেশের জন্যে কত কষ্ট করেই না লিখেছেন, মনযোগ দিয়ে পড়ি। পড়ার আগে আশা থাকে উনারা কল্প কাহিনী লিখলেও বাস্তবেই থাকেন। জীবনকে যাপন করেন। তাই ভেবে নিই বর্তমান আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কিছু সমাধান উনারা দেবেন যা সামগ্রীক হবে। না উনারা নিজেরা যে ঊট পাখীর মত মাথা দলীয় পাছায় ডুকিয়ে রেখেছেন তা থেকে বেরোতে পারেন না। সম্ভবত ঐ সব দলীয় আকর্ষন টা কৃষ্ণ গহ্বরের মত। ("কৃষ্ণ গহ্বর" সম্পর্কে তাদের গল্পেই জেনেছি) একবার পতিত হলে ধংসের / বিলিনের আগে রক্ষা নাই। গহ্বর থেকে বেরুতে পারে না।
এখন দেখি আমাদের কিশোর কালের নায়ক কিনবা নায়কের স্রষ্টারা যথারীতি নিজের সেই সংকীর্ণ গর্তে থাকার কারন সম্পর্কে আত্নপক্ষ সমর্থন করেন ইনিয়ে বিনিয়ে। অন্ধকার গর্তে আলোর গল্প করেন। ঐ গর্তের গন্ধের কারনে সুস্থ থাকা দায় কেন তা কিঞ্চিত ব্যাখ্যা করেন সুশীল সাজার চেষ্টায়। একই সাথে গর্তে (দুর্গন্ধ দূর না করেই) সুগন্ধি ব্যাবহারের প্রয়োজন সম্পর্কে সুশীল মত পথ বাতলে দেবার সম্ভব সর্বোচ্ছ চেষ্টা করেন, যাতে পচাকে পচা বলে চেনা না যায়।
আমার মনে হয় মাছ ব্যাপারী (মৎসজীবী নয়) মাছে ফরমালিন দিয়ে তাজা রেখে ক্রেতাকে ঠকাচ্ছে আর এই বুদ্ধিজীবীরা পচে গলে দুর্গন্ধ ছড়ানো ব্যাবস্থাকে গ্রহনযোগ্য সুশীল মোড়কে বাজার জাত (পত্রিকা জাত) করে জনগনকে ঠকাচ্ছে। দুই জীবীর মধ্যে ২য় জীবীর কার্যকলাপ অধিকতর ক্ষতিকর।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



