আমি একটা ভিক্ষুক সমিতির দলনেতা। আমারে ভিক্ষুকরা নেতা বানাইছে বছর তিন- চারেক হল। তারা আমারে ভিক্ষুক সমিতির নেতা বানাইছে কারন আমি ভিক্ষুকদের আশ্বাস দিছিলাম আমি তাদের পক্ষ থেকে ভিক্ষা করে একখানা সাকো করে দিব। যাতে ভিক্ষা করতে আর নৌকায় ঊঠতে না হয়।
একটা ভিক্ষার থালা নিয়ে গিয়েছিলাম সাথে থলে ছিল। থালাতে ভিক্ষা পরলে থলেতে নিব। পাশের সমিতিতে। ঐ সমিতি অনেক বড় লোকের সমিতি। মহাজনের সমিতি। এরা চাঁদা দেয় সমিতিতে। সেই চাঁদা দেওয়া হয় আমাদের মত অভুক্ত, আশ্রয়হীনদের।
আমরা ভিক্ষা চাইছিলাম একটা সাকো করব বলে। ওরা ভিক্ষা দেবার আগে যাচায় বাছায় করে। তার জন্য একজনকে মাসোহারা দিয়ে দায়িত্ব দিয়েছিলাম সব কিছুর ব্যাবস্থা করতে। নাম দিয়েছিলাম সাকো তত্ত্বাবধায়ক। সব ছিল ঠিকঠাক মতই। বাধ সাধল সমিতি। তারা বলেছে ভিক্ষা দিবে না। একটা লাথি দিয়ে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিল। বুঝি নাই। লাথি প্রথমে দিল পায়ে। মনে করেছিলাম ভুলে লাথি পড়েছে। উনারা বললেন তোরে লাথি দিছি কারন তুই ভিক্ষা নিয়ে ঘি খাবি। তুই না খেলে তোর কর্মচারী খাবে। ১০ % খাইতে চায়। অস্বীকার করলাম। দিল আরেক লাথি। এই বার পাছা বরাবর। কারন দেখাল একই। সাথে বলে দিল তোর এই এই জায়গায় ভিক্ষার চাল সরানোর পকেট তৈরি করছস। আগে অইগুলো কাট। তবু ভাব নিলাম আমি ঠিক আছি। পকেট দেখা যাচ্ছে না। এর পর আজ মূখের উপর লাথি দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
আমি নিশ্চিন্ত। আজকে ভিক্ষুক সমাবেশে আমি ভাষন দিলাম “আমি কথা দিলে কথা রাখি, বাস্তবায়ন করি”।
আমার নতুন কাজ আগেই শুরু করেছিলাম। এখন আর এক মহাজনের কাছে যাব। সেই ভিক্ষার থালা নিয়েই। সে বলেছে আমাকে ভিক্ষা দিবে। পকেটে ডুকালেও সে কিছুই বলবে না। শর্ত একটাই ভিক্ষা চার্জ ৩ গুন দিতে হবে। আমি না বলি নাই।
আসল কথাটা বলি। ভিক্ষার ১০% আসলেই আমার কাছে আসত। আমিই বলেছিলাম নিতে। তাই যারা ভিক্ষা তত্ত্বাবধায়ক ছিল তাদের চুলের (হিন্দি উচ্চারন করুন) গোরা দুরের কথা আগায় ও হাত দিতে পারলাম না।
আপনারা দোয়া রাখবেন যাতে আমি ভিক্ষায় সফল হতে পারি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



