৭০ মিলিয়ন বছর আগে যখন প্রোসিমিয়ানদের জন্ম হয়েছিল তখন তারা জানত না তারাই একদিন মানুষ নামে পরিচিত হবে আর পৃথিবী শাষণ করবে।বিবর্তন যখন এই প্রোসিমিয়ানদের মানুষ নামে প্রতিষ্ঠিত করেছে তখনও হয়তো তারা ভাবতে পারেনি যে তাদেরই কিছু অংশ তাদের জাতভাইদের মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে,দায়ী হবে ভবিষ্যতেও।উল্লেখ্য, আমাদের অর্থাৎ মানুষদের একটা গালভরা বৈজ্ঞানিক নামও দেওয়া হয়েছে আর সেটি হচ্ছে হোমো সেপিয়ান্স।এর অর্থ হল পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী।
প্রোসিমিয়ানরা বিবর্তিত হয়ে মানুষ হয়েছে কিন্তু বিজ্ঞানের তো আর বিবর্তিত হতে হয়নি।প্রোসিমিয়ানরা যখন প্রথম পাথর ঘষে আগুন জ্বালাতে শিখেছিল মূলত তখন থেকেই বিজ্ঞানের সুত্রপাত হয়েছিল।
বিজ্ঞানের ছত্রছায়ায় এসে মানুষ কত কিছু সৃষ্টি করেছে আর কত কিছু ধ্বংস করেছে তার হিসাব নেই।সেই আদিকাল থেকেই মানুষের কৌতুহল ছিল মহাকাশ নিয়ে।সভ্যতার ক্রমবিকাশে মানুষের চিন্তা আরো গভীর হয়েছে।মানুষ ভেবেছে মহাশূণ্যে ছড়িয়ে থাকা গ্রহের কথা,ভেবেছে কোন ভিন গ্রহে থাকা প্রাণীর কথা।আরো ভেবেছে নক্ষত্রের কথা,সূর্যের কথা,তাদের ঘূর্ণনের কথা।মানুষ সূর্যের দিকে তাকিয়ে চিন্তিত হয়েছে এই ভেবে যে-কিছু পরেই হয়ত এই আলো শেষ হয়ে যাবে।আর তখন আমাদের এই স্বপ্নের পৃথিবী ছারখার হয়ে যাবে।কিন্তু তা হয় নি।এখন অবশ্য তা নিয়ে মানুষ চিন্তাও করে না।কেননা আমারা এখন জানি সূর্যের এই জ্বালানী শেষ হতে আরো ৫ বিলিয়ন বছর সময় লাগবে।
কিন্তু বিজ্ঞনীরা এখন চিন্তা করছে সূর্যের এই জ্বালানী শেষ হবার আগেই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যায় কিনা।তার কারণ কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ নয়।নিউট্রন স্টারের বিষ্ফোরণ কিংবা কোন গ্রহের কক্ষচূত হওয়াও নয়।অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তার কারণ মানুষ।মানুষের প্রতি মানুষের হামলা যেন সেটাই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে।অনেকের কাছেই হয়তো তা অবিশ্বাস্য মনে হবে।ছোটছোট কিছু হামলা কিভাবে পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হতে পারে। হিরোশিমা আর নাগাশাকি তে নিউক্লিও বোমা হামলা কি সেটাই প্রমাণ করেনা?মানুষের মানবতাবোধ কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে না?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



