somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ : অনিবার্য ছিলো, আকস্মিক নয়

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এর আগে 'বাংলাদেশের মানুষের মন' লেখাটিতে আমি বলেছিলাম - বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এক অদ্ভুত নিরাসক্তি, নিস্পৃহতা এবং ঔদাসিন্য আছে। ঘটমান ঘটনাসমূহে তারা এমনভাবে অংশগ্রহণ করে যে, মনে হয় এসবে তাদের কিছুই যায় আসে না। অনেক সময় তারা অংশগ্রহণ পর্যন্ত করে না, কেবল দেখে যায়। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় - এত যে নিরাসক্তি তাদের, তারা কি একবারও ভেবে দেখে না যে, এসব ঘটনা তাদের জীবনে কী ভয়ংকর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে!

এরকম একটা কথা বলা হয় যে, পলাশির আম্রকাননে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব যখন ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত, তখন আশেপাশের কৃষকরা হয়তো তাদের দৈনন্দিন জীবনের ধারাবাহিকতায় মাঠে কাজ করছিলো, যুদ্ধ শেষ হলে হয়তো একজন আরেকজনকে জিজ্ঞেসও করেছিলো - আজকে কী ঘটলো! হয়তো যুদ্ধের কথা জেনে এ-ও জানতে চেয়েছিলো কে হারলো কে জিতলো, কিন্তু নবাব হেরে গেছেন শুনে তাদের বিশেষ কোনো প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো বলে মনে হয় না। এই পরাজয়ের সংবাদটিকে হয়তো তারা একটি মাত্র বাক্য দিয়ে গ্রহণ করেছিলো - 'ও আচ্ছা।' কিন্তু এই ঘটনা যে তাদের জীবনে কী দীর্ঘস্থায়ী ভয়ংকর বিপর্যয় ডেকে আনবে তা তারা ভেবেই দেখেনি। এ কথা সত্যি যে, নবাবের সঙ্গে বৃহত্তর জনজীবনের কোনো সম্পর্ক ছিলো না, ফলে নবাবের জয়-পরাজয়ে তাদের বিশেষ কোনো ভাবান্তর না থাকাই স্বাভাবিক। তাই বলে নিজেদের নবাব হেরে গেলো বিদেশী একদল লোকের কাছে এটা কী কোনো প্রভাবই ফেলবে না তাদের মনে?

এরকম ঘটনা শুধু দুশো বছর আগেই নয়, আজও ঘটে চলেছে। স্বাধীনতার পর এদেশে যতগুলো আন্দোলন হয়েছে - '৯০ এর গণআন্দোলনের কথা মনে রেখেই বলছি - সেগুলো মূলত ছিলো শহরভিত্তিক, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ, যারা গ্রামে বাস করে, এসবের তোয়াক্কাই করেনি।

অথচ বড়ো মাপের পরিবর্তনের প্রত্যাশা নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছিলো সেখানে তারা এমন নিরাসক্ত ছিলো না, আমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলছি, বরং তাদের তুমুল অংশগ্রহণই আমাদের বিজয়কে অনিবার্য করে তুলেছিলো। এক অদ্ভুত উদাসীনতা, নিরাসক্তি ও নিস্পৃহতা থাকা সত্ত্বেও একাত্তরে এই জাতি যে মুক্তিযুদ্ধে তুমুলভাবে অংশগ্রহণ করেছিলো তার কারণ কি? বাঙালি তো কোনোদিনই যোদ্ধা জাতি নয়, চিরকাল সে নির্ঝঞ্ঝাট থাকতে চেয়েছে, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের সময় সবাই মিলে এমন মরনপণ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লো কেন? এটা কি হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা? সেরকমটি মনে করার কোনো কারণ নেই। হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনায় এত দ্রুত একটি জাতি সংঘবদ্ধ হতে পারে না। তাহলে কি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে আগে থেকেই এমন একটি প্রস্তুতি ছিলো? থাকলে তো তাদেরকে আর উদাসীন বলে আখ্যা দেয়া যায় না। বোঝা যায় এ নিয়ে তাদের আগে থেকেই চিন্তাভাবনা ছিলো। তাহলে সেটা বোঝা যায়নি কেন? তবে কি বিষয়টা এরকম যে, বাঙালি যতটা উদাসীনতা দেখায় আসলে তারা অতোটা উদাসীন নয়! এ প্রসঙ্গে আমি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক স্যারকে উদ্ধৃত করতে চাই। তিনি তাঁর একমাত্র লিখিত বক্তৃতা - 'বাংলাদেশ: জাতির অবস্থা'য় বলেছেন -

'বাংলাদেশের মানুষ একটা জাতি, কারণ তারা একটা জাতি হতে চায়, অন্য কিছু নয়। .... এই জাতিকে তৈরি করেছে তার অনমনীয় গর্ব, সুখে-দুঃখে আট কোটি মানুষের সঙ্গে একই পরিচয় বহন করা, অন্য কিছু নয়, শুধু বাঙালি হতে চাওয়ার জেদ।' ১৯৪৭-এর দেশভাগের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাও ভাগ হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য _ 'বাংলাভাষী জনগণের অধিকতর বাঙময় অংশটি (অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি) ভারতীয় জাতির বৃহত্তর পরিচয়ে নিজের অধিকার হারানোকেই ভবিষ্যৎ হিসেবে বেছে নিলো।... কিন্তু - 'বাংলাভাষী জনগোষ্ঠির বৃহত্তর অংশটি (অর্থাৎ পূর্ববঙ্গের বাঙালি) যদিও ভারত ও পাকিস্তানের বাইরে একলা পথ চলতে গররাজি ছিলো না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে নিজের মিলিত হওয়ার পক্ষে রায় দিলো, তবে কিছু বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করেই। তার এই বৈশিষ্ট্যগুলোই ভাষা আন্দোলনের জন্ম দিলো যার চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে জাতীয় রাষ্ট্র বাংলাদেশ।'

অধ্যাপক রাজ্জাক মনে করেন যে, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার ব্যাপারে এদেশের মানুষের কোনো আপত্তি না থাকলেও বৃহত্তর ভারতীয় জাতিসত্ত্বায় নিজেকে বিলীন করে দেয়াতে তাদের আপত্তি ছিলো, ফলে বিকল্প হিসেবে তারা পাকিস্তানে যোগ দিয়েছিলো এবং সেটা তারা করেছিলো নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করেই। এই বৈশিষ্ট্যগুলোরই বহিঃপ্রকাশ ঘটে ভাষা আন্দোলনসহ, বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে চালানো পাকিস্তানি বিভিন্ন অপচেষ্টার বিরুদ্ধে নানাবিধ আন্দোলন ও পরিশেষে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।

কেন মুক্তিযুদ্ধ এদেশের জন্য অনিবার্য হয়ে উঠেছিলো - এ প্রশ্ন করলে যেসব উত্তর বিভিন্ন তরফ থেকে পাওয়া যায় তাতে অবশ্য এ কথা মনে হয় না। এ প্রসঙ্গে প্রায় সবাই-ই পাকিস্তানি শাসন-শোষণের কথা বলেন। এসব কথা শুনলে মনে হয় যে, পাকিস্তানি শাষকগোষ্ঠী যদি আমাদের ওপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক নির্যাতন না চালাতো, কিংবা কেন্দ্রে যদি বাঙালি শাষক থাকতো তাহলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। এ কথার অর্থ দাঁড়ায় এই যে, আমাদের যুদ্ধটি হয়েছিলো পাকিস্তান কনসেপ্টের বিরুদ্ধে নয়, পাকিস্তানি শাসন-শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে। বলাবাহুল্য যে, এটা একটা কারণ বটে তবে একমাত্র কারণ নয় মোটেই, একমাত্র কারণ যদি হয়েই থাকে তাহলে একে মহান একটি ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করার মধ্যে ঝুঁকি আছে। কারণ, সেক্ষেত্রে মনে হতে পারে - পাকিস্তান নামক একটি চাপিয়ে দেয়া কনসেপ্টের বিরুদ্ধে না গিয়ে এদেশের মানুষ স্রেফ ওদের শোষণ থেকে মুক্তি চেয়েছিলো। অর্থাৎ এই যুদ্ধ অনিবার্য ছিলো না, ছিলো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা, ওদের শাসনটা শোষণে পরিণত না হলে ঘটনাটি আর ঘটতো না। ব্যক্তিগতভাবে আমি এই মতের পক্ষে থাকার কোনো কারণ খুঁজে পাই না। আমি মনে করি মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য ছিলো, কারণ এই দেশের মানুষ নিজেদেরকে একটি জাতি হিসেবে দেখতে চেয়েছিলো, আর যেহেতু একটি জনগোষ্ঠীকে জাতি হয়ে উঠতে হলে তাদের জন্য একটি আবাসভূমির প্রয়োজন হয় তাই তারা নিজেদের জন্য একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমি চেয়েছিলো (আমি এ-ও মনে করি পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত সুসম্পর্ক থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ হতো, হয়ত সেটা '৭১-এ নয়, তবে হতোই) ফলে একটি যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রাষ্ট্র নির্মাণ করা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিলো না। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়, একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের জন্য এ দেশের মানুষের প্রতীক্ষা ও আকাঙ্ক্ষা দীর্ঘকালের (মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মানে শুধু '৭১-এর মার্চ থেকে ডিসেম্বরের ইতিহাস নয়, এমনকি ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১-এর ইতিহাসও নয়, এই ইতিহাসের মূল খুঁজতে গেলে আমাদেরকে আরও সুদূর অতীতে যেতে হবে - অধ্যাপক রাজ্জাকও তাঁর বক্তৃতায় সেদিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন); মুক্তিযুদ্ধ তাদের সুযোগ করে দিয়েছিলো যুদ্ধের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রটি নির্মাণের। অতএব কেবল মাত্র পাকিস্তানি শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির জন্যই যুদ্ধটি হয়েছিলো - এরকম ক্ষুদ্র গণ্ডিতে বিষয়টিকে বন্দি করে ফেলার কোনো সুযোগই নেই। বরং নিজস্ব জাতিসত্ত্বার পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে এটাই ছিলো বাঙালির ইতিহাসে প্রথম সশস্ত্র পদক্ষেপ, এবং এতে অংশগ্রহণ ছিলো এদেশের আপামর জনসাধারণের। এদেশের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষা ছিলো এর জন্য, পাকিস্তানি শোষণ কেবল এক্ষেত্রে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছিলো। একটি জনগোষ্ঠী যখন নিজেদেরকে একটি জাতি হিসেবে আত্নপরিচয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং একটি স্বতন্ত্র রাষ্টের আকাঙ্ক্ষা থেকে এরকম ব্যাপক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তখন তার অর্থও হয়ে ওঠে ব্যাপক, ঘটনাটি হয়ে ওঠে মহান। প্রকৃতপক্ষে আমাদের মুক্তিযুদ্ধও ছিলো তেমনই একটা মহান ব্যাপার।

বিষয়টি এভাবে দেখলে আমরা বলতে পারি যে, '৪৭-এ মানুষ যে পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছিলো সেটা তাদের মনের কথা ছিলো না, তারা শুধু বৃহত্তর ভারতীয় জাতিসত্ত্বার অংশ হয়ে উঠতে চায় নি বলেই একটি বিকল্প বেছে নিয়েছিলো এবং সুযোগ আসা মাত্র অবিলম্বে নিজেদের একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো।

প্রশ্ন হচ্ছে - দেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতির এমন ভয়াবহ, করুণ, মর্মান্তিক ও হতাশাব্যঞ্জক অবস্থা দেখে কি আমরা আমাদের স্বপ্নকে বাক্সবন্দি করে দীর্ঘনিদ্রায় যাবো, এবং ভাববো যে, এই ঘুম ভাঙার পরে নিশ্চয়ই অবস্থা ভালো হয়ে যাবে? আমার মনে হয় না - মানুষের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলার কোনো কারণ আছে। যে জাতি মুক্তিযুদ্ধের মতো একটি ঘটনা ঘটায় - এত সহজে তাদের প্রতি আস্থা হারালে চলবে কীভাবে?
২৩টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দেশে এমপি হওয়ার মতো ১ জন মানুষও নেই

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪



দলগুলোতে মানুষই নেই, আছে হনুমান।

আমেরিকায় যদি ট্রাম্প ক্ষমতায় না'আসতো, বাংলাদেশে হ্যাঁ/না ভোট দিয়ে ইউনুসকে দেশের প্রেসিডেন্ট করে, দেশ চালাতো প্রাক্তন মিলিটারী অফিসারেরা ও বর্তমান জামাতী অফিসারা মিলে। দুতাবাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামে থেকে যাওয়ার চিন্তা করছি

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

ঢাকা ছেড়ে গ্রামে
ঢাকা ছেড়ে আমার নিজ গ্রামে থাকছি প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললো। শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ বেশ ভালোই লাগছে! যদিও শীতের রাতে বাড়ির পাশে শিয়ালদের হুক্কাহুয়া মাঝে মাঝে ছওমকে দেয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসুন সুন্দর একটা ব্লগ পরিবেশ গড়ে তুলি

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯


ব্লগ লেখার আগে আমাদের জানা উচিত আসলে ব্লগ কি ?
ব্লগ মানে তথ্য সম্পূরণ ও গন সংযোগ সোসাল নেটওরাকিং প্লাটফরম । এখানে বিভিন্ন মর্তাদেশের,বিভিন্ন শ্রেণীর
পেশার বিভিন্ন ধরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মজনু নামাজ পড়ার পর মোনাজাত ধরল তো ধরলই, আর ছাড়তে চাইল না | পাক আর্মির বর্বরতা!!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭



১৯৭১ সালে পাকিস্তানী আর্মি পুরো বাঙালী জাতির উপর যে নৃশংস হত্যাংজ্ঞ, বর্বরতা চালিয়েছে যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। সত্যি বলতে ১৯৭১ সালে বাঙালী জাতির উপর পাকিস্তানী আর্মি কর্তৃক... ...বাকিটুকু পড়ুন

সব দোষ শেখ হাসিনার !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৬


অনেকদিন পর zahid takes এর ডা. জাহেদুর রহমানের এনালাইসিস ভিডিও দেখলাম। জুলাই আন্দোলনের পূর্বে বিশেষত যখন র‍্যাব স্যাংশন খায় তখন থেকেই উনার ভিডিও দেখা আরম্ভ করি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×