somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনগণই কি সরকার নির্বাচন করে; না তা কিছু অত্যন্ত মেধাবি দূর্জনের পরিকল্পনার সফল নাটক (উৎসর্গ সকল আম ব্লগার)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই ক্ষমাই চেয়ে নিচ্ছি অগোছালো একটা লেখা দেওয়ার জন্য। আমি লেখক নই; আমি হলাম অতি সাধারণ এক পাঠক। মাঝে মাঝে লেখার মাধ্যমে মনের কথা প্রকাশ করি। এই লেখাটা আমার ব্লগেও দিয়েছি।


আমরা ভাবি জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণই সরকার বসাই; সরকার সরাই। আসলেই কি তাই?
আমাদের দেশ একটা আমলাতান্ত্রিক দেশ। আমলারাই দেশ চালাই; আমলারাই সিদ্বান্ত নেয় এবং বাস্তবায়ন করে। আর তাদের সামনে থাকে রাজনৈতিক নেতারা। নেতা আসে নেতা যাই কিন্তু আমলারা থেকেই যাই। এই অনেকটা সফ্টওয়্যারের ব্যাকএন্ড এবং ফ্রন্টএ্যন্ডের মতো। ব্যাকএন্ডের মূলটা থেকেই যাই বড়জোর সামান্য আপগ্রেডেশান। আর ফ্রন্ট এন্ডটা চেস্টা করা হয় ইউজার ফ্রেন্ডলি করা, সময়ের সাথে সাথে। আর সফ্টওয়্যার যত ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে, ততই তার চল।

চিন্তা করুন ১৯৯১ নির্বাচিত সরকারের পতন কিংবা ২০০১ এর সরকারের পতনে আমলাদের ভূমিকা। আসলে তারা কিভাবে তা করে? যারা এমবিএ করেছেন তারা একটা সাবজেক্ট পড়েন Strategy। সেখানে শিখানো হয় মানুষকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কিভাবে একটা পরিবেশকে নিজের অনুকূলে আনতে হয়। আর এই খেলার সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় হলো আমাদের এই আমলারা। আমাদের আমলারা কি পরিমাণ ক্ষমতাবান সাধারণের কল্পনারও বাইরে। উদাহরণ সরূপ একজন আমলার কথা চিন্তা করুন যার দায়িত্ব হলো আমেরিকান পররাষ্ট মন্ত্রলায়ের সাথে যোগাযোগ করা। বছরের পর বছর তারা এই কাজ করে যান। ফলে দেখা যায় উনাদের সাথে অন্য দেশের সচিবদের সাথে অনেকটা বন্ধুর মতো সম্পর্ক তৈরি হয়ে। এরফলে উনারা প্রোটকৌলের বাইরেও কাজ করতে পারেন; যেহেতু একে অপরকে বিশ্বাস করেন। ফলে যখন কোনো সরকার নির্বাচিত হয়ে আসেন; তখন ঐসকল দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে এই সকল কর্মকর্তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পরেন। তাদের ছাড়া কোনো বিকল্প তাদের হাতে থাকে না এই সকল (বেশিরভাগ) মূর্খ মন্ত্রিদের। তাই আমরা দেখতে পাই হাতে গোনা কিছু মন্ত্রি ছাড়া অন্যরা আমলাদের কাছে পাত্তাই পান না। আর কিছু কিছু আমলা তাদের এই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। আর বিভিন্ন দেশও এদের ব্যবহার করে নিজের পছন্দের সরকার নির্বাচিত করে আনেন। আর এই সব কাজের পথপর্দশক হলো যুক্তরাজ্য আর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র। তারা তাদের নানারকশ স্বার্থ সিদ্বির জন্য এই সব করে। আমাদের জাতীয় সম্পদ এইভাবে লুটপাট হয়ে যায়।
ডঃ ইউনুস। একজন মানুষ; একটা ইতিহাস আর এখন একজন অতি বির্তকিত। উনার মাধ্যমেই টেলিনরের এই দেশে ব্যবসা শুরু। কথা ছিল টেলিনরের শেয়ার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর গ্রামীনের কাছে হস্তান্তর করা। কিন্তু তাতে রাজি নয়। সোনার ডিম পাড়া হাঁস কে হারতে চাই। তার জন্য রয়েছে তাদের নানা প্রস্তুতি। তারা ডঃ ইউনুসের মাইত্রো ক্রেডিটকে হাইলাইট করলো; যা প্রকৃতপক্ষে আমাদের কোনো দারিদ্রতা দূর করতে পারেনি। একটা পর্যায়ে উনাকে শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার দেওয়া হলো। কিন্তু কাজের বেলায় দেখা গেলো এতেও কাজ হয়নি। এদিকে উনাকে কিন্তু অনেক উপরে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে পুরাপুরি কোন ঠাসা করতে হবে। কিন্তু কিভাবে? কিছু কঠিন শত্রু তৈরি করতে হবে।

৯/১১ আমাদের দেশের জন্য একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একদিন। কিন্তু এই পরিস্থিতি কেনো হলো। এইটা আসলে তৈরি করা হয়েছে। ফকরুউদ্দিনকে করা হলো কেয়ারটেকার সরকার প্রধান। কিন্তু প্রশ্ন হলো কে বা কারা তাকে নির্বাচিত করেছেন। কাউকে না কাউকে তো এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে; আমি তো নিইনি; আপনি কি নিয়েছেন? না। তাইলে কে বা কারা নিয়েছেন? তারা হলো গুটিকয়েক অতি ক্ষমতবান মানুষ। যারাই আসলে দেশ চালান।

আবার ফিরে আসি ডঃ ইউনুস প্রসঙ্গে। উনাকে বুঝানো হলো একটা রাজনৈতিক দল করার জন্য যাতে তাকে ক্ষমতায় আনা যায়। এতে বাইরের কিছু দেশের জন্য সুবিধা হয়। কিন্তু তা ফেল করে। কিন্তু এর মাঝে তার কিছু কঠিন শত্রু তৈরি হয়ে যায়; যারা বিশ্বাস করে এই ব্যক্তিও তাদের দুর্দশার জন্য দায়ী। এর পর আসলো নতুন সরকার। পরিবেশ তখন এমন ছিল (খেয়াল করে) এই দল ছাড়া কোনো বিকল্প আর আমাদের ছিল না। আবার সফল নাটক!

কিন্তু ডঃ ইউনুস আর বাগে আসে না। উনার একটা অপকর্মের প্রমাণ কিন্তু রয়ে গেছে তাদের হাতে। যা পরে ফ্লাশ করে উনাকে চরম বিপদে ফেলা হয় আর উনার প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটা মোক্ষম অস্ত্র। আর আমি চেয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে কি ফলাফল অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×