somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রিয় মতিহার: ধর্ষণের যন্ত্রণা তোমার। আমরা সত্যিই দুঃখিত

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সিরাজী ভবনের সামনে সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগে অনাহুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিভাগটির চেয়ারম্যান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মলয় কুমার ভৌমিকের পদত্যাগ না করাকে কেন্দ্র করে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, মলয় কুমার ভৌমিকের সহকর্মী এবং বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা চাইছেন তিনি পদত্যাগ করুন। তারা তার বিরুদ্ধে লিখিত সুনির্দষ্ট অভিযোগ এনেছেন বলেও জানা যায়। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, স্বেচ্ছাচারিতা এবং স্বজনপ্রীতি।
নাট্যজন হিসেবে পরিচিতি থাকার কারণে ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মলয়কুমার ভৌমিককে সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগে প্রেশনে নিয়োগ প্রদান করে। প্রথমদিকে তেমন কোন সমস্যা দেখা না দিলেও ধীরে ধীরে বিভিন্ন কারণে ছাত্র এবং তার সহকর্মীদের বিরাগভাজন হতে থাকেন তিনি। এর প্রধান কারণ হিসেবে তার স্বেচ্ছাচারী মানসিকতা প্রধান ভূমিকা পালন করে বলে একাধিক শিক্ষক-ছাত্র জানিয়েছেন। বিভাগীয় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের সিদ্ধান্ত বিভাগের উপর চাপিয়ে দেয়া, তার নিজের নাট্যসংগঠন অনুশীলন নাট্যদলকে বিভাগীয় বিভিন্ন সুযোগসুবিধা প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের অনুশীলন নাট্যদলে যোগদানের বিষয়ে প্রভাবিত করা, সহকর্মীদের বিভিন্ন কারণে হেয় প্রতিপন্ন করা, নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ ওঠা বিভাগীয় তবলা ইনস্ট্রাক্টর অমিতাভ চ্যাটার্জীকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করা, অমিতাভের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ছাত্রদের নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, বিভাগে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা, পূর্বের নিয়ম/প্রথা না মেনে নতুন নিয়মে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করাসহ বিভিন্ন কারণে মলয় কুমার ভৌমিক তার সহকর্মী এবং ছাত্রছাত্রীদের বিরাগভাজন হন।
সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, তিনি নাট্যকলা বিভাগের নিয়ম নীতির তেমন একটা তোয়াক্কা করতেন না। এ্যাকাডেমিক কমিটিতে যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবার কথা সেগুলোর সিদ্ধান্ত তিনি নিজেই গ্রহণ করতেন। নিয়ম রক্ষার জন্য মিটিং ডেকে তিনি সিদ্ধান্তের কথা সবাইকে জানাতেন। এছাড়া বিভাগ থেকে পাশ করে যেসব ছাত্র বর্তমানে বিভাগেরই শিক্ষক হয়েছেন তাদের সাথেও তার তেমন কোন সম্পর্ক নেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, আমরা তো লেখাপড়া করেই শিক্ষক হয়েছি। কিছু না কিছু তো শিখেছিই। আমাদের এভাবে অপমান করার মানে কী।
বিভাগীয় শিক্ষক এবং ছাত্ররা ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন রা.বি’র ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে। ভাইস চ্যান্সেলর একটি সম্মানজনক পরিণতির আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত তার তেমন কোন আভাস পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের ছাত্র এবং শিক্ষকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে আজ।
অন্যদিকে বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, মলয়কুমার ভৌমিকের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে জাতীয় সংবাদপত্রগুলোয় তেমন কোন সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে না।

(ছবিগুলো ফেসবুকের বিভিন্ন লিঙ্ক থেকে নেয়া)


সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান


রা.বি'র ভিসির সাথে সংগীত ও নাট্যকলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×