আমার দেশের নোবেল প্রাপ্তিতে যার পর নাই খুশী হয়েছি। যেহেতু ডঃ মুহম্মদ ইউনুসকে তার প্রাপ্য বিভাগ অর্থনীতিতে পুরষ্কার না দিয়ে শান্তিতে দেয়া হয়েছে তাই পুরষ্কারটা কে পেল সেটা আমার কাছে মুখ্য না। মুখ্য হল পুরষ্কার পেয়েছে বাংলাদেশ। আসলে নরওয়ের সাথে ডঃ ইউনুসের বড় ধরনের অংশীদারিত্বমূলক ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আছে গ্রামীন ফোনকে কেন্দ্র করে। সেজন্য তার নরওয়ে থেকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়ায় (শান্তিতে ডেনমার্কের নোবেল প্রাইজ নরওয়ে থেকে প্রদান করা হয় ) কিছুটা খটকা লাগছে।
বাংলাদেশ, বিদেশের মাটিতে যাকে অভাব, প্রাকৃতিক দূযের্াগ আর দূনর্ীতিতে পয়লা নম্বর বলে হেয় করতে দেখি। এ নিয়ে সহকমর্ীদের কাছে লজ্জ্বায় মাথা হেট হয়ে যায়। আজ সেই সকমর্ীরাই আমাকে উলটো অভিনন্দন জানায় আমাদের দেশের নোবেল জয়ে। বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহ দেখায়। ডঃ ইউনুস এর নাম দিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ চালায়। আমাদের বসতো আমাকে তার রূমে নিয়ে আলাদাভাবে এ নিয়ে আলোচনা করল, প্রশংসা করল। বার বার আমাকে অভিনন্দন জানাতে ভুল করল না। ডঃ উইনুসকে নিয়ে প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকার শিরোনাম দেখিয়ে দিল। এ দেখে গর্বে বুকটা ভরে উঠে। যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
ব্লগে ডঃ ইউনুসকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে তুমুল বাকবিতন্ডা শুরূ হয়ে ছিল এবং এখনও অব্যাহত। ভবিষ্যতে এ নিয়ে কথা চলবে। মত প্রকাশে কিছু কিছু ব্লগার শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করেছে। বিশেষ করে পক্ষের ব্লগারা ছিল মারমুখী এবং একরোখা। অন্যদিকে নোবেল পুরষ্কার নিয়ে কেউ হালকাভাবে, দায়সাড়াগোছের মন্তব্য করেছে আবার কেউ পাশ কাটিয়ে গেছে। এটা যার যার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে শ্রদ্ধা করতে হলে সবার মতামতকে গুরূত্বের সঙ্গে গ্রহন করতে হবে। হোক তা ভিন্নমত, হোক তা সহমত। এক্ষেত্রে ভাষার উপযুক্ত প্রয়োগে পালটা মত দেয়াটাই কাম্য। কূপমন্ডুকতা পরিত্যাগ করে শিখতে হবে ব্যাপক, জানতে হবে আরও। এ প্রসঙ্গে বলতে চাচ্ছি আমার প্রথম পছন্দের ব্লগার হাবিবমহাজন ডঃ ইউনুসকে যে রক্তচোষা বলল তার যৌক্তিকতা না জেনে অনেকে ধর্মান্ধর মত প্রভুভক্তের মহড়া করেছে। যা তাদের অজ্ঞতার প্রমান দিয়েছে, প্রমান দিয়েছে অন্ধত্বের। তাদের বলছি গ্রামে যান; নিজ চোখে দেখে আসুন [গাঢ়]গ্রামীন ব্যাংকের ঋণের দায়ে এর বেশীরভাগ ঋণগ্রহীতারা কেমন ছট ফঠ করছে। আল্লা, খোদা,ঈশ্বরের নাম ভুলে কিভাবে প্রতিদিন কিস্তির টাকা যোগাড়ের ধান্ধায় ছৌটাছুটি করছে ।[/গাঢ়] হাবিবমহাজনকে ধন্যবাদ আপোসহীন মন্তব্য দেয়ায়। পামের বন্যায় তার বিশেষণ যুক্ত বক্তব্যে (যদিও কি বলতে চেয়েছেন তা অস্পষ্ট) বিপক্ষ শিবিরকে বেশ এ্যাকটিভ দেখা গেছে তাদের মতের উপস্থাপনায়। এতে উপকার হল - অনেক কিছুই জানা গেল।
আমাদের জানতে হবে শত ডলারেরও কম পুঁজি নিয়ে কিভাবে এত অল্প সময়ে আজ ডঃ ইউনুসের বিশাল রাজত্ব গড়ে উঠেছে। যে নিজে নির্বাচন করে দেশের ক্ষমতা নিজ হাতে তুলে নেয়ার স্বপ্ন দেখছে। ঠিক আছে মানলাম গনতান্ত্রিক দেশে সবারই রাজনীতি করার অধিকার আছে। যে কোন স্বপ্ন দেখতেই পারে। এটা দোষের না। [গাঢ়]আমি চাই গ্রামীন ব্যাংকের মত সফল (ব্যবসায়ীকভাবে লাভজনক) একটি দেশ হোক , সেখানে দূনর্ীতি থাকবে না। সেখানে গ্রামীন ফোনের মত ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগূলোর শেয়ার জনগনের মাঝে বিতরণ করা হবে। যার লাভ জনগনও ভোগ করবে। আর এও মনে রাখতে হবে নোবেল প্রাপ্তিতে সেলিব্রিটি হওয়া এক জিনিস আর রাজনৈতিক ময়দান ভিন্ন জিনিস। এখানে দুষ্ট লোকের পাল্লায় পড়ে সব প্রাপ্তি জলাজ্ঞলী দেয়ার মানে হয় না।[/গাঢ়] বনেরা বনে সুন্দর আর - শিশুরা মায়ের কোলে এ বিষয়টা ভেবে দেখার অবকাশ রয়েছে।
ডঃ মুহম্মদ ইউনুস দীর্ঘজীবি হোক। তার বুদ্ধিদীপ্ত কর্মকান্ডের ফসল এদেশ পেড়িয়ে সাড়া বিশ্বে সফলতা পাক। জয়তু বাংলাদেশী। জয়তু বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



