৯/১১ – ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার প্রায় এক যুগ পুর্ন হল। এই তথাকথিত ‘হামলা’ নিয়ে এখনও অনেক সন্দেহের ধুম্রজাল রয়ে গেছে। দিন দিন এই সন্দেহের আঙ্গুলটি আমেরিকার দিকেই নির্দেশিত হচ্ছে। ৯/১১ তদন্তের জন্য বুশ ‘৯/১১ কমিশন’ গঠন করেছিলেন তাতেও হাজারটা ধোকাবাজির প্রমান মিলছে আজ। এমনই কিছু অজানা তথ্য আছে যা সন্দেহকে আরও প্রবল করে যে এটা আমেরিকারই কর্মঃ
* ৯/১১ – সেদিন দুটি প্লেন আঘাত করার পর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারের মাটিতে মিশে যাওয়ার কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু সেদিন আসলে ৪৭ তলা বিশিষ্ট বিশাল আরও একটি বিল্ডিংও যে মাটিতে মিশে গিয়েছিল সেটাকে অত্যন্ত সুকৌশলে গোপন করা হেয়েছে। ঐ বিল্ডিঙটার নাম ছিল “ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিল্ডিং- ৭ (WTC-7)”। টুইন টাওয়ার থেকে এই স্টিল স্ট্রাকচারের কংকৃট বিন্ডিংটি মাত্র ৩০০ ফুট দূরে ছিল এবং এতে কোন প্লেন আঘাত করেনি বা নর্থ বা সাউথ টাওয়ারের কোন অংশও তার উপর ভেঙ্গে পড়েনি। তারপরও কোন কারন ছাড়াই সেটা সেদিন বিকেলের দিকে মাত্র ৭ সেকেন্ডে বালুর ঘরের মত ধুলোয় মিশে গিয়েছিল – ভিডিও ফুটেজ দেখলে নিশ্চিত ভাবে বুঝা যায় যে সেটা ‘কন্ট্রোলড ডেমোলিশন’ এর মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে । অথচ খবরে বা ‘৯/১১ কমিশন’ রিপোর্টে এই ঘটনা বেমালুম চেপে যাওয়া হয়েছে। ঐ বিল্ডিং এ মেয়র জুলিয়ানির ‘অফিস-কাম-কমান্ড সেন্টার’ ছিল, কিন্তু তিনি সেদিন ঐ অফিসে না যেয়ে আর একটা অস্থায়ি অফিসে অবস্থান করছিলেন যখন প্লেন টুইন টাওয়ারে আঘাত হানে। “ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বিল্ডিং-৭” এর ধ্বংসাবশেষ থেকে প্রায় তিন মাস পর্যন্ত প্রচণ্ড তাপের আগুন জ্বলছিল – যা ব্যাবহ্রত বিস্ফোরকেরই ইঙ্গিত দেয়। আরও আবাক করার বিষয় হল, এই তিনটি দালানের কোনটিই ভেঙ্গে পরার সময় হেলে গিয়ে ডানে বামে পরে যায়নি বরং ঠিক লম্বালম্বি ভেঙ্গে পরে যা শুধুমাত্র কন্ট্রোলড ডেমোলিশন দ্বারাই সম্ভব। মাত্র ৬০ ফুট দূরে অবস্থিত পোস্ট অফিস ও অন্যান্য বিল্ডিঙের কোন ক্ষতিই হয়নি এত বড় বড় দালান গুলো ভেঙ্গে পড়ার পরও !!!
(wtc 7 এর অবস্থান )
(টুইন টাওয়ার ভেঙ্গে গেলেও এখনো wtc 7 অক্ষত)
WTC-7 ভেঙ্গে পরার দৃশ্য- বিস্ফোরনের আলামত দেখুন লক্ষ্য করে এই ভিডিও ক্লিপটিতে। (ক্লিক করুন)
ষড়যন্ত্রের প্রমান দেখুন এই ভিডিও চিত্রটিতে। (ক্লিক করুন)
(৪৭ তলা বিশিষ্ট WTC-7 বিল্ডিং ভেঙ্গে পরার পরও আশেপাশের বিল্ডিং এর কিছুই হয়নি !!!)
• বিল্ডিং গুলোর ধ্বংসাবশেষ সরানোতে অসীম গোপনীয়তা আর দ্রুততা অবলম্বন করা হয়েছিল। ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে এর সকল প্রটোকল উপেক্ষা করে ১৮৫,১০১ টন স্টিল অতি দ্রুত গলিয়ে চীন আর ভারতে রপ্তানি করে দএয়া হয়েছিল।
• বিবিসি আর গার্ডিয়ান পত্রিকার ভাষ্য অনুযায়ী, বিমান নিয়ে “আত্মঘাতী” হামলাকারীর ঝাঁপিয়ে পরলের এখনও ৬ জন হামলাকারী নাকি জীবিত (!?)।
• মুসলিম উগ্রবাদীদের দায়ী করলেও, ‘তদন্তে (!)’ প্রকাশ, তারা নাকি “আত্মঘাতী” হামলার পূর্বের রাতে মদ্যপান আর নারীতে মত্ত ছিল। যে গোড়া মুসলমানটি পরদিন মারা বা আত্মহনন করতে যাচ্ছে এটা তার জন্য খুব অস্বাভাবিক আচরণ নয় কি?
• “হামলায়” ব্যবহ্রত প্লেন গুলো সেদিন অস্বাভাবিক রকম খলি ছিল; ফ্লাইট -১১, ১৭৫, ৭৭ এবং ৯৩ এর সিট গুলো যথাক্রমে ৫১%, ৩১%, ২০% এবং ১৬% পুর্ন ছিল, যা অন্যান্য দিন পুর্ন থাকে!
• হামালার ৪২২ দিন পর প্রেসিডেন্ট বুশ এই হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য ‘৯/১১ কমিশন’ গঠন করেছিলেন, যা আমেরিকার মত দেশের জন্য খুবই অস্বাভাবিক রকম দেরি!! এরা অন্য দেশে হামলা করতেও এর চেয়ে কম সময় নেয় (!)
৯/১১ ষড়যন্ত্র – মজাদার এবং তথ্যবহুল ভিডিও চিত্রটি দেখুন এই লিঙ্ক থেকে (ক্লিক করুন)]
এমন আরও হাজারটা অতি-কাকতালীয় ঘটনার সমীকরণ মিলবে না। নিজেদের কূটনীতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এমন ‘নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গ” ধরনের ঘটনা নতুন নয়। কেনেডি হত্যার আজও সুরাহা হয়নি; ধারণা করা হয় এটা সিআইএ এর কাজ। সিআইএ যখন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক এর বিমানে বোমা মেরে তাঁকে হত্যা করে, তখন সেই বিমানে খোদ আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হাজির ছিলেন এবং জিয়াউল হকের সাথে তাকেও বলি দেয়া হয়। ভেবে দেখার বিষয়, নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ওরা কতদূর যেতে পারে আর কি ই না করতে পারে!?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০৩