সাগর রুনির হত্যার এই ডে’ কাউন্টার স্বম্বলিত স্টিকি পোস্টটি চোখে পরলেই আমরা যে কত ক্লান্ত সেটাই মনে পড়ে যায়। আমি নিশ্চিত এই ডে’ কাউন্টারটি এখন সামু ব্লগের মডুদের গলায় কাটা হয়ে ঠেকেছে। দৃষ্টিকটু দেখাবে বলে না পারছেন সরিয়ে নিতে...... হয়ত তাঁরা ভেবেছিলেন এই প্রতিবাদ হয়ত কোন দিন আন্দোলনে রুপ নেবে আর সাগর রুনি হত্যার বিচারে প্রশাসন বাধ্য হবে। কিন্তু মুডুদের চেয়ে দেশের প্রশাসন আরেক কাঠি সরেস, আমাদেরকে হাড়ে হাড়ে চেনেন তাঁরা। তাঁরা ঠিকই বুঝতে পেরেছেন যে কিবরিয়া হত্যা, ইলিয়াস গুম্, আরও শত শত এমন ঘটনা আর দুর্ঘটনার মত আমরা কিছুদিন পরই ভুলে যাব এই হত্যা কাণ্ড। হয়েছেও তাই। সাগর-রুনি কে নিয়ে লেখা ব্লগ কমতে কমতে এখন প্রায় শুন্যের কোঠায়। সাংবাদিক সংগঠন গুলোও কান্ত হয়ে যে যার বাড়ী ফিরে গেছেন বোধ করি, খুব একটা আর রাস্তায় দেখা যায় না তাদের। নিউজ চ্যানেল গুলোও আর এই পুরন বিষয় নিয়ে এয়ার টাইম নষ্ট করতে নারাজ। কত সহজেই না ক্লান্ত হয়ে যাই আমরা। মাঝে মাঝে ভাবি, মুক্তিযুদ্ধটা আর কিছু দিন দীর্ঘায়িত হলেই হয়তো আমাদের আর জয় পাওয়া হতো না। হয়ত আমরা পরাজয়কে নিয়তি হিসেবে মেনে নিয়ে যে যার ঘরে ফিরে যেতাম। একই কারনে আমরা হয়তো টেষ্ট ক্রিকেটেও জিততে পারি না, টেনাসিটি নেই। শুনেছি, পলাশির প্রান্তরে যুদ্ধ দেখতে নাকি সেদিন হাজার হাজার বাঙ্গালি জড়ো হয়েছিল। কিন্তু মীরজাফর মীরজাফরি করায় সত্যিকার অর্থে কোন যুদ্ধ না করেই ইংরেজদের কাছে আমারা হেরেছি। ব্যর্থ মনোরথে নাকি সেদিন যুদ্ধ দেখতে আসা “বাঙ্গালিরা” ঘরে ফিরে গিয়েছিল কোন যুদ্ধ দেখা হল না বলে। সেদিন যদি ওই অল্প ক’টা ইংরেজ সৈন্যের উপর বাঙ্গালিরা একটা করে ঢিলও ছুড়তো তাহলে আজ ইতিহাস অন্য রকম হত। কিন্তু কেউ সেটা করেনি!
দুর্ভাগ্য সাগর-রুনির, ওদের কোন রাজনৈতিক এলাইনমেন্ট নেই। থাকলে হয়ত আশ্বাস থাকতো যে, ওদের এতিম হয়ে যাওয়া ছেলেটি (মেঘ) অন্তত ৩৫ বছর পর হলেও এর বিচার করবে বা প্রতিশোধ নেবে। মেঘের বাবা-মা আর্মিতেও ছিলেন না, যে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ওদের কলিগ্রা বন্দুক নিয়ে বেরিয়ে পরবে বা ধরে এনে অপরাধীদের কোর্ট মার্শাল করবে। তাই আসুন, আমার মত শর্ট টার্ম মেমোরি সম্পন্ন আর হতোদ্যম মানুষদের জন্য যেটা মানায়, সেটাই করিঃ
১। –সাগর- রুনির বিচার চাওয়া এই স্টিকি পোস্টটি সরিয়ে ফেলে ওদের মুক্তি দেই (আর আমারও লজ্জার হাত থেকে বাঁচি)। - কারন হয়ত এই স্টিকি পোস্টটি সামু ব্লগকে অনন্ত কাল বয়ে বেরাতে হতে পারে!
২। - কবর থেকে উঠিয়ে ওদের আর অপমান না করি।
৩। -টেস্ট ক্রিকেট খেলা থেকে বিরত থাকি, শুধু অল্পেতেই সাফল্য আসে তেমন খেলাই খেলি।
৪। - ভবিষ্যতে এমন যুদ্ধে অবতীর্ন হওয়ার ঝুঁকি না নিই, যে যুদ্ধ দীর্ঘ দিন চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
৫। -এমন স্টিকি পোস্ট না দিই, যেটা আজীবন কপালে লেগে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৭