একথা অনিবার্য সত্য যে, লেখা মানুষের অন্তরতাগাদায় সৃষ্টি হয়। জোর করে লেখা যায় না কিংবা লেখক হওয়া যায় না। হৃদয়ের ঘরে কেউ একজন সারাক্ষণ হাতুড়িপেটা করে চেতনালোকের অভিজ্ঞতার সারবত্তা প্রকাশের জন্য। সেই থেকে লেখালেখির সাথে যে ঘরবসতি শুরু হয়েছিল তা প্রায় যুগ পেরিয়ে গেল। কিন্তু তেমন কিছুই তো করা গেল না। কেমন যেন একরাশ হতাশা ঘিরে ধরে...
প্রথমে দৈনিক এবং লিটল ম্যাগাজিনগুলোতে লেখা প্রকাশের মধ্য দিয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল। এরপর জনৈক এক সুহৃদ ব্লগারের নিকট থেকে জানতে পারলাম তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে মনের কথাগুলো বিশ্বব্যাপী স্বভাষি মানুষের নিকট পৌঁছে দেয়ার প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে। সেও বছর দুয়েক আগের কথা। প্রথম দিকে প্রচণ্ড উৎসাহ আর একটা টান বোধ করতাম ব্লগের প্রতি। কিন্তু ক্রমেই দিন বদলেছে আর চিন্তাগুলো জট পাকিয়ে গেছে, ব্যস্ততাও বেড়েছে বাস্তব জীবনে। ফলে এখন আর আগের মতো ব্লগে বসা হয় না। আপনাদের সাথে মনের ঘরে আতিপাতি করা কথাগুলো শেয়ারও করা হয় না। তাছাড়া প্রথম দিকের সেই তীব্র আকর্ষণও কমে গেছে।
এর সঠিক কারণ ব্যাখ্যা হয়তো করতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি আমি এমন এক দুর্ভাগা ব্লগার যে, আমার লেখা বেশির ভাগ ব্লগারই পড়েন না; যারাও বা পড়েন তারাও মন্তব্যবিহীন ঘুরে যান। ফলে পাঠকের প্রতিক্রিয়া জানা হয় না। এসেব বিবেচনায়, এখন মনে হয়-- ব্লগের পাঠকবৃন্দ সম্ভবত আমাকে গ্রহণ করেন নি। অতএব এই প্ল্যাটফর্মে আমার সত্যি কি আর দাঁড়িয়ে থাকা উচিত?