এক.
নিজকল্পা : কথাসাহিত্যের ছোটকাগজ
১ম বর্ষ : ১ম সংখ্যা, বগুড়া : ফেব্রুয়ারি ২০১২ মূল্য : ৬০ টাকা প্রচ্ছদ : তৌহিক হাসান পৃষ্ঠা : ১৪৪
সম্পাদক : কবীর রানা
‘নিজকল্পা’র এটিই প্রথম সংখ্যা। ছোটকাগজের ভুবনে নতুন অতিথি ‘নিজকল্পা’কে স্বাগতম ও সাধুবাদ। পত্রিকাটি ঘোষণা দিয়েই জন্ম নিয়েছে যে, কথাসাহিত্য নিয়ে তার কাজকর্ম ও পথচলা। প্রথম এ সংখ্যাটিতে তিনটি পর্ব আছে : এক. প্রবন্ধ (কথাসাহিত্য বিষয়ক), দুই. গল্প, তিন. বই আলোচনা (গল্প বিষয়ক)। প্রথম ভাগে ৫টি প্রবন্ধে কথাসাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা ও মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ পর্যায়ে আবদুল্লাহ ইকবাল গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবন্ধ লিখেছেন ‘ছোটগল্পের স্টাইল : একটি জন্মান্তর নিরীক্ষা’ বিষয়ে। তাঁর আলোচনা স্বাধীন এবং সমসাময়িক গল্প রচয়িতাদের জন্য একইসাথে গুরুত্বপূর্ণও বটে। প্রবন্ধ ছাড়া সম্পাদক কবীর রানাসহ মোট ১৪ জন গল্পকারের ছোটগল্প এবং তৃতীয়ভাগে দুটো গল্পগ্রন্থের মূল্যায়ন নিয়ে ‘নিজকল্পা’র শরীর প্রায় দেড়শ পৃষ্ঠার। সম্পাদক কবীর রানাকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে তিনি শুধুই কথাসাহিত্য নিয়ে একটি ছোটকাগজ প্রকাশের সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বিধায়। একইসাথে সম্পাদক হিসেবে তাঁর দুর্বলতা হচ্ছে একই লেখকের একাধিক লেখা একটি সংখ্যায় প্রকাশ করা। আশাকরি তিনি প্রথাগত এবং গোষ্ঠীবদ্ধ সাহিত্যচর্চা এবং ঈর্ষাপরায়ণ লেখকগোষ্ঠী পরিবেষ্টিত না হয়ে নিজস্ব ঢঙে ‘নিজকল্পা’ আগামীতে আরো সমৃদ্ধ করবেন। সম্পাদক এবং ‘নিজকল্পা’র ভবিষ্যৎ চলার পথ মসৃণ হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
দুই.
বাঙলা সাহিত্যিকী : সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক ষাণ¥াসিক গবেষণা পত্রিকা
নব পর্যায় : ১ম সংখ্যা, রাজশাহী : বাংলা বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, এপ্রিল ২০১২। মূল্য : ১০০ টাকা। প্রচ্ছদ : পলিন। পৃষ্ঠা : ৩৫২
সম্পাদক : ড. মো. ইব্রাহিম আলী । সহযোগী সম্পাদক : মো. ইকবাল হোসেন
রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে গবেষণা পত্রিকার ‘রবীন্দ্র-নজরুল’ সংখ্যা বের হয়েছে দীর্ঘ ৬০ বছর বন্ধ থাকার পর। ১৯৪৮ সালে রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে এ গবেষণা পত্রিকাটির কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশিত হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে প্রায় অর্ধশতাব্দীকাল আর তা প্রকাশিত হয় নি। সম্পাদকের কথানুযায়ী ১৯৯০ সালে পত্রিকাটি প্রকাশের পুনরায় উদ্যোগ নেয়া হলেও পরিণামে তা সফল হয় নি। ফলে এ বছর প্রকাশিত পত্রিকাটিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশ করা হয়েছে নব পর্যায় প্রথম সংখ্যা হিসেবে।
‘বাঙলা সাহিত্যিকী’ এবারের নবক্রমিক সংখ্যাটি ‘রবীন্দ্র-নজরুল সংখ্যা’। সংখ্যাটি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের নামে করা হলেও পত্রিকার অভ্যন্তরে সূচিক্রমের দিকে তাকালে দেখা যায় মোট ৩টি পর্বে সজ্জিত প্রবন্ধগুলো রবীন্দ্র-নজরুলের বাইরেও ৯টি বিভিন্ন বিষয়ে রচিত প্রবন্ধ রয়েছে। প্রথম ভাগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের নানাদিক নিয়ে ১১টি প্রবন্ধ রচনা করেছেন দেশের নামিদামি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-লেখকগণ, দ্বিতীয় ভাগে নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম নিয়ে রচিত ৮টি প্রবন্ধ আছে। এরপরে তৃতীয় বিভাগের ৯টি প্রবন্ধ বিচিত্র বিষয়ে রচিত। ৩৫২ পৃষ্ঠার দৈহিক কলেবরে ‘বাঙলা সাহিত্যিকী’র লেখকবৃন্দের প্রায় সকলেই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। ফলে তাঁদের সম্বন্ধে বিশেষ কোনো মন্তব্যের সুযোগ নেই। তাছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক লেখায় সেই অর্থে ফাঁকফোকর খোঁজারও সুযোগ নেই। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত ২৮টি প্রবন্ধ থাকলেও সবগুলো রচনায় গবেষণার প্রচলিত নিয়মকানুন রক্ষিত হয় নি। ফলে গবেষণা পত্রিকা হিসেবে ‘বাঙলা সাহিত্যিকী’র মান কিছুটা ক্ষুণœ হয়েছে। প্রত্যাশা করি, ভবিষ্যতে প্রবন্ধ প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পাদনা পরিষদ আরো দায়িত্বশীল হবেন। রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে ‘বাঙলা সাহিত্যিকী’র মতো একটি মানসম্পন্ন প্রকাশের জন্য সম্পাদক ও সম্পাদনা পরিষদকে আমরা সাধুবাদ জানাই এবং আগামীর পথচলা মসৃণ হোক কামনা করি।
তিন.
প্রয়াসী : সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বার্ষিক প্রকাশনা
২৬ বর্ষ : ১৮ সংখ্যা, দিনাজপুর : উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, এপ্রিল ২০১২ মূল্য : (লেখা হয় নি, ইচ্ছাকৃত অথবা ভুলক্রমে) প্রচ্ছদ : জাহিদ মুস্তাফা পৃষ্ঠা : ২২১+
সম্পাদক : জলিল আহমেদ
‘প্রয়াসী’র পথচলা দীর্ঘ দুই যুগের বেশি। এ সংখ্যাটি উৎসর্গ করা হয়েছে : প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন, চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং মিডিয়াকর্মী মিশুক মুনীরের পুণ্যস্মৃতির উদ্দেশ্যে। ‘প্রয়াসী’ অঙ্গসৌষ্ঠবে রয়েছে সমাজ ভাবনা বিষয়ক ৬টি প্রবন্ধ। লিখেছেন দেশের বরেণ্য লেখক আনু মুহাম্মদ, মফিদুল হকের মতো প্রগতিশীল চিন্তাচেতনার ধারকবাহকগণ সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। এরপর আশি-নব্বই দশকের কবিদের কবিতা এবং পরবর্তী পর্যায় রবীন্দ্র-ভাবনা বিভাগে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের স্থান হয়েছে। এ বিভাগের পরে নব্বই দশকের পরবর্তী কবিদের কবিতা এবং জারিগান সম্বন্ধে তরিকুল আলমের ভিন্নধর্মী একটি প্রবন্ধ রয়েছে। এছাড়া আছে ৬টি গল্প এবং ভিন্ন ভাবনা বিভাগে ৩টি তাৎপর্যপূর্ণ প্রবন্ধ। এগুলো হচ্ছে ‘আবুবকর সিদ্দিকের মুক্তিযুদ্ধের গল্প : প্রসঙ্গ মরে বাঁচার স্বাধীনতা’, ‘লিটল ম্যাগাজিন ও লিটল ম্যাগাজিনওয়ালা’ এবং পশ্চিমবঙ্গের মার্কসবাদী চিন্তাচেতনার অগ্রপুরুষ কবি রাম বসুর কাব্যনাটক নিয়ে গবেষণাধর্মী মূল্যায়ন। সামগ্রিকভাবে ‘প্রয়াসী’র পূর্বের সংখ্যাগুলোর চেয়ে এবারের সংখ্যাটি সমৃদ্ধ। সাহিত্যপ্রেমী পাঠকদের পত্রিকাটি ভালো লাগবে। ‘প্রয়াসী’র ভবিষ্যৎ যাত্রা আরো সমৃদ্ধতর হবে এমন প্রত্যশা করি।
চার.
ধমনী : সাহিত্য-সংস্কৃতির দ্বিমাসিক পত্রিকা
৭ম বর্ষ : ১ম সংখ্যা (গালি সংখ্যা), কিশোরগঞ্জ : ফেব্রুয়ারি ২০১২ মূল্য : ১০০ টাকা । প্রচ্ছদ : চারু পিন্টু পৃষ্ঠা : ২৭৮
সম্পাদক : আবদুল মান্নান স্বপন
সম্পাদক আবদুল মান্নান স্বপনের ব্যতিক্রমী চিন্তাচেতনার ফসল ‘ধমনী’ পত্রিকার বর্তমান ‘গালি সংখ্যা’। বলাই বাহুল্য সম্পাদক সাহসের পরিচয় দিয়েছেন বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত ট্যাবু নিয়ে এরকম একটি সমৃদ্ধ কাজ করার ক্ষেত্রে। সম্পাদক নিজেই ভাষাতত্ত্বের উপর আগ্রহী মানুষ। ফলে তিনি পত্রিকাটির এ সংখ্যাটিতে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অশ্লীল শব্দাদি যা ভাষাতত্ত্বে ট্যাবু হিসেবে গণ্য করা হয়, তা উদ্ধারের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে প্রয়াস গ্রহণ করেছেন। পত্রিকাটির এ সংখ্যার মাধ্যমে বাংলা ভাষায় চল আছে মানুষের মুখে মুখে কিন্তু তা ভদ্রসমাজে ব্যবহার হয় না, হলেও তা অশ্লীল হিসেবে গণ্য হয় এমন শব্দরাজির সন্ধান করা হয়েছে। এসব শব্দের উৎস সন্ধানের প্রয়োজনে সম্পাদক সাহিত্য-সমাজ-সংস্কৃতিতে এবং অঞ্চলভিত্তিক ব্যবহৃত গালিগালাজ তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। পত্রিকার প্রথম ভাগে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় ব্যবহৃত অশ্লীল শব্দরাজির উৎস খুঁজে বের করার লক্ষ্যে ১৫টি প্রবন্ধের সমাবেশ ঘটেছে। এরপর সংকলন করা হয়েছে ৫টি কবিতা, যেগুলোতে গালি কিংবা অশ্লীল শব্দাদি রয়েছে। এরপর ৪টি গল্প এবং এসময়ের কবিদের রচিত ১০টি কবিতার সমাবেশ ঘটেছে সম্পাদকের একই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। পরবর্তী পর্যায় আরো ১৫টি প্রবন্ধের মাধ্যমে খুলনা, যশোর, দিনাজপুর, রংপুর, বরিশাল, বগুড়া, ফরিদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাজশাহী, পাবনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া এবং ঢাকা অঞ্চলে প্রচলিত আছে এমন গালিগালাজ নিয়ে প্রবন্ধ রয়েছে। সম্পাদক নিজে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার গালিগালাজ নিয়েও একটি সমৃদ্ধ প্রবন্ধ রচনা করেছেন। সম্পাদক আরো এগিয়ে বাংলা জনপদের আদিবাসী চাকমা, মরামা, গারো, হাজং, সাঁওতাল, খিয়াং, খুমি প্রভৃতি গোষ্ঠীর সমাজ জীবনের গালিগালাজ সম্বন্ধেও ৪টি প্রবন্ধ ‘ধমনী’র এ সংখ্যায় সংযোজন করেছেন। এরপরে তিনি হাত বাড়িয়েছেন দেশের বাইরে ভারতের আসাম, কলকাতা, ত্রিপুরার যেসব অঞ্চলে বাংলা ভাষাভাষির মানুষ আছে তাদের সমাজে প্রচলিত অশ্লীল শব্দরাজি নিয়ে আরো ৩টি ঋদ্ধ প্রবন্ধ রেখেছেন পত্রিকায়। প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠার ‘ধমনী’ পত্রিকার এবারের সংখ্যাটি বাংলা ভাষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক গবেষণাধর্মী কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সম্পাদকের বহুস্তর বিশিষ্ট ভিন্ন ভাবনা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। একইসাথে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই বাংলা ভাষার এসব ট্যাবু নিয়ে কাজ করার মতো সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। ইতোমধ্যে তিনি বাংলা ভাষায় প্রচলিত এসব গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দরাজির একটি অভিধান প্রণয়নের কাজও প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছেন। ধন্যবাদ সম্পাদক আবদুল মান্নান স্বপনকে বাংলা ভাষার অনালোকিত ট্যাবু নিয়ে কাজ করে তা আলোতে বের করে আনায়। তাঁর ভাষা বিষয়ক চর্চা অব্যাহত থাকলে বাংলা ভাষার আরো অনেক বিষয়ের অনুদ্ঘাটিত দিকের সন্ধান আমরা পাবো বলে প্রত্যাশা করি।
পাঁচ.
মৃদঙ্গ
১১ বর্ষ : ৭ম সংখ্যা (পরিবর্ধিত সংখ্যা), রাজশাহী : মুক্তসাহিত্য সমাবেশ, জুন ২০১২ মূল্য : ৮০ টাকা । প্রচ্ছদ : আসাদুজ্জামান খোকন পৃষ্ঠা : ২০৮
সম্পাদক : কামরুল বাহার আরিফ
প্রায় এক যুগ ‘মৃদঙ্গ’ পত্রিকার বয়স। পত্রিকাটি ১১ বছর অতিক্রম করলেও প্রকাশিত সংখ্যা ৭টি। তারপরও তিনি ধন্যবাদ ও প্রশংসার দাবিদার। কারণ, পকেটের টাকা খরচ করে তিনি প্রায় যুগব্যাপী সাহিত্যসেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। ‘মৃদঙ্গ’ পত্রিকার ৭ম সংখ্যাটি বিশিষ্ট কবি গীতিকার রম্যলেখক আনোয়ারুল আবেদীনকে নিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। ক্রোড়পত্র অংশে আনোয়ারুল আবেদীনকে নিয়ে ১২টি প্রবন্ধ ও স্মৃতিকথা ছাড়াও তাঁর জীবনপঞ্জি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া পত্রিকায় ষাটের দশকের গুরুত্বপূর্ণ অথচ নিভৃতচারী কবি জুলফিকার মতিনকে নিয়ে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার রয়েছে স্বয়ং সম্পাদকের নেয়া। ‘শতশতাব্দীর লোকগাথা ও আমরা’ শিরোনামে নাতিদীর্ঘ একটি নিবন্ধ রচনা করেছেন আশফাকুল আশেকীন। পরবর্তী পর্যায় ২৮জন কবির কবিতা এবং সমকালের ৫টি গল্পও রয়েছে পত্রিকার এ সংখ্যায়। অনুবাদ বিভাগে দুলাল আল মনসুর কর্তৃক ভারত উপমহাদেশের কৃতী চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের দুটো সাক্ষাৎকার এবং এডগার এলেন পো’র গল্প ছাড়াও কাহলিল জিবরান, নেসলি মারমন সিলকো রচিত কবিতার অনুবাদ রয়েছে ‘মৃদঙ্গে’র বর্তমান সংখ্যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘মৃদঙ্গ’ পত্রিকাটির ৭ম সংখ্যাটি বেরিয়েছিল মূল এ বছরের বইমেলাকে কেন্দ্র করে ফেব্রুয়ারি মাসে। প্রকাশের পর পত্রিকাটির চাহিদা এতোটাই ছিল যে, সম্পাদককে জুন মাসের মধ্যেই পরিবর্ধিত একটি সংস্করণ প্রকাশ করতে হয়েছে। এই বিবেচনায় ছোটকাগজের সম্পাদক হিসেবে কামরুল বাহার আরিফের কৃতিত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। পরিশেষে আমরা বলতে পারি ‘মৃদঙ্গ’ পত্রিকার নিপাট পরিচ্ছন্নতা চোখে পড়ার মতো। পত্রিকাটি আরো দীর্ঘপথ পাড়ি দেবে এমন প্রত্যশা রইল।