আমার স্কুল জীবন শুরু হয় ইংলিশ মিডিয়ামে Oxford International School। আমার জীবন গড়ার ক্ষেত্রে এই স্কুলটির ছিল বিশাল ভুমিকা। আজকের যে অংশটির গল্প বলব তার পুরটাই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলটির সময়কালের। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এ প্লে গ্রুপ এ যখন ভর্তি হলাম তখন আমার বয়স ৪ বছর। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ওখানে সবাই আমার চেয়ে বয়সে বড়। ক্লাসে আর কিছু ভাল না লাগলেও ভাল লাগত টিফিন পিরিয়ডটা। সবাই ভাগাভাগি করে টিফিন খেতাম। সেই সময় আমাদের একটা অদ্ভুত নিয়ম ছিল। সাধারণত ছেলেরা মেয়েদের ফুল দেয়। আর অইখানে পুরা উল্টা ! মনে কইরেন না মেয়েরা ছেলেদের ফুল দেয় আসলে ছেলে মেয়ে সবাই ম্যাডামদের ই ফুল দিত। আর আমাদের ম্যাডামরাও ছিলেন ইয়াং। ফুল পেয়ে সবাই লাল হইয়া যাইতেন। কিন্তু একদিন ঘটল বিপদ। এক ছেলের এক ম্যাডামরে ভাল লাগতো না। ম্যাডাম নাকি খালি ওকেই নাকি বকত। শেষে ও একদিন ম্যাডাম এর জন্য ফুল নিয়ে গেল। আমরা তো অবাক। শেষে ম্যাডাম ফুলের ঘ্রাণ নিতে গিয়ে হাঁচি দিতে দিতে শেষ!! কারণ অই ফুলের মধ্যে ছিল গোলমরিচের গুড়া! যাহোক আমার অই বন্ধু অই দিনই তার অই স্কুল বাদ দিল।
KG তে আইসা আরও অনেক কাহিনী হইল। আমি আর আমার দোস্তরা ততদিনে পাকা শয়তান হয়া গেসি। ক্লাসে মেয়েদের জালাত্বন করি। আমি জালাত্বনের দলে থাকলেও আমার রোল ছিল ৩। তাই ম্যাডামরা আমারে কিছু বলতও না। তবে আমাদের মধ্যে নারীবিদ্বেষী মনোভাব ছিল প্রবল। আবার আমাদের কিছু নিয়ম ছিল। আমরা মেয়েদের অস্পৃশ্য বলে মনে করতাম। তাই কারো সাথে ঝগড়া হলে তাকে সবাই মিলে মেয়েদের বেঞ্চে ধরে ফেলে দিতাম! তাতে সেও হয়া যাইত অস্পৃশ্য!
সেই সময় আমরা ডাকাতিও করতাম ।মেয়েরা বিভিন্ন চকলেট আর চিপস দিয়ে পার্টি দিত। আমাদের কাজ ছিল সেইগুলি ডাকাতি করা। একবার স্কুলে আমি আমার আম্মা সহ রেসাল্ট নিতে গেসি আর ক্লাসের মেয়েরা চিৎকার শুরু করল “ডাকাত!!” “ডাকাত!!” আম্মা জানতে চাইলেন কি বিষয়। আমি কিছু না বলে সাধু সাজলাম। পরে ম্যাডাম বলে দিলেন আসল ঘটনা আর আমি পড়লাম বিপদে। পরে পুরটা KG ক্লাস জীবন আমার নাম হয়া গেল ডাকাত!!
বাকি কাহিনী পরে শেয়ার করব।
আপাতত ঈদ মোবারক।