গ্রাম এলাকায় সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা 'সাইন্স' নেয়, মধ্যমানের শিক্ষার্থীরা 'বিজনেস স্টাডিজ'; এবং দুর্বল শিক্ষার্থীরা 'আর্টস'।
শহুরে এলাকায় এর ভিন্নতা দেখা যায়। ভালোরা নিক কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো, যে শিক্ষার্থী 'সাইন্স' বানানই করতে পারে না, সেও 'সাইন্স' নেয় ('সাইন্স' না দিলে পড়ালেখা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। মা-বাপও তাদের সাথে মিল দেয়। বেসরকারি স্কুলগুলো ব্যবসায়ের স্বার্থে ভর্তি করে নেয়)।
'বিজনেস স্টাডিজ'ও নেয় কেউ কেউ, যারা কিঞ্চিৎ অবহেলিত, মানে, মা-বাপ যাদের 'কেয়ার' একটু কম নেয়।
'আর্টস' কেউ নেয় না বললেই চলে।
আমাদের মন্ত্রী পরিষদের দিকে তাকালে দেখা যায় বেশিরভাগই 'আর্টস' এর শিক্ষার্থী। 'সাইন্স' বা 'বিজনেস স্টাডিজ' এর আছেন অনেকেই, তবে ঠিক ক্ষেত্রে আছেন বলে মনে হয় না। যার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে থাকার কথা, ওনি আছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। যার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে থাকার কথা ওনি আছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে।
যিনি 'আর্টস' এ পড়েছেন, ওনার দায়িত্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে। যিনি 'বিজনেস স্টাডিজ' এ পড়ালেখা করেছেন, ওনি এমন এক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, যেখানে 'বিজনেস' এর নামগন্ধও নেই।
এরা যে ঠিক ঠিক বিভাগে নেই তার ফলাফল কিন্তু আমরা হাতে নাতে পেয়েছি। বিভিন্ন সময় এদের ব্যর্থতাগুলো ভয়াবহরুপে সামনে এসেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বিভিন্ন সময়।
এই ব্যর্থতাগুলো আমাদের মগজের ধারণক্ষমতা কতটুকু স্পষ্ট করে দেখিয়েছে। আমাদের মগজ যে পিগমি-লিলিপুটের মগজের কাছাকাছি সেটা বারবার বোঝা গেছে।
বলছি না যে সবাই অদক্ষ। দক্ষতা আছে অনেকের তবে ঠিক জায়গায় না থাকায় হয়ত দেখাতে পারছেন না।
যে মেয়ে 'নাচ' শিখতে চায় তাকে বলা হয় 'ডাক্তার' হতে, যে ছেলে 'গান' শিখতে চায় তাকে বলা হয় 'ইঞ্জিনিয়ার' হতে। এই হলো অবস্থা।
এরা এক বিবমিষা নিয়ে বড় হয়। এদের কাছ থেকে দেশ ও জাতি কী আশা করতে পারে?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩১