ছোট্ট বাচ্চাদের (এমনকি বড়োদেরও) যদি জিগ্যেস করা হয়, "পথেঘাটে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা তারা কী করবে?"
নিঃসন্দেহে উত্তর দেবে, মসজিদে দেবে। মসজিদ যদি নির্মাণাধীন হয়, তাহলে দান করতে সমস্যা নেই। কিন্তু যদি সম্পন্ন হয়? তাও মসজিদেই দেবে। কেন দেবে? মসজিদের তো মুখ নেই যে সেই টাকায় কিছু খাবে। মসজিদের উন্নয়ন কর্মসূচিও তো নেই।
মসজিদে টাকা দেবে। কারণ, হুজুররা শিখিয়ে দিয়েছে মসজিদে দান করলে সওয়াব হবে। ব্যাস। এটুকুই। মসজিদের টাকা কমিটির লোকদের পেটেই যায়। এটা বোঝার জ্ঞান অনেকের নেই। পত্রপত্রিকায় দেখা যায় অমুখ মসজিদের সভাপতি টাকা মেরে দিয়েছে, তাও বোধোদয় হয় না অনেকের। এই টাকাটা মাদ্রাসার বোর্ডিংয়েও দেওয়া যেত কিন্তু। ফকির-মিসকিনদেরও দেওয়া যেত।
মানুষ সবকিছুতেই ধর্ম খুঁজে। খেলার মধ্যেও ধর্ম খুঁজে। অথচ কিছু কিছু খেলা ধর্মে নিষিদ্ধ। কিছুদিন আগে এহসান গ্রুপ নামে একটা গ্রুপ হালাল ব্যবসার মুলা ধরিয়ে লোকজনের টাকা মেরে দিল। তবুও লোকজনের হুঁশ হয় না। এই লোকেরা বসুন্ধরার এমডি, যে আবার একটা হত্যাকাণ্ডের দায়ে অভিযুক্ত, তাকে জাতীয় মসজিদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি বানায়। টাকার দৌড় বলে কথা। টাকা খেয়ে হুজুরেরা তাকে বড়ো বুজুর্গ লোক বলে স্বীকৃতি দিয়ে দেন। অবশ্য এসব নতুন কিছু না। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই দেখে আসছি। আমাদের এলাকায় মসজিদের সভাপতি ছিলেন একজন জুয়াড়ি, যে আবার সৎ ভাইকে সম্পত্তি বঞ্চিত করেছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২০