ইণ্ডিয়ান একজন গায়ক মারা গেছেন, ওনি আবার বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়। যে অডিটোরিয়ামে ওনি গান গাইছিলেন, ধারণক্ষমতার চার গুন লোক হয়েছিল। এসি বন্ধ ছিল। জ্বলছিল বিশাল বিশাল পাওয়ারের লাইট। দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। গায়ক ঘেমে নেয়ে গেছিলেন। বারবার বলছিলেন লাইট বন্ধ করে দাও, এসি চালু করো। আয়োজকরা কর্ণপাত করে নি। ফলাফল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
স্বাভাবিকভাবে রাগ হওয়ার কথা আয়োজকদের ওপর। কিন্তু আমার রাগ খোদ গায়কের ওপর। ওনার কী এমন দায় পড়েছিল জীবন বিসর্জন দিয়ে গান শোনানোর?
ওনি বেরিয়ে গেলে নিন্দুকেরা অনেক কানাঘুঁষা করত কিন্তু ওনি তো বেঁচে যেতেন। জীবনের চেয়ে ভক্তদের আবদার বেশি দামি? ওনি পরবর্তীতে ভক্তদের খুশি করতে পারতেন না?
২
ছেলেটা মেয়েটাকে বলল গোপনে বিয়ে করবে। মেয়ে পরিবারসহ রাজি। বিয়ে হলো। বিয়ের কিছুদিন পর ছেলে যৌতুক চায়। মেয়ে লাখখানেক টাকা দেয়। ছেলে আরও চায়। এবার মেয়ে বেঁকে বসে। ছেলেটা লাপাত্তা।
আচ্ছা, যে ছেলে বিয়ে গোপন করে সে প্রতারক বোঝাই যায়। মেয়ে বা মেয়ের পরিবারের মাথায় কি ঘিলুও ছিল না? এখন বুঝুক ঠ্যালা।
আরও একটা ঘটনা এর সাথে প্রাসঙ্গিক। প্রবাসী দেশে এসে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর দেখা গেল ওনার আরও একজন বউ আছে। এখন নতুন বউ তালাক চায়। আচ্ছা, টাকা পয়সা দেখেই কি মাথা ঘুরে গিয়েছিল? একবারও ছেলের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া গেল না?
৩
বাসায় সুন্দরী বউ। স্বামীর বয়স বেশি। স্বামী এক লোককে ঘন ঘন বাসায় নিয়ে আসেন। জমিজমা নিয়ে কী সব কথাবার্তা বলেন৷ একসময় দেখা গেল স্বামীর অবর্তমানে ওই লোকের সাথে বউয়ের পরকীয়া। তিন সন্তান রেখে পলায়ন। এমন এক লোকের সাথে পলায়ন, যে মহিলার মেয়ের দিকেও নজর দিয়েছিল। ভাবা যায়? যৌন অতৃপ্তি মানুষের হিতাহিত জ্ঞানও লোপ করে দেয়?
যাহোক, মহিলা যে খুব সুখী তা না। সতিন নিয়ে সংসার। নাক চোখের পানি এক।
মহিলার পূর্ববর্তী স্বামী বিদেশ থাকার সময় টাকা পাঠাতেন মায়ের নামে। সে জমি এখন সব ভাইদের। যিনি টাকা পাঠাতেন, ওনি ছেলেমেয়েদের কোনো চাহিদাই পূরণ করতে পারেন না।