মেয়েরা বাইরে আসছে, কাজ করছে; অর্থনীতি-সংস্কৃতি সহ সকল খাতে অবদান রাখছে। এক শ্রেণির মানুষ বাহবা দিচ্ছে, অন্য শ্রেণি সমালোচনা করছে। যারা বাহবা দিচ্ছে, তাদেরকে তুলনা করা হচ্ছে শেয়ালের সাথে। বলা হচ্ছে, শেয়াল তো মুরগির স্বাধীনতা চাইবেই। তাতে তাদের শিকারে সুবিধা।
অনেক সময় এটা সত্যি হয়। অনেকে সত্যি সত্যিই অসহায় মেয়েদের সুযোগ নেয়। কিন্তু সামগ্রিকভাবে কি শেয়ালের সাথে তুলনা করা উচিত? যারা নারী মুক্তির কথা বলে তারা সকলেই কি শেয়াল?
তাই যদি হয়, নারীদের কী করা উচিত? ঘরে বন্দি হয়ে থাকা? না কি নারীমুক্তি বিরোধীদের পশ্চাদ্দেশে লাথি দেয়া আর শেয়ালের সাথে লড়াই করা?
আরও একটা বিষয় প্রচলিত। কোন মেয়ে যদি একটু খোলামেলা চলে, সে যদি নির্যাতিত হয় তাহলে এই শ্রেণি বলে খোলা খাবারে মাছি বসবেই। যদিও দেখা যায় অনেক পর্দানশীন নারীও নিপীড়িত হয়, তবুও মুখস্ত বুলিটা আওড়ানো বন্দ হয় না। অনেকে তো ধর্ষনের জন্য সরাসরি পোষাককেই দায়ী করে। নিজের অবদমিত যৌনাকাঙ্ক্ষাকে পাশ কেটে চলে।
আমরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজে চলি। এখানে পুরুষের মতামতই সই। এখন কথা হলো, সমাজটা যদি নারীতান্ত্রিক হতো, তখন কী ঘটত? এখন নারীদের প্রতি সমাজের যা মনোভাব, একই মনোভাব কি পুরুষদের প্রতিও থাকত না? তখনও কি বলা হতো না পুরুষের পোষাক তাদের ধর্ষণে দায়ী? পুরুষদের কি মুরগির সাথে তুলনা করা হতো না? খোলা খাবারের সাথে তুলনা করা হতো না? তাহলে ঘটনা তো একই দাঁড়ালো।
ধর্ষণের জন্য দায়ী কী আসলে? পোষাক না কি অবদমিত যৌনাকাঙ্ক্ষা?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৮