২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী লীগের। গঠন করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তারা নির্বাচনী রোডম্যাপ না দেওয়ায় এবং জামায়াত সুযোগসুবিধা বেশি পাওয়ায় বিএনপি একটু ব্যাকফুটে আছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা করায় সরাসরি পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের ওপর তারা যথেষ্টই নমনীয়। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় বিএনপি সমর্থন জানায়নি। বলেছে, তারা কোনো সংগঠন নিষিদ্ধের পক্ষে নয়। রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে অপসারণেও তারা একমত নয়। বলতে গেলে তাদের আপত্তিতেই রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা যায়নি। আসলে বিএনপি বুঝতে পারছে ক্ষমতার পালাবদল হলে তাদের ওপরও অত্যাচারের খড়গ নেমে আসতে পারে। তাই তারা নিরাপদ জোনে থাকতে চাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির অবস্থানের প্রশংসা করেছেন। যিনি এত বছর বিএনপির বদনাম করে এলেন, তার কথাবার্তায় উল্টো সুর আমাদের এটা বোঝায়, রাজনীতিতে কেউ চিরস্থায়ী শত্রু নয়। এমন সময় আসতে পারে জামায়াত বা সমন্বয়কদের বিপক্ষে একযোগে কাজ করবে আওয়ামী লীগ-বিএনপি। আজকে চাঁদপুরের হাইমচরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নেওয়ায় আহসান হাবিব (২৭) নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ককে কুপিয়েছেন বিএনপির কর্মীরা।
বিএনপির কিছু দোষত্রুটি থাকলেও আশা করা যায় গত ১৫ বছরে তারা নিজেদের সংশোধন করে নিয়েছে। তারা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাস করে বলেই জানি। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে যে ভুল রাজনীতি করেছে, বিএনপি নিশ্চয়ই তেমন কিছু করবে না। করার আগে আওয়ামী লীগের পরিণতির কথা ভাববে নিশ্চয়ই?