
গত বছরের জুলাইয়ে আন্দোলনে গিয়ে এই ছেলেটা একটি হাত হারিয়েছিল। পরবর্তীতে কৃত্তিম হাত লাগানো হয়। গতকাল সংসদ ভবন এলাকায় পুলিশের ধরপাকড়ের একপর্যায়ে সে রাস্তায় পড়ে যায়। তার সেই কৃত্তিম হাতটিও পাশে পড়ে ছিল।
ছবিটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জুলাইয়ে নিহত আরো কয়েকজনের পরিবারের লোকজনকে দেখলাম ফ্যাসিস্ট ট্যাগ দেওয়া হয়েছে। মানে তারা বলতে চাচ্ছে, আওয়ামী লীগের লোকজন এসব করছে। বিষয়টাকে যদি গণ্ডগোল হিসেবেই দেখা হয়, তাহলে জুলাই কী ছিল? তখন করলে ভালো আর এখন খারাপ? নিজেদের আখের ঠিকই গুছিয়ে নিয়েছে, কিন্তু যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা কয়জন উঠে দাঁড়াতে পারল?
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছে, ‘রক্ত দেওয়ার সময় আমরা এগিয়ে থাকব, কিন্তু ক্ষমতায় গেলে আমাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
কথার সত্যতা আছে। ঐ আন্দোলনে অনেকে ভালো উদ্দেশ্যেই গিয়েছে। তারা ভেবেছে দেশের ভালো হবে। কিন্তু তারা তো বোঝেনি তাদের এভাবে ব্যবহার করে টিস্যুর মতো ফেলে দেওয়া হবে। এভাবে ব্যবহার কিন্তু যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। ফল ভোগ করে একটা পক্ষ, কিন্তু কষ্ট যা করার সব করে নিম্ন কিংবা মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেরা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


