
সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখাটা চোখে পড়েছিল। সেটা কাটছাঁট করে এবং নিজের হালকা মত্সহ এখানে লিখছি। কাকে নিয়ে লিখছি, সেটা লেখাটা পড়লেই বোঝা যাবে। নামটা সরাসরি বললাম না।
ভদ্রলোক সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বললেন জিয়াউর রহমান নাকি স্বাধীনতার একমাত্র ঘোষক। জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা তিনি নিজের কানে শুনেছিলেন (কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রের ফ্রিকোয়েন্সি কত ছিল? ১০ কিলোমিটারের বাইরে কেউ শুনতে পেয়েছিল?)। সে ঘোষণা শুনে আমেরিকাতে মুক্তিসংগ্রামের স্বপক্ষে কাজ করেছেন। অথচ তিনি এ কথা আগে কখনো বলেননি। এমনকি তার লেখা বইয়ে একবারও জিয়ার নাম নেননি।
নিজের লেখা বই ‘গ্রামীন ব্যাংক ও আমার জীবন’-এর ৪৩-৫৩ পৃষ্ঠায় একটা অনুচ্ছেদ আছে ‘বিয়ে ও মুক্তিযুদ্ধ’। তাঁর বিয়ে ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে, আমেরিকায় তার কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আছে। এ লেখায় তিনি একবারও ‘মেজর জিয়ার’ কথা উল্লেখ করেননি। বাঙালিদের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নাম অনেকবার আছে। শেখ মুজিবের বক্তব্যে বাংলার মানুষদের উজ্জীবিত হওয়া ও স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা আছে। এমনকি ২৯শে মার্চ যখন শেখ মুজিবের গ্রেফতারের কথা শোনেন, তখন তাদের বৈঠকে উপস্থিত সব বাঙালির চোখে পানি এসে যায় বলে উল্লেখ করেন।
ক্ষমতার মদ-মত্ততা মানুষকে কতটা বদলে দেয়! সকালের মত্ বিকেলেই বদল। যে শেখ মুজিবের গ্রেফতারের খবরে কান্নাকাটি, তাঁকে ইতিহাস থেকে খারিজ করতে তার ৩২ নম্বরের বাড়ির ওপর হামলা হলো। শুধু কি তাই? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের ওপর সরাসরি হামলা হচ্ছে। মানুষ বড় আজব।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


