যাদের মেয়েদের নিয়ে এলার্জি আছে ,তাদের এই লেখাটা পড়ার দরকার নেই ।
একটু আগে একটা বান্ধবীর সাথে কথা বলতেছিলাম । পেইন কিলার এর কথায় ও বললো ওর নাকি প্রতি মাসে পেইন কিলার খাওয়া লাগে , আর সেটা অনেক বেশি পাওয়ার । প্রথমে বললো না ক্যান , পরে বুঝতে পারলাম ।
আনফরচুনেটলি আমাদের পাশের মানুষটা যাকে আমরা শুধু মেয়ে বলেই জানি সে যে কতটা কষ্ট করে আমরা বুঝতে চাইনা । অনেকদিন আগে প্রিয়ড নিয়ে লিখেছিলাম একটা এলোমেলো লেখা । কয়েকজন আপত্তি তুলেছিলো । বলেছিলাম যে জিনিসটা না হলে তার জন্মই হতোনা ,সেটা নিয়ে এত ঘৃনা ক্যান ? কিছু বলেনি ।
যাইহোক অনেকেই জানেনা , মাসিকের আগে মেয়েদের তলপেটে প্রচন্ড রকম ব্যথা হয় । সাধারন কোন ব্যাথা না, অনেক বেশি ব্যথা । যে মেয়ের হয় সেই শুধু জানে এর যন্ত্রনা । অধিকাংশ মেয়েরই এটা হয়ে থাকে । কিন্তু প্রতিবার মাসিকের সময় অত্যাধিক ব্যথায় কোনো মেয়ের স্বাভাবিক জীবনধারা ব্যহত হয়ে যায়; যেমন স্কুল, কলেজ বা অফিসে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ৷খুব কাছের মানুষ ছাড়া কম লোকেই এটা জানতে পারে । যৌবনপ্রাপ্তির পর মেয়েদের জীবনে একটি নিয়মিত ঘটনা। পিরিয়ডের সময় কিছুটা ব্যথা, অস্বস্তি, ক্র্যাম্পিং (মাংস জমাট বেধে ব্যথা হওয়া) ইত্যাদি স্বাভাবিক ঘটনা।
কিন্তু প্রতিবার মাসিকের সময় অত্যাধিক ব্যথায় কোনো মেয়ের স্বাভাবিক জীবনধারা ব্যহত হয়ে যায়; যেমন স্কুল, কলেজ বা অফিসে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া, তাহলে এটি মোটেও আর স্বাভাবিক কোনো ঘটনা বা হেলাফেলার বিষয় থাকেনা। এটার বিভিন্ন কারন থাকতে পারে , তবে যাদের বয়স ২০ এর কম , যাদের ১১ বছরের আগেই প্রিয়ড শুরু হয়েছে ,যাদের বংশে এটার ইতিহাস আছে ,যাদের অনেক ব্লাড যায়,ইরেগুলার প্রিয়ড বা বেবি হয়নি তাদের এই সমস্যাটা বেশি হয় । সমস্যা এর ডিটেইলস না ,আমার চেষ্টা সমাধানের ।
মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা মেয়েদের একটা নিয়মিত ব্যাপার হলেও কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই ব্যথা এড়িয়ে চলা যায়। আসুন জেনে নেই এসময় কি করণীয় . . .
* মাসিকের আগের সপ্তাহে, কোনো বোতলে গরম জল ভরে বা কাপড় হালকা গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট তাপ লাগাতে পারেন। এটা একটানা ৩/৪ দিন করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে।
* পেটে ব্যথা কমাতে মেয়েরা সিজ বাথ করতে পারেন। সিজ বাথ করতে প্রথমে ৩ মিনিট গরম জলে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। পরের ২/১ মিনিট ঠাণ্ডা জলে কোমর ডুবিয়ে রাখতে হবে। এভাবে ২০/২৫ মিনিট সিজ বাথ নিতে হবে।
এটাও মাসিকের আগে ৩/৪ দিন নিতে হবে। শুধু জল বা জলে কিছু লবন, বেকিং সোডা বা ভিনেগারও ব্যবহার করা যায়।
* ব্যথা কমানোর অপর একটা পদ্ধতি হল প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করা। এটাও খুব উপকারী। এগুলো করলে যোনির মধ্যে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধা প্রাপ্ত না হয়ে ঠিক হয়ে যাবে, ব্যাথাও কমে যাবে।
অনেক মেয়েই এ বিষয়ে অসচেতন কিংবা তাদের শারীরিক ফিটনেস ভালো নয় বলে এ সমস্যা বেশি হয়। তাই যদি একটু সচেতন হওয়া যায় তাহলে মুক্তি পাওয়া যাবে এই অসহ্য যন্ত্রনা থেকে।
এই সময়টা আমাদের উচিত তাদের যথাসাধ্য বিশ্রামে রাখা । ভারি কাজ না করানো । মেন্টালি সাপোর্ট দেয়া । সত্যি বলতে এরা আমাদেরই মা ,আমাদেরই বোন ,বান্ধবী প্রিয়তমা ।
হ্যাপি ব্লগিং
বিঃদ্রঃ যে কেউ কপি পেষ্ট করতে পারেন । তবে নিজের নামে চালাইয়েন না । (ইনফর্মেশন গুলা ধার করে আনা)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪১