somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেটুকু আছে, সেটুকুই থাক তোর পাতায়...........

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৮:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু বাস্তব, কিছু অলীক ভাবনা সব মিলে মিশে ছোট ছোট কিছু গল্পের চেনা-জানা দালান-কোঠাগুলো গড়ে আর উঠল না। অনেক দিন পর লিখতে বসে দেখি অনেকগুলো ড্রাফ্ট জমে আছে, শুরু করছিলাম, অলসতা আর অকাজের পড়াশুনার চাপে পরে মনে আর পড়ছে না কি লিখতে চেয়েছিলাম......


প্রায় মাস পাঁচেক চলে গেল, এর মাঝে কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা এল-গেল। এরকম আগে কখনো হ্য়নি......মানছি এখন হয়তো অনেক ব্যস্ততার মাঝে হারিয়ে যাই, এই ব্যস্ততার ধুয়ো তুলে জীবনকে ফাঁকি দেই........কিন্তু একজন যে ছিল......যে টেনে তুলত........মন ভরিয়ে দিত অপরিপক্ক স্বপ্নে, নানা রঙ্গের হাসিতে। তার কোন খোঁজ নেই আজ, তার কাছে পৌছাবার নেই কোন উপায়, নেই ঠিকানা........

অন্তর্জালই ভরসা,
অন্তর্জালে বসে তাই অপেক্ষা.....


'আপনি আমায় ছেড়ে যাবেন কখনও?' হটাৎ করে তুমি বল্লে । কি বলব? মাঝে মাঝে সহজ প্রশ্ন এত কঠিন হয়ে সামনে দাড়ায়? তুমি কিছু না বলেই চলে গেলে........আমি বোকার মত এদিক ওদিক তাকাই......

কে, কি যে চায়? কে জানে কি ভাবায়,
কি আশায় কে ভাসায়?
কে জয়ী, কি ক্ষতি?
....কি আমি.......কে তুমি ???



যে শহরে থাকি , সেখানে এখন চারিদিকে হলুদের আভা, শরৎ তার জানান দিচ্ছে, প্রকৃতির এই নতুন রঙ্গের বাড়ই- ভাল লাগার একটা ছোয়া দেয়, বেশ আন্দোলিত করে রক্তে-রন্ধ্রে। এবার কেন জানি প্রকৃতি রূদ্রমর্তি, শরৎ কে ঠেলে দিতে চায় শীতের কাছে, যেন বড় বেশি তাড়া, বড় বেশী কিপটেমী। century পাতারা পারে না সোনা মাখা গোধুলীতে তার শরতের রূপ সাজাতে, পারে না হালকা বাতাসে স্মৃতিগুলোকে একটু নাঁড়া দিতে। বৃষ্টি শেষে পার্কের পাশে আকাশছোয়া সব গাছের মাঝে দিয়ে হেটেহেটে যখন রুমে ফিরি......... কেমন করে যেন সব খাপছাড়া কিছু লাইন ষড়যন্ত্র করে বাতাসে-নিঃশ্বাসে মিশে মগজটাকে বিরক্ত করে, মাথার মাঝে বাস করা কিছু চেনা পোকাকে জাগিয়ে তুলতে চায়......

বাউলা তুমি
এবার আমায় ছাড়,
আমার হাতে দিয়াশলাই
রাশি রাশি দুঃখ পোঁড়াই................


সকালে ৯ টায় ইউনিতে যাই, রাতে ঠিক একই সময় রুমে ফিরি.....মনে হচ্ছে ইট তৈরির মেসিনের থকথকে কাদা, মেসিনের ছাঁচে পরে প্রতিদিন একই আকৃতি নিয়ে দিনের শুরু করছি, ছাঁচে বসানো শব্দগুলো একটুও ওলটপালট হয় না। নেই জ্যামিতির কোন বক্রতা, শুধুই সহজ-সরলরেখা। অথচ গভীর থেকে হেচকির মত আকুতি উঠে- সব চলে যাক ছন্ন-ছড়ার দলে, হয়ে যাক সেই আঠারোর যুবক,যার নেই চাঁদেলা রাতে বৃষ্টি পাবার নেশা-

একদিন যেমন ছিলাম
আসো আবার হয়ে যাই আঠারোর সেই অচেনা আবেগ,
বন্দী যদিও তোমার বৃষ্টিভেজা হাতে.....


বৃষ্টির ঝাপটায় ঘুম ভেঙ্গে যায়, ভোরের কাছাকাছি, জানালাটা যে কতদিন ধরে খোলা তার ইত্তা নেই। জানান দেয় হিম বাতাস দিয়ে , এবার আমায় বন্ধ কর, শীত আসছে। হাতড়াই অন্ধকার বিছানার এপাশ-ওপাশ। ছোট্ট য্ন্ত্রটাকে খুজি, জীবনকে নাকি গতিময় করেছে? তোমার কাছে আজ যেতে খুব ইচ্ছে করে। চোখ বুলাই, তোমাকে খুজি- যেখানে তুমি আছো কয়েকটা সংখ্যার অন্তরালে। একবার-দুবার, নাহ, এমনকি তোমার নামটাও নেই ইংরেজী অক্ষরে লেখা। পাশে জানান দেয় ক্ষুদে গনকযন্ত্র, শব্দ করে, বলে তোমার চৌকাঠের বাক্সে একখানা বার্তা এসছে। পড়ে দেখি-

there was a blind girl.she hated everyone expect her boyfriend.she said to him i would marry u when i could see u.eventually someone donated eyes . she shocked to see that her boyfriend was blind.the boy asked wil u marry me? the girl refused him.the boy replied just take care of your eyes and went away

অদ্ভুত মেয়ের অদ্ভুত বার্তা।এই বার্তার উত্তর কি দিবে ছেলেটি....আবারও বলবে বুদ্ধুর মত..........এর মানে কি......



আজ আবারও ডাক্তারের কাছে গেলাম। এখানকার সিস্টেম এত পরিকল্পিত, এত নিয়ম-কানুন যে মাঝে মাঝে মনে হয় দেশেই ভাল ছিলাম, এত নিয়ম আমার দ্বারা হবে না । তবে আজকের ডাক্তার যেমন সুন্দরী, তেমনি অমায়িক। আমার রিপোর্ট হাতে নিয়ে এমন একটা হাসি দিল, মনে হল আমার সব রোগ-ব্যাধি এবার পালাতে বাধ্য। তবে ডাক্তার যা বলল, তাতে তার হাসি এই ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে আসবে না-
'অংকুর, বাচিবার যদি চাও
খাসীর কলিজার চিন্তা ছাড়
নিজের কলিজার ছিন্তা কর' (ধুমপান বিষপান)


০৯,১০.
ব্যালকনি,৩০৫।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×