পর্ব.....০২
ওর খবর কি। জানি না। কেন ? জানবো কি করে, কেউ জানায় নি? আচ্ছা বাদ-দে । তারপর তোর খবর বল। আমার খবর তো জানবিই,আগামী দু-বছর তো একই শহর,একই ক্যাম্পাসেই আছি। বেজে উঠে মুঠোফোন। কে? বাবা।দাড়া, কথা বলি, কথা বলে বাবার সাথে,মার সাথে,। বলতে বলতে দুরে যায়,দুরে থেকে দেখে মেয়েটার দিকে।
তারপর তোর বাসা থেকে তোকে একা একা যেতে দিতে রাজি হল। হ্যা -কেন? না এমনি বল্লাম।আচ্ছা তোর মনে আছে, সেই নববর্ষের কথা, আমরা যখন সেকেন্ড ইয়ারে। কেন মনে থাকবে না, তুই কি এখনও....চুপ কর। যেটা বলছি তো বলছি, এখনও এক্সপ্যায়ার হয়ে যায় নি সে প্রপোজাল। তোকে আসলে মেয়ে হিসাবে মানায় না। কেন, যেটা সত্যি সেটাই তো বলছি। আচ্ছা তোর ব্যাপারটা কি শুনি। আমি-এই তো তোর সাথে একই ফ্লাইটে বলে হাসি দেয় মামুন।
কবে থেকে , আমি তো জানি না। কেন এটা কি একটা সুসংবাদ যে আমাকে মাইকিং করে সবাইকে জানাতে হবে। চল আগে বিমানে উঠি, তারপর কথা হবে। হাটতে হাটতে মুটোফোনটা হাতে নেয়। কাকে ফোন দিস। কাউকে ফোন দেই না। মোবাইলটা অফ করে রাখি। বিমানে মোবাইল বন্ধ রাখতে হয়। তোরটাও বন্ধ কর। তোর কিন্তু অভ্যাসটা গেল না, কথায় কথায় প্রশ্ন করিস এখনও।
বিমানে উঠে বিমানবালার দেখানো সিটে পড়ে মামুন। দুজনের সিট দু-দিকে। ককপিট থেকে বলতে থাকে কোথায় যাচ্ছি, কখন পৌছব, আরও কত কি বলে।ধীরে ধীরে নড়ে উঠে বিমানটা। মামুন একটা ম্যাগাজিনের পাতা উল্টায়। হটাৎ বিমানবালা বেশ জোরে বলে উঠে প্লিজ সিট থেকে উঠবেন না। এখনই বিমান টেক-অফ করবে।আবারও বলে। মামুন ঘুড়ে দেখে পাগলী সুমি মুখ টা কালো করে তার দিকে মোবাইল বাড়ায়।কে । নে কথা বল । মামুন কিছু না বুঝেই হ্যালো হ্যালো বলতে থাকে, ওপাশ থেকেও একটা পরিচিত গলায় হ্যালো হ্যালো বলতে থাকে। শুধু শ-শ-শ শব্দ আসে। সিগন্যাল না পাওয়া শ-শ শব্দগুলোও শোনা হয় না । বিমানবালা মোবাইল কেড়ে নিয়ে সুন্দর একটা কমার্শিয়াল হাসি দিয়ে মোবাইলের সুইচটা বন্ধ করে দেয় ।
ব্যলকনি, ৩০৫
০৯,১২,২৫
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৩০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




