somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সবাইকে ধন্যবাদ ও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা

২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ ছিল অন্বীক্ষার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। ড. হুমায়ূন কবীর স্যারকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি নিজে মোড়ক উন্মোচন না করে যা করলেন তা হল, শুধুমাত্র পোষাকি ভাবের উপর ভিত্তি করে দু'জন ছেলে-মেয়েকে নির্বাচন করে তাদের সাথে মোড়ক উন্মোচন করলেন। (অফ দ্যা রেকর্ড: স্যার-র এই রকম পোষাক দেখে নির্বাচনে অনেককেই আক্ষেপ করতে দেখা যায়, "আগে বললেই হত, সুন্দর দেখে জামা পড়ে আসতাম!!!") এসময় আমাদের অতি প্রিয় কুন্তল স্যার/ ভাই-ও উপস্থিত ছিলেন। এরপর, ছাত্রদের মধ্য থেকে শিমনকে স্যার স্যুভেনির-র একটি কপি তুলে দেন। সম্পাদনা পর্ষদ এরপর স্যার-র হাতে স্যুভেনির-র একটি স্মারক কপি তুলে দেয়। এরপর স্যার তার ছোট এক বক্তৃতায় সিএসই ফেস্টিভাল-এর এই বিশাল আয়োজনের সার্থক সমাপনে এই স্যুভেনির-র সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি, সমস্ত অনুষ্ঠানের পেছনের সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা শেষ করেন।

এরপর ছিল প্রত্যেক সেকশনের প্রতিনিধিদের হাতে স্যুভেনির তুলে দেয়া। এ পর্বটির দায়িত্বে ছিলেন পপেল ভাই।
আর নাশিদ ভাই তখন-ও যথারীতি মিরফাত আপুকে নিয়ে হুমায়ূন স্যার-এর সাথে আমাদের ডিপার্টমেন্ট হেড-এর রুমে দৌড়া-দৌড়িতে ব্যস্ত।

এদিকে ততক্ষণে আমাদের হাতে এসে পৌঁছে কালচারাল নাইট-র ভিডিও-র ডিভিডি। সাথে রয়েছে, আমাদের সকল ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার সকল সফল, ব্যর্থ প্রয়াস। আর একটি ডিভিডি। এগুলোও সকল প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এখানে আর একটি কথা না বললেই নয়। দু'টি ডিভিডিতে যে সকল ছবি, ভিডিও দেওয়া হয়েছে, তার সকল খাটাখাটনি করেছেন কুন্তল ভাই। তাকে ধন্যবাদ।

যে বিষয়টি এখনও আলোচনা করা হয়নি, আমাদের এই অনুষ্ঠানে যে কয়জন উপস্থিত ছিলো, তারা আমাদের সকল কাজেই হাত তালি দিয়ে উৎসাহ জুগিয়েছে। তাদের সবাইকেও ধন্যবাদ। অনেক উদ্দীপনা নিয়ে তারা আমাদের প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে।

আমরা এখনও জানিনা, কার কেমন লেগেছে আমাদের এই স্যুভেনির বের করার প্রয়াস। সকলকেই আবারও বলা, কার কেমন লেগেছে, তা জানিও। আমাদের ভাল লাগবে। আমাদের এই প্রচেষ্টা যদি কারও এতটুকু ভাল লেগে থাকে, তাহলেই আমরা সার্থক।
তবে আশার কথা এই, এখন পর্যন্ত যা মন্তব্য পেয়েছি, সবই ইতিবাচক। সবাই খুশি, তাই আমরাও খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ।

পুরো অনুষ্ঠানে যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি মিস করেছি, সে আমাদের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার, অনিক। অন্বীক্ষায় প্রকাশিত ছবিগুলোর বেশিরভাগই তার তোলা। তার অনুপস্থিতিতে আজ আমাদের পুরো অনুষ্ঠানের ছবি তুলেছে বাপ্পী।
কল্লোল ভাই, আবদুর রহমানসহ আরও অনেকে নিজের সংগ্রহে রাখার জন্যে ছবি তুলেছে।



শেষ পর্যন্ত যে কথাটি না বললেই নয়, সেটি হল একটি ভুল স্বীকার।
এতবার করে সব চেক করার পরও ছোট-খাট ভুল থাকতে পারে, সেটি মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু, কাজ করেও তার যখন স্বীকৃতি পাওয়া যায় না কারো ভুলের জন্যে, সেটি মেনে নেওয়া বেশ কষ্টের। তারপরও.. হয়ত, নিজের ব্যাচমেট বলেই.. আমাদের করা ভুলগুলো মেনে নিয়ে বলে, "...., স্যুভেনির ভালো হইছে।"
পাশ থেকে একজন যখন ভুলটি ধরিয়ে দেয়, আমি লজ্জা পাই।
আমি লজ্জিত মুনিয়া, আমি আন্তরিকভাবে লজ্জিত।

সম্পাদনা পর্ষদে,
সম্পাদনা সহকারি হিসেবে আরও একটি নাম যুক্ত হবে.. 'রোকসানা জাহান মুনিয়া'


পরিশেষ: হুমায়ূন স্যার আমাদের অতি প্রিয় ভালো মানুষগুলোর মধ্যে একজন। তার প্রতি সশ্রদ্ধ সম্মান জানিয়ে লেখা, স্যার এই ক'টি দিন যা অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন পুরো সিএসই ফেস্টিভালকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করতে, তাতে আমরা চির কৃতজ্ঞ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×