আজ ছিল অন্বীক্ষার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। ড. হুমায়ূন কবীর স্যারকে অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি নিজে মোড়ক উন্মোচন না করে যা করলেন তা হল, শুধুমাত্র পোষাকি ভাবের উপর ভিত্তি করে দু'জন ছেলে-মেয়েকে নির্বাচন করে তাদের সাথে মোড়ক উন্মোচন করলেন। (অফ দ্যা রেকর্ড: স্যার-র এই রকম পোষাক দেখে নির্বাচনে অনেককেই আক্ষেপ করতে দেখা যায়, "আগে বললেই হত, সুন্দর দেখে জামা পড়ে আসতাম!!!") এসময় আমাদের অতি প্রিয় কুন্তল স্যার/ ভাই-ও উপস্থিত ছিলেন। এরপর, ছাত্রদের মধ্য থেকে শিমনকে স্যার স্যুভেনির-র একটি কপি তুলে দেন। সম্পাদনা পর্ষদ এরপর স্যার-র হাতে স্যুভেনির-র একটি স্মারক কপি তুলে দেয়। এরপর স্যার তার ছোট এক বক্তৃতায় সিএসই ফেস্টিভাল-এর এই বিশাল আয়োজনের সার্থক সমাপনে এই স্যুভেনির-র সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি, সমস্ত অনুষ্ঠানের পেছনের সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা শেষ করেন।
এরপর ছিল প্রত্যেক সেকশনের প্রতিনিধিদের হাতে স্যুভেনির তুলে দেয়া। এ পর্বটির দায়িত্বে ছিলেন পপেল ভাই।
আর নাশিদ ভাই তখন-ও যথারীতি মিরফাত আপুকে নিয়ে হুমায়ূন স্যার-এর সাথে আমাদের ডিপার্টমেন্ট হেড-এর রুমে দৌড়া-দৌড়িতে ব্যস্ত।
এদিকে ততক্ষণে আমাদের হাতে এসে পৌঁছে কালচারাল নাইট-র ভিডিও-র ডিভিডি। সাথে রয়েছে, আমাদের সকল ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার সকল সফল, ব্যর্থ প্রয়াস। আর একটি ডিভিডি। এগুলোও সকল প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এখানে আর একটি কথা না বললেই নয়। দু'টি ডিভিডিতে যে সকল ছবি, ভিডিও দেওয়া হয়েছে, তার সকল খাটাখাটনি করেছেন কুন্তল ভাই। তাকে ধন্যবাদ।
যে বিষয়টি এখনও আলোচনা করা হয়নি, আমাদের এই অনুষ্ঠানে যে কয়জন উপস্থিত ছিলো, তারা আমাদের সকল কাজেই হাত তালি দিয়ে উৎসাহ জুগিয়েছে। তাদের সবাইকেও ধন্যবাদ। অনেক উদ্দীপনা নিয়ে তারা আমাদের প্রয়াসকে স্বাগত জানিয়েছে।
আমরা এখনও জানিনা, কার কেমন লেগেছে আমাদের এই স্যুভেনির বের করার প্রয়াস। সকলকেই আবারও বলা, কার কেমন লেগেছে, তা জানিও। আমাদের ভাল লাগবে। আমাদের এই প্রচেষ্টা যদি কারও এতটুকু ভাল লেগে থাকে, তাহলেই আমরা সার্থক।
তবে আশার কথা এই, এখন পর্যন্ত যা মন্তব্য পেয়েছি, সবই ইতিবাচক। সবাই খুশি, তাই আমরাও খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ।
পুরো অনুষ্ঠানে যাকে আমরা সবচেয়ে বেশি মিস করেছি, সে আমাদের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার, অনিক। অন্বীক্ষায় প্রকাশিত ছবিগুলোর বেশিরভাগই তার তোলা। তার অনুপস্থিতিতে আজ আমাদের পুরো অনুষ্ঠানের ছবি তুলেছে বাপ্পী।
কল্লোল ভাই, আবদুর রহমানসহ আরও অনেকে নিজের সংগ্রহে রাখার জন্যে ছবি তুলেছে।
শেষ পর্যন্ত যে কথাটি না বললেই নয়, সেটি হল একটি ভুল স্বীকার।
এতবার করে সব চেক করার পরও ছোট-খাট ভুল থাকতে পারে, সেটি মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু, কাজ করেও তার যখন স্বীকৃতি পাওয়া যায় না কারো ভুলের জন্যে, সেটি মেনে নেওয়া বেশ কষ্টের। তারপরও.. হয়ত, নিজের ব্যাচমেট বলেই.. আমাদের করা ভুলগুলো মেনে নিয়ে বলে, "...., স্যুভেনির ভালো হইছে।"
পাশ থেকে একজন যখন ভুলটি ধরিয়ে দেয়, আমি লজ্জা পাই।
আমি লজ্জিত মুনিয়া, আমি আন্তরিকভাবে লজ্জিত।
সম্পাদনা পর্ষদে,
সম্পাদনা সহকারি হিসেবে আরও একটি নাম যুক্ত হবে.. 'রোকসানা জাহান মুনিয়া'
পরিশেষ: হুমায়ূন স্যার আমাদের অতি প্রিয় ভালো মানুষগুলোর মধ্যে একজন। তার প্রতি সশ্রদ্ধ সম্মান জানিয়ে লেখা, স্যার এই ক'টি দিন যা অমানুষিক পরিশ্রম করেছেন পুরো সিএসই ফেস্টিভালকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করতে, তাতে আমরা চির কৃতজ্ঞ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





