somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জুমআর সালাত এবং কোরান-অনলিদের চিন্তা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

১৭ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরলভাবে বিবৃত কোরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নিয়ে কোরান অনলিদের একএকজনের একএক মত এখন স্পষ্ট। ব্লগার ফারুক সেই {একএকজনের একএক মত}-এর পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন। তার ধারণা এই {একএকজনের একএক মত} কোরান দ্বারা সমর্থিত।

ফারুক বলেছেন:
কোরান অনলি – এরা কোন দল বা গ্রুপ নয়। এদের কোন গুরু , পির বা ইমাম নেই। এরা যার যার বিচার বুদ্ধি বিবেচনার উপর নির্ভরশীল। কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী এরা স্বাধীন চিন্তায় বিশ্বাসী। এরা ভেড়ার পালের মতো দলের নেতৃত্বকে অন্ধ অনুসরন করে না। তাইতো দেখা যায় একি বিষয়ে একেকজনের একেক মত। যেমন ‘সালা’র (নামাজ) ব্যাপারে দেখুন। যে যার মতো বুঝে নিয়েছে। নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তির মতকে শিরোধার্য করার মানসিকতা এদের নেই। এরা একমাত্র কোরানকেই , যার যার বুঝ অনুযায়ী , সকল আদেশ নির্দেশের মূল হিসাবে মানে। এরা কি মুসলমান? অবশ্যই। কারন এরা এক আল্লাহ’য় বিশ্বাসী ও আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক করতে নারাজ। এরা মনে করে কোরান আল্লাহর বানী এবং ধর্মীয় বিধি নিশেধ ও পরকালে মুক্তির জন্য শুধু কোরান-ই যথেষ্ঠ।



আসুন আমরা দেখি, এ প্রসঙ্গে কোরান কী বলেছে...

কোরানের ৬২ নং সুরাটির নাম: সুরা জুমুআ (The Congregation)

সেই সুরার দুইটি আয়াত নিচে উল্লেখ করা হলো:
৬২:৯
মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ। {মুহাম্মদ আসাদ: O YOU who have attained to faith! When the call to prayer is sounded on the day of congregation, hasten to the remembrance of God, and leave all worldly commerce: this is for your own good, if you but knew it.}
৬২:১০
অতঃপর নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {And when the prayer is ended, disperse freely on earth and seek to obtain [something] of God's bounty; but remember God often, so that you might attain to a happy state!}

সুরার নামই জুমুআ। তবু যদি কারো সন্দেহ হয় যে এখানে একসাথে সালাত করার কোনো হুকুম আছে কি না, তার জন্য তিনটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট:
১) যদি একসাথে সালাত পড়ার হুকুম না থাকতো, তাহলে call to prayer (نودي للصلاة)-এর প্রসঙ্গ আসতো না;
২) সেই দিনের নাম the day of congregation (يوم الجمعة) হতো না
৩) পরের আয়াতে disperse (ছড়িয়ে পড়ার) (فانتشر) প্রসঙ্গও আসতো না।

সালাতের ব্যাপারে যদি ভিন্নমত গ্রহণযোগ্যই হবে, এই সালাত একসাথে কীভাবে পালন করবেন?

এর মানে হলো সালাতের ব্যাপারে ভিন্নমত করার কোনো সুযোগ নেই। অবশ্যই একটা মতে আসতেই হবে। সুতরাং, এই আয়াত থেকেও আমরা একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারি।

সেটা হলো, কোরান-অনলিরা ভুল পথে আছেন।

[প্রসঙ্গক্রমে, কোরানের এই দুটো আয়াতের দিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:
১. ২৪:৫৪>>বলুনঃ আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তার উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর, তবে সৎ পথ পাবে। রসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে পৌছে দেয়া।

২. ২৪:৫৬>> নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।]


কে আছে চিন্তাশীল?
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ১১:৩৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×