somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোরান সুস্পষ্ট করার দায়িত্ব ছিলো স্বয়ং মুহম্মদ স.-এর

১৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে একটা আয়াত দেখি:
16:44

بِالْبَيِّنَاتِ وَالزُّبُرِ ۗ وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ


প্রেরণ করেছিলাম তাদেরকে নিদর্শনাবলী (لْبَيِّنَاتِ) ও অবতীর্ণ গ্রন্থসহ(وَالزُّبُرِ)এবং আপনার কাছে আমি স্মরণিকা (الذِّكْرَ)অবতীর্ণ করেছি,যাতে আপনি লোকদের সামনে ঐসব বিষয় বিবৃত করেন (لِتُبَيِّنَ ), যে গুলো তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।


Muhsin Khan-এর অনুবাদ:
With clear signs (بِالْبَيِّنَاتِ ) and Books (وَالزُّبُرِ) (We sent the Messengers). And We have also sent down unto you (O Muhammad SAW) the reminder and the advice (الذِّكْرَ)(the Quran), that you may explain clearly (لِتُبَيِّنَ) to men what is sent down to them, and that they may give thought.


এইখানে {{যাতে আপনি লোকদের সামনে ঐসব বিষয় বিবৃত করেন (لِتُبَيِّنَ )}=that you may explain clearly (لِتُبَيِّنَ) to men}এই অংশের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

অর্থাৎ,
মুহম্মদ স.-কে পাঠানো হয়েছে যা কিছু নাজিল হয়েছে, তা পরিস্কার করে বিবৃত করার জন্য।
_________________

আসুন আর একটি আয়াত দেখি:
সুরা নং ২৪, আযাত নং ৫৪
قُلْ أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ ۖ فَإِن تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا عَلَيْهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيْكُم مَّا حُمِّلْتُمْ ۖ وَإِن تُطِيعُوهُ تَهْتَدُوا ۚ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
বলুনঃ আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তার উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর (تُطِيعُوهُ), তবে সৎ পথ পাবে (تَهْتَدُوا)।
রসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে(الْمُبِينُ) পৌছে দেয়া।

Say: “Obey God, and obey the messenger.” But if they turn away, then he is only responsible for his obligation, and you are responsible for your obligations. If you obey him (تُطِيعُوهُ), you will be guided (تَهْتَدُوا). The messenger is only required to deliver clearly(الْمُبِينُ).

এই পোস্টে এই আয়াত উল্লেখ করার কারণ: আয়াতের এই অংশের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ:
রসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে(الْمُبِينُ)পৌছে দেয়া(The messenger is only required to deliver clearly)

অর্থাৎ, মুহম্মদ স.-এর দায়িত্ব শুধু-পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং সুস্পষ্টরূপে পৌঁছে দেওয়া।
এই পোস্টের গুরুত্ব বোঝার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সুস্পষ্টরূপে পৌছে দেয়া (to deliver clearly) এই অংশের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
____________________

এবার আসুন দেখি আর একটা আয়াত (সুরা নং ৬, আয়াত নং ১৯):

قُلْ أَيُّ شَيْءٍ أَكْبَرُ شَهَادَةً ۖ قُلِ اللَّهُ ۖ شَهِيدٌ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ ۚ وَأُوحِيَ إِلَيَّ هَٰذَا الْقُرْآنُ لِأُنذِرَكُم بِهِ وَمَن بَلَغَ ۚ أَئِنَّكُمْ لَتَشْهَدُونَ أَنَّ مَعَ اللَّهِ آلِهَةً أُخْرَىٰ ۚ قُل لَّا أَشْهَدُ ۚ قُلْ إِنَّمَا هُوَ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ وَإِنَّنِي بَرِيءٌ مِّمَّا تُشْرِكُونَ
আপনি জিজ্ঞেস করুনঃ সর্ববৃহৎ সাক্ষ্যদাতা কে ? বলে দিনঃ আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী। আমার প্রতি এ কোরআন অবর্তীর্ণ হয়েছে-যাতে আমি তোমাদেরকে (كُم)এবং যাদের কাছে(وَمَن) এ কোরআন পৌঁছে (بَلَغَ) সবাইকে এটি দিয়ে(بِهِ)ভীতি প্রদর্শন করি (لِأُنذِرَ)। তোমরা কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহর সাথে অন্যান্য উপাস্যও রয়েছে ? আপনি বলে দিনঃ আমি এরূপ সাক্ষ্য দেব না। বলে দিনঃ তিনিই একমাত্র উপাস্য; আমি অবশ্যই তোমাদের শিরক থেকে মুক্ত।

6:19 Say, “Which is the greatest testimony?” Say, “God is witness between me and you, and He has inspired to me this Quran
that,with it, I may warn you and whomever it reaches .
(لِأُنذِرَكُم بِهِ وَمَن بَلَغَ)

Do you bear witness that along with God are other gods?” Say, “I do not bear witness!” Say, “He is only One god, and I am innocent of your setting up partners!

এই পোস্টে এই আয়াত উল্লেখ করার কারণ: আয়াতের এই অংশের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ:
আমার প্রতি এ কোরআন অবর্তীর্ণ হয়েছে-যাতে আমি তোমাদেরকে এবং যাদের কাছে এ কোরআন পৌঁছে সবাইকে ভীতি প্রদর্শন করি (He has inspired to me this Quran that I may warn you with it and whomever it reaches)
__________________

সামারি:
পয়েন্ট-১: মুহম্মদ স.-এর সময়ের মানুষ এবং যাদের কাছে এ কোরান পৌঁছে, তাদের সবাইকেই ভীতি প্রদর্শন করার জন্যই কোরান মুহম্মদ স.-এর উপর নাজিল হয়েছে।

পয়েন্ট-২: রসূলের দায়িত্ব তো শুধু “পৌছে দেয়া” নয়, বরং সুস্পষ্টরূপে পৌছে দেয়া।

উপসংহার:
১. কোরানের কোনো আয়াত অস্পষ্টভাবে রাসুল দ্বারা বিবৃত হয় নাই। কোনো আয়াতের টেক্সটে অস্পষ্টতা থাকলে রাসুল স.-এর দায়িত্ব ছিলো তা সুস্পষ্ট করা।

২. রাসুল স.-এর সেই সুস্পষ্টভাবে পৌঁছানোর দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়নি। এই কোরান আল্লাহ কোয়ামত পর্যন্ত হেফাজত করবেন, এবং কেয়ামত পর্যন্ত যত লোকের কাছে এই কোরান পৌঁছবে, সবার কাছে সুস্পস্টভাবে পৌঁছে দেবার দায়িত্ব রাসুল স.-এর। সুতরাং কোনো যুগের মানুষের এই কথা বলার সুযোগ নাই যে এই আয়াত স্পষ্ট না, আমি বুঝি না, বা যারা যেরকম ইচ্ছা বুঝে নেবার অধিকার আছে।

৩. সহি হাদিস এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন প্র্যাক্টিসের মাধ্যমে সেই সাহাবীদের আমল থেকে আমাদের পর্যন্ত এবং আমাদের থেকে কেয়ামত পর্যন্ত রাসুল স.-এর সুন্নাহ হেফাজত করবেন আল্লাহ এবং এভাবেই রাসুল স. কোয়ামত পর্যন্ত যত লোকের কাছে এ কোরান পৌঁছবে, সবাইকে ভীতি প্রদর্শন করবেন এবং সুস্পষ্টভাবে পৌঁছাবেন।

_________________________________

অনুবাদের জন্য সাহায্য নিয়েছি নিচের লিঙ্কগুলো থেকে:
১. http://quran.com/
২. http://quranix.net/
৩. Click This Link
____________________________________
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৩২
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×