somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রুপচর্চা: ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার

২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চার
০ স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ওয়াটার বেসড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। ওয়াটার বেসড ময়শ্চারাইজারে সামান্য পরিমাণে তেল থাকে।
০ শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম বেসড ময়শ্চারাইজার উপযোগী। গি সারিন, ল্যাক্টিড এসিড রয়েছে এই ধরনের ময়শ্চারাইজারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
০ তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে অনেকেই সমস্যায় ভোগেন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজার।
এই ধরনের ময়শ্চারাইজার ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্যও খুব উপযোগী। অয়েল ফ্রি ময়শ্চারাইজারে ভেজিটেবল অয়েল, অ্যানিম্যাল ফ্যাট ইত্যাদি থাকে না।
০ যাদের ত্বক মিশ্র বৈশিষ্ট্যের তারা ব্যবহার করুন লাইট, হাইড্রেটিং ময়শ্চারাইজার। দিনে দু’বার এই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
০ সেনসেটিভ ত্বকের জন্য ভিটামিন-এ সি এবং ই, জিঙ্ক এবং গ্রিন টি যুক্ত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এই ধরনের ত্বকের জন্য সুগন্ধবিহীন ময়শ্চারাইজারই আদর্শ।

ময়শ্চারাইজিং টিপস
০ গোসলের পর ত্বকে ভেজা ভাব থাকতে থাকতে তেল বা ক্রিম লাগানোর অভ্যাস করুন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে দু’বার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ভেজা ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগালে ত্বকে অতিরিক্ত ময়শ্চার বজায় থাকে।
০ ময়শ্চারাইজার লাগানোর পর সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। বাইরে বেরোনোর অন্তত ১৫ মিনিট আগে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।
০ কিনজিং টোনিংয়ের পর ময়শ্চারাইজিং অবশ্যই করা উচিত। হাতের তালুতে নিয়ে সম্পূর্ণ মুখে ময়শ্চারাইজার লাগান।

হাত ও পায়ের জন্য ময়শ্চারাইজার
০ গোলাপের পাঁপড়ি, ঈষদুষ্ণ পানি, আমন্ড অয়েল, রোজ অয়েল ভিটামিন ই অয়েল, কোকোয়া বাটার মিশিয়ে হালকা আঁচে গরম করুন। ঠান্ডা করে এয়ারটাইট জারে রেখে দিন। প্রতিদিন রাতে হাত ও পায়ে মাসাজ করুন। উষ্ণ গরম পানিতে আধ চামচ নারিকেল তেল সামান্য লবণ দিয়ে হাত-পা ডুবিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। তারপর দুধের সর, আটা, গি সারিন একসঙ্গে মিশিয়ে ১৫ মিনিট হাতে ও পায়ে লাগিয়ে রেখে হালকা হাতে ঘষে তুলে দিন। ধুয়ে ফেলে মধু, ডিমের হলুদ অংশ, আমন্ড বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে আধঘন্টা লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। অলিভ অয়েল ও গোলাপজল মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন।

ক্ষতিগ্রস্থ ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজার
০ রোদে পোড়া ত্বকের জন্য তিলের তেল খুবই উপকারি ময়শ্চারাইজার। তিলের তেল ন্যাচারাল সান ব কার। সাধারণত শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা পড়ে। সেই কারণে এই ত্বকের বিশেষ প্রয়োজন। ঘি ও আমন্ড অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে বলিরেখার উপর মাসাজ করুন প্রতিদিন আধঘন্টা। তারপর আমন্ড বাটা, আমলাবাটা, মধু একসঙ্গে মিশিয়ে বলিরেখার উপর লাগিয়ে আধঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের টানটান ভাব নষ্ট হয়ে গেলে হালকা হাতে আমন্ড অয়েল দিয়ে আপ লিফটিং পদ্ধতিতে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। মুখ মুছে ডিমের সাদা অংশ, মুলতানি মাটি, আঙ্গুর একসঙ্গে মিশিয়ে এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন ২৫ মিনিট। তারপর মুখ ধুয়ে শসার রস ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান।

ময়শ্চারাইজার মাস্ক
০ ২ চামচ দুধের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মুখ ও গলায় ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
০ ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ ভেজিটেবল অয়েল ও ১ টেবিল চামচ নারিকেলে তেলের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ ক্রাশড স্ট্রবেরি মিশিয়ে নিন। সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল মেশান, গলায় ও মুখে ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলুন।
০ গি সারিন, গোলাপজল, লেবুর রস সমপরিমাণে নিয়ে মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। গরমে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভাল ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজে দিবে।
ময়শ্চারাইজিং এর প্রয়োজনীয়তা
০ ময়শ্চার ত্বকে পানি ও তেলের ভারসাম্য বজায় রাখে।
০ আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবের ফলে ত্বকের ময়শ্চার নষ্ট হয়ে যায়। তাই ত্বকের যতেœ ময়শ্চার খুবই জ রুরি।
০ ওয়াটার ইন অয়েল ময়শ্চারাইজার সাধারণত অয়েলবেসড হয়। এই ধরনের ময়শ্চারাইজার ত্বকের ময়শ্চারাইজার ধরে রাখে। ০ অয়েল ইন ওয়াটার ময়শ্চারাইজার সাধারণত গি সারিনের কাজ করে। এই ময়শ্চার ত্বকের গভীরে ঢুকে ময়শ্চার ধরে রাখে।

ঘরে তৈরি ময়শ্চারাইজার
০ স্বাভাবিক ত্বকে মধু, লেবুর রস, দই মিশিয়ে লাগান। ত্বকের উজ্জ্বল ও মসৃণভাব বজায় থাকবে।
০ তৈলাক্ত ত্বকে আপেল কোরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
০ শুষ্ক ত্বকে অলিভ অয়েল, লেবুর রস ও ডিম মিশিয়ে ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:২৫
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×