বন্ধু কী, তা কখন শিখেছি মনে নেই। বন্ধুত্ব বুঝার জন্য শত্রুতামীর মুখোমুখী হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল কি না কে জানে!
আজ দেখলাম ‘চ.বি. হিলসাইড স্কুলের’ ক’টি বাচ্চা নিজেদের বন্ধুর ফিরিস্তি দিচ্ছে! ওরা প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। ক্লাস শেষে বাসায় ফেরার পথে বন্ধুর হিসাব কষছিল। চলন্ত অবস্থায় তাদের সব কথা কর্ণগোচর হয় নি। যেটুকু কর্ণগোচর হল, তার চেয়ে বেশি মর্মগোচর হল।
একজন (মেয়ে): ক্লাসে যতগুলো মেয়ে ততগুলো আমার বন্ধু!
আরেকজন (ছেলে): আমার চারটা বন্ধু।
অপরজন (ছেলে): আমার নানুর বাড়িতেও অনেকগুলা বন্ধু আছে।
আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে হয়ত এদের প্রত্যেকের বন্ধুর তালিকায় আরও কিছু সংযোজন শুনতে পেতাম। সবে প্রথম শ্রেণীতে পড়ছে এরা। বড় হতে হতে বন্ধুত্বের তালিকা আরো বর্ধিত হবে। মাঝে মাঝে সংশোধিত হবে। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত এতে সংযোজন বিয়োজন চলতে থাকবে।
ওরা বন্ধু চিনতে শিখেছে। এখনো শত্রু চিনতে শিখে নি। ওরা এখনো জানে না, ওরা এমন একটি দেশে জন্ম গ্রহণ করেছে, যেখানে বন্ধুর চেয়ে শত্রু বেশি। জীবনের বাঁকে বাঁকে শত্রুর দেখা মিলবে। তবুও ওদের চিনতে ভুল হবে। প্রকৃত শত্রু যে বন্ধুর বেশে থাকে!