somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলেন ইতিহাস দেখি - প্রতি শুক্রবার ঢাকার পথে

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :







ঢাকায়, বা শুধু পুরোনো ঢাকাতেই ঐতিহাসিক স্থাপনা কতগুলো কেউ জানেন? আমার জানামতে এরকম ৯৩টা স্থাপনা আর ৪/৫টা সরু গলিপথ আছে যেগুলা সরকার প্রাচীন স্থাপনা বলে ঘোষনা করেছে।

আমরা কয়জন একটা শিডিউল ঠিক করেছি, প্রতি সপ্তাহে, বা প্রতি শুক্রবারে এই লিস্ট ধরে ঢাকার প্রাচীন সব ঐতিহ্য ঘুরে দেখব। ক্যামেরা তো অবশ্যই থাকবে, তবে সবচেয়ে বড় উদ্যেশ্য হল আমাদের ইতিহাস জানা আর দেখা।

যারা আগ্রহী জয়েন করেন, বা সরাসরি ফেসবুকের এই ইভেন্ট পেইজে গিয়ে জয়েন করেন

:)

প্রথম দিন -
২৫ নভেম্বর, ২০১১, শুক্রবার
স্থানঃ ছবির হাট, ঢাকা ভার্সিটি
সময়ঃ ঠিক সকাল ৯টায়


এদিন মুলত আমরা আমাদের রুট প্ল্যান ঠিক করব, আর কাছাকাছি কয়েকটা জায়গায় যাব। তো জয়েন করতে চাইলে অবশ্যই চলে আসবেন সকাল ৯টায়।


আপডেট - প্রথম দিনের ওয়াক শেষ, দ্বিতীয় দিনে আমরা যাচ্ছি পুরোনো ঢাকার সদরঘাট আর আশেপাশের এলাকায়। ইভেন্টের লিঙ্কটা দেখেন।

আমরা এই তালিকা ধরে ঘুরবো, ফটো তুলবো . . .
হেরিটেজভুক্ত অবকাঠামো : নারিন্দার বিনত বিবির মসজিদ,
চকবাজারের বড় কাটারা ও ছোট কাটারা,
লালবাগের লালবাগ দুর্গ,
আমলীগোলার রাম শাহর মন্দির,
খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদ,
ধানমণ্ডির সাতমসজিদ সড়কের ঈদগাহ,
নিমতলীর নিমতলী দেউড়ি,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরসংলগ্ন মীর জুমলা গেট,
মুসা খান মসজিদ,
শিখ গুরুদুয়ারা,
শিববাড়ি মন্দির,
গ্রিক মেমোরিয়াল,
বাংলা একাডেমীর বর্ধমান হাউস,
উপাচার্য ভবন,
মধুর ক্যান্টিন,
হিন্দু মঠ ও টিএসসি কমপ্লেক্স,
কার্জন হল,
ফজলুল হক হল,
এসএম হল,
জগন্নাথ হলের পুরনো ভবন,
আর্ট কলেজ ভবন,
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি,
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার,
মোহাম্মদপুরের সাতগম্বুজ মসজিদ,
বাঁশবাড়ির অপরিচিত পুরনো সমাধি,
বেগমবাজারের কারতালাব খান মসজিদ,
মিটফোর্ড হাসপাতালের পেছনের শায়েস্তা খান মসজিদ,
ইসলামপুরের গোলতালাব, সদরঘাটের বাকল্যান্ড বাঁধ।
তেজগাঁওয়ের হলি রোজারিও চার্চ,
ওয়ারীর খ্রিস্টিনা সমাধি ক্ষেত্র,
বকশীবাজারের হোসেনি দালান (ইমামবাড়া),
ঠাঁটারীবাজারের জয়কালী মন্দির ও রামসীতা মন্দির,
আরমানিটোলার আর্মেনিয়ান চার্চ,
তারা মসজিদ,
আজিমপুরের বড় দায়রা শরীফ,
বংশালের বংশাল জামে মসজিদ,
ফরাশগঞ্জের নর্থব্রুক হল (লালকুঠি),
কসাইটুলীর কসাইটুলী মসজিদ,
জনসন রোডের সেন্ট থমাস চার্চ,
লক্ষ্মীবাজারের সেন্ট গ্রেগরিজ চার্চ,
মিলব্যারাকের রাধাগোবিন্দ মন্দির,
সূত্রাপুরের শ্মশান মন্দির ও মঠ বানিয়ারনগর,
সূত্রাপুরের রাধা গোবিন্দ মন্দির,
বাবুবাজারের আমিরউদ্দিন দারোগার সমাধি,
নারিন্দার গৌড়মঠ,
গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন,
দিলকুশার নওয়াববাড়ি মসজিদ,
আমিনবাজারের দেওয়ানবাড়ি কমপ্লেক্স ও মসজিদ,
সদরঘাটের বাহাদুর শাহ পার্ক (ভিক্টোরিয়া পার্ক),
বাহাদুর শাহ পার্কের পানির ট্যাঙ্ক,
কারওয়ানবাজারের আম্বর শাহ মসজিদ,
বেরাইদের ভুইয়াবাড়ি মসজিদ, সিদ্ধেশ্বরীর কালিবাড়ী,
কাকরাইলের আর্চ হাউস ও বিশপ চার্চ,
পাতলা খান রোডের লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির,
পাটুয়াটুলীর লয়েল স্ট্রিটের ব্রাহ্মসমাজ মন্দির,
রাজা রামমোহন লাইব্রেরি,
ফরাশগঞ্জের রূপলাল হাউস,
ইসলামপুরের আহসান মঞ্জিল,
মিটফোর্ড হাসপাতালের পুরনো তিনটি ভবন,
ওয়াইজঘাটের ওয়াইজ ভবন (বাফা ভবন),
টিকাটুলীর রোজ গার্ডেন,
টিপু সুলতান রোডের শঙ্খনিধি প্যালেস,
লক্ষ্মীবাজারের সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল,
শাঁখারীবাজারের পগোজ স্কুল,
বঙ্গভবনের মানুক হাউস
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রেসকোর্স গ্যালারি,
দয়াগঞ্জের ইসকন মন্দির,
নয়াবাজারের সুশীলা কুটির,
রমনার পুরনো হাইকোর্ট ভবন,
তোপখানার চামেরী হাউস,
ফুলবাড়িয়ার সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল (পুরনো রেলওয়ে হাসপাতাল),
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন,
বুয়েটের রশিদ ভবন (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং),
ওয়ারীর বলধা গার্ডেন,
সুতারনগরের ২৮ নম্বর উৎসব পোদ্দার লেন ভবন,
কোতোয়ালির ৭-৯ কৈলাশ ঘোষ লেন ভবন,
ঝুলন বাড়ির ৮, ৮/১, ৮/২ ঝুলনবাড়ি লেন ভবন,
সেগুনবাগিচার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবন (পুরনো কমিশনার বিল্ডিং),
জাতীয় সংসদ ভবন ও শেরেবাংলা নগর কমপ্লেক্স,
ঢাকা কলেজের পেছনের নায়েম (সাবেক শিক্ষা সম্প্রসারণ কেন্দ্র),
কমলাপুর রেল স্টেশন,
ধানমণ্ডির ২৪ নম্বর রোডের ৩০১/বি নম্বর বাড়ি,
ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘর,
মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ,
রায়েরবাজারের বধ্যভূমি,
রাজউক ভবন ও
নগরভবন।

এছাড়া চারটি এলাকার কয়েকটি সড়কের দু'পাশের বসতি, ইমারত, গলি ও উন্মুক্ত চত্বর সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে ।
এগুলো হলো
ফরাশগঞ্জ এলাকার ঋষিকেশ দাস রোড,
রেবতি মোহন দাস রোড,
বি কে দাস রোড,
ফরাশগঞ্জ রোড,
শাঁখারীবাজার এলাকার শাঁখারীবাজার,
তাঁতিবাজার,
পনিতলা,
সূত্রাপুর এলাকার প্যারিদাস রোড,
হেমেন্দ্র দাস রোড,
রমনা এলাকার বেইলি রোড,
মিন্টু রোড,
হেয়ার রোড ও
পার্ক এভিনিউ ।

বিস্তারিত পাবেন, রাজউক এর ওয়েব সাইটে . . .

আজাহার ভাইকে অনেক ধন্যবাদ লিস্টের জন্য।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩২
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×