প্রথম ২ দিন কক্স বাজার এ কাটানোর পরে সকালে মাইক্রোবাস যোগে যাত্রা করলাম টেকনাফ বরাবর। টেকনাফ এ পৌঁছে জানলাম আজকে আর সেইন্ট মার্টিন যাওয়া সম্ভব না, অনেক দেরি করে ফেলেছি। আগে থেকে বুকিং না থাকায় সী ট্রাক এ কোন সিট পেলাম না, অগত্যা পিচ্চি ট্রলার নিয়ে যেতে হল। শান্ত সমুদ্রে আড়াই ঘন্টার ভ্রমন সবাই খুব উপভোগ করলাম। সেইন্ট মার্টিন এ বাকি সময় মুগ্ধ বিষ্ময়ে কাটানোর পরে বিকেল ৪টা ৩০ এ আবারো সেই পুচকে ট্রলারে উঠলাম টেকনাফ এর উদ্দেশ্যে।
মজা বা দুর্ভাগ্য যাই বলেন, এর শুরু ঠিক এখান থেকেই। বিকেলের আবহাওয়া ভাল ছিল না। বিশাল বিশাল ঢেউ কে মনে হচ্ছিল এক একটা তিমি আর এক্ষুনি আমাদের পুচকেটাকে গিলে ফেলবে। বারবারেই মনে হচ্ছিল এই বুঝি পিচ্চি ডুবে যাবে। সবাই দোওয়া দরুদ পড়া শুরু করে দিয়েছে। এভাবে বিশাল ভয়ের মাঝেই উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে টেকনাফ এর কাছাকাছি যখন পৌছিলাম তখন সব কিছুই অন্ধকার। আর মজার ঘটনাটা ঘটল ঠিক তখনি। আমরা দেখলাম অন্ধকারের মাঝে ছোট ছোট আলো জ্বালিয়ে কারা যেন আসছে আমাদেরই দিকে কয়েক জায়গা থেকে। এক বন্ধু তাদেরকে ডাকাত মনে করে তার মোবাইল, মানি ব্যাগ সব কিছুই নিচে ফেলে দিল। হা হা হা। পরে যখন ওই ছোট্ট নৌকাগুলা কাছে আসল , জানা গেল আসল ঘটনা। ভাটা হওয়াতে আমাদের এই পিচ্চি ট্রলারের পক্ষেও ঘাটে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই নৌকাগুলা আসছিল আমাদেরকে ঘাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এবার আমার বন্ধুর তো মাথায় হাত। মোবাইল, মানি ব্যাগ কিছুই নিচে নাই। পরে ডাকাত দলের (!) একজনের একটা হারিকেন নিয়ে অনেক খোজাখুজির পরে গুপ্তধন পাওয়া গেল ট্রলারের একদম নিচের অংশে, যেখানে সব সময়ই পানি থাকে। কি আর করার। বেশি স্মার্ট হতে গিয়ে বেচারাকে মোবাইল সেট টাকেই খোয়াতে হল।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




