১৯৬৮ সালের নির্বাচনে আমাদের এলাকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন জনাব আফতাব উদ্দিন ভুঁইয়া সাহেব । তখন আসাদুল হক খসরু সাহেবের সমর্থকদের ভিতরে তীব্র ক্ষোভ দানাবাধে এবং সিদ্ধান্ত নেন তারা আফতাব উদ্দিন ভুঁইয়ার বিপক্ষে নির্বাচন করবেন। এই সিদ্ধান্তটি দলীয় প্রধানকে জানিয়ে দেয়ার জন্য বিদ্রহীদের একটা অংশ এসেছে পার্টি অফিসের সামনে। তারা অফিস থেকে বেশ খানিকদূর এগিয়ে সামনের যে রাস্তা দিয়ে নেতা আসবেন সেদিকটাই জটলা পাকাচ্ছেন । নিজেদের ভিতরে একটা চাপা উত্তেজনা নিয়ে গুঞ্জন চলছে... কারন একটাই ......বেড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাধবে কে ?? এদিকে নেতার জীপ দেখা যাচ্ছে । সেই মুহুর্তে ২৪/২৫ বছর বয়সী এক যুবক জীপের সামনে দাঁড়িয়ে দুহাত উচু করে নেতার গাড়ীর গতি রোধ করে যুবকটি চিৎকার করে জানতে চান " মাননীয় নেতা ,কি কারনে খসরুর পরিবর্তে আফতাব ঊদ্দিন ভুঁইয়াকে মনোনয়ন দেওয়া হল ? আমাদের কাছে পরিস্কার করে না বললে আমরা কেউ আফতাব উদ্দিনের নির্বাচন করব না। নেতা প্রথমে খুব জোড়ে ধমক দিলেন । যুবক অনড় দাঁড়িয়ে রইল । সবাইকে হতবাক করে দিয়ে নেতা জীপ থেকে নামলেন এবং যুবকের পিঠে হাত রেখে বললেন, “সামনে অনেক বড় আন্দোলন তাই এই মুহুর্তে খসরু সাহেবের মত একজন ব্যাবসায়ীর চেয়ে আফতাব উদ্দিন ভুইয়ার মত একজন ত্যাগী নেতা দরকার যিনি সবসময় মাঠে থাকবেন। আমি চাই তোমরা সবাই তার নির্বাচন করে তাকে জয়যুক্ত কর।“ পরক্ষনেই নেতার নামে শ্লোগান দিতে দিতে যুবক সহ জনতার প্রস্থান। নির্বাচনে ঐ যুবকদের সক্রিয় অংশগ্রহনের কারনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন জনাব আফতাব উদ্দিন ভুঁইয়া।
সেই নেতা আর কেউ নন স্বয়ং বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান । আর ঐ যুবক হলেন ভৈরব বাজার মুক্তকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রীছ আলী মোহন যিনি আমার জন্মদাতা পিতা। যিনি আজো ন্যায়বিচার বঞ্চিত । যার সন্তান হয়ে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়েও আমি ন্যায়বিচার পাই না।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৭