somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্যায় প্লাবিত কুড়িগ্রাম; জনজীবনে দুর্ভোগ

১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কুড়িগ্রাম; যে জেলাকে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা বলা হয়। দেশের আর কোথাও এখন 'মঙ্গা' কার্যক্রম দেখা না গেলেও, এখানে 'মঙ্গা' কার্যক্রম প্রতিবছর চালু থাকে। এখানকার মানুষদের এখনো শুনতে হয়, 'আরে! তোমরা তো মঙ্গা এলাকার লোক।'

কুড়িগ্রামের একদম মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে দেশের অন্যতম বড় নদী, ব্রহ্মপুত্র। ফলে, প্রতিবছর বর্ষাকালে এখানে বন্যা হয়। আর নদীভাঙন তো নিত্যদিনের ঘটনা। যারা, নদীতীরবর্তী এলাকায় থাকে, গত ১০ বছরে কম করে হলেও একাধিকবার বাড়ি ভাঙ্গার সম্মুখীন হয়েছে। তবুও, এখানে সরকার, স্থানীয় প্রসাশন, কারো কোনো উদ্যোগ নেওয়ার লক্ষণ দেখা যায় নি। নেই কোনো সুপরিকল্পিত বাঁধের ব্যবস্থা। ফলে প্রতিবছর নদীর পানি অত্যধিক হারে বেড়ে গিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে।

তবে কুড়িগ্রাম সদর, রৌমারী উপজেলা বা পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বন্যার প্রভাব কখনোই সেভাবে ছিলনা। কিন্ত এবার একদম ব্যাতিক্রম। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি,ভারত থেকে আসা পানি,বাঁধ ভেঙ্গে যাতা একটা অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আজকে শুনলাম উপজেলা চত্বরে পানি উঠেছে। রৌমারীর প্রায় ৭০% লোক এখন পানিবন্দী। সবমিলিয়ে একটা ভয়াবহ অবস্থা বলতেই হয়। আমাদের এদিকটায় যখন এই অবস্থা, তখন একদম নদী তীরবর্তী রিমোট এলাকার মানুষ, নদীর সাথেই যাদের বসবাস, যাদের ঘর-বাড়ি, ভিটেমাটি সব পানিতে মিশে গেছে, তাদের দিনকাল আসলে কেমন যাচ্ছে, চিন্তা করা যায় না।
মানুষগুলোর থাকার, খাবারের, চিকিৎসার ব্যাবস্থা, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হচ্ছে এটা আশা করাও যায় না। হয়তো বিভিন্ন দিক থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, উপজেলা থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, উপরমহল থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে কিন্ত যেভাবে পরিস্থিতি এগোচ্ছে, তাতে পানি কমার এখন পর্যন্ত কোন লক্ষণ দেখা যায় নি। পানি ক্রমান্বয়েই বেড়ে যাচ্ছে। আর তাই সেই মানুষগুলোর সাহায্যের দরকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

গত ২ বছরে প্রধানমন্ত্রী দুইবার কুড়িগ্রাম ঘুরে এসেছেন, মানুষের দূর্দশা দেখেছেন, তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপের মুখ দেখেনি কুড়িগ্রাম। প্রতিবার বন্যা হয়, প্রতিবার বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে, এভাবে ত্রাণ নিয়ে আর কত বছর চলা যায়? যদি স্থায়ী পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে প্রতিবছর এভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে যেতে হবে।

কুড়িগ্রামে প্রায় ২০০ কি.মি বাঁধের মধ্যে ২৩ কি.মি ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে এই দূর্দশার সৃষ্টি হয়েছে। অনতিবিলম্বে বেড়িবাঁধ উঁচু ও প্রসস্থ করা না হলে, এরকম বিপর্যয় ঘটতেই থাকবে। পাশাপাশি নদীখনন করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা দরকার।
সবশেষে, একটা কথাই বলতে চাই, আর ত্রাণ নয়, এবার স্থায়ী পরিত্রাণ চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×