খুব বেশি কিছু লেখার নেই.। শুধু রইল অপরিসীম ভালোলাগা ও শ্রদ্ধা। তার সৃষ্ট হিমু নিয়ে সামুর একটি পোস্ট শেয়ার করলাম। ( সমস্ত কৃতিত্ব ব্লগার "আমি আজব পোলা'র।"আজব পোলার ব্লগ এর লিঙ্ক
হিমু
--------------------
হিমু একটি হুমায়ুন আহমেদ রচিত জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র। হিমু একজন বেকার যুবক যার আচরণ কিছুটা অজাগতিক।
হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ুরাক্ষী। এর প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দুটি কাল্পনিক চরিত্র। কিছু নারী-পুরুষ হিমুকে সত্যি বলে মনে করেন। আবার কিছু হিমু রুগী নিজেকে হিমু বলে দাবি করেন।
চরিত্র পরিচয়
হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট এই চরিত্র অনুসারে হিমুর আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে, যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরী করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরী করা সম্ভব। তার একটি মহাপুরুষ তৈরীর স্কুল ছিল যার একমাত্র ছাত্র ছিল হিমু। হিমু পকেটহীন হলুদ পাঞ্জাবী পরে থাকে। ঢাকার পথে পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকান্ডের অন্যতম। মাঝে মাঝে তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোনো আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করেনা। হিমুর আচার আচরণ খুবই বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে।
উপন্যাসে হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর খালাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী আছে, যার নাম রূপা।
নামকরণ
হিমুর আসল নাম হিমালয়। হিমু যখন ছোট ছিল তখন তার বাবা তার নাম রেখেছিল হিমালয়, যা হিমালয় পর্বতের ন্যায় মহত্ব প্রকাশ করে। হিমুর বাবা তাকে একজন মহামানব হিসাবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, এবং তাই তিনি তার ছেলের এমন নাম রেখেছিলেন। পরে ছাত্রজীবনে এই নাম নিয়ে তাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তার দাদা (পিতামহ) তার অন্য নাম রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হিমু তার বাবার দেয়া নামই রাখে।
উপস্থিতি
হিমুর বয়স ১৮-২৫ বছরের মধ্যে। সে দেখতে খুব সুন্দর নয়,বরং তার পোশাক ও গেট-আপ বিরক্তিকর। সে সবসময় হলুদ রঙের পাঞ্জাবী(অধিকাংশ সময়ে যেটার পকেট থাকে না) পরে। তার ফুফাতো ভাই বাদল তার অন্ধভক্ত। যে তার আধ্ম্যাতিক শক্তির প্রতি নিঃসন্দিহান, এবং তাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করে। হিমু মাঝে মাঝে ভবিষ্যতবাণী করে যা প্রায় সময়েই মিলে যায়। সে তার যুক্তি-বিরোধী মতানুসারে কাজ করে, এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেয়।
জীবন যাপন
হিমুর জীবন যাপন অনেক অদ্ভুত। তার জীবন অনেকটা বাউন্ডুলে ধরনের। সে মেসে তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে থাকে। তার কোনো পেশা নেই। হিমুর বেশকিছু বিত্তবান আত্মীয় রয়েছে। হিমু প্রায়ই তার বিত্তবান আত্মীয়দের কাছ থেকে উপহার এবং অর্থসাহায্য পায়।
ব্যাক্তিত্ব
হিমু স্বতন্ত্র ব্যাক্তিত্বের অধিকারী। সে প্রায়ই যুক্তি-বিরোধী মতানুসারে আচরণ করে, এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং তার এরকম অযৌক্তিক ব্যাক্তিত্বের কারণে সে অনেক সম্ভাব্য বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। তার এরূপ আচরণ অনেক মানুষকে তাকে মহাপুরুষ ভাবতে প্রভাবিত করে।
হিমু কেন্দ্রিক উপন্যাস
ময়ুরাক্ষী
দরজার ওপাশে
হিমু
হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম
এবং হিমু
তোমাদের এই নগরে
পারাপার
হিমুর রূপালী রাত্রি
একজন হিমু ও কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকা
হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
সে আসে ধীরে
আঙুল কাটা জগলু
হিমু মামা
হলুদ হিমু কালো র্যাব
আজ হিমুর বিয়ে
হিমু রিমান্ডে(২০০৮)
হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার
হিমুর বাবার কথামালা
হিমুর নিল জ্যোৎস্না

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


