রে আমার শুভ্র পরী,
তোকে পরাব বলেই কংসমুখ ভেঙ্গে বানিয়েছি ঐন্দ্রিক মালা। তোর ছেলে ভুলানো প্রশ্নে মনে হাসির জোয়ার আসে। " আচ্ছা আমার বাঁ পায়ের নূপুরটা ছোট হয়ে গেলো কেন? " ... অমনি তোকে শুনিয়ে দিলাম একগাদা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। আচ্ছা ... এখনও কি তুই দশ ঘণ্টাই ঘুমাস?
তোকে নিয়ে আমার ভাবনা শুনবি? ডাকসু ক্যাফে'তে বসে গল্পের ছলে তুই শুধাবি... খাবেন কিছু? আমি বলে উঠবো... হাসি খাব । অমনি একটা হাসির সিডর বইবে। আর আমি খাবি খাওয়া মাছের মত হাবুডুবু খাব সে হাসির বন্যায়।
অবরুদ্ধ আবেগে উন্মীলন মনের খেলা , এ আমার সরলতার বহিঃপ্রকাশ । নিশ্চুপ মনের বোবা ভাবনার এলোকেশ যখন আকাশ ছুঁতে চায়, তখনই বাধ সাধে অবকাশ । নিরস কাঠি চুষে পেতে চাইলাম সরসের স্বাদ। বৌদ্ধিক ভাবনাগুলোর ছুটোছুটি বড়ই এলোমেলো।
এ আমার একার ভাবনা। কেন যেন জলের পরে আলোর নাচন দেখে ও তৃপ্ত হইনা।
বোবা ভাবনার রেশ কাটতেই উঠে এল হাতে একখানা কাগজ, আর তাতে ইচ্ছেমতন আঁকা আঁকি । একটু খেয়াল করতেই দেখি, আঁকা হয়ে গেছে শান্ত, স্নিগ্ধ, মায়াময় একখানি মুখ।
প-রী... ধূসর কাগজের উপর আঁকা বর্ণিল রঙের পরী। স্বপ্ন ডানায় ভর করিয়ে যে আমাকে দেখিয়েছিল রুপালী জোছনা, আর আমি পরম আবেশে স্নান করেছিলাম তার স্নিগ্ধতার জলে ।
প্রজাপতির পাখায় ভর করে যখন দুপুর নামে, ক্লান্তির পালক গুলো যখন ছড়ায় আপনাকে, ঠিক তখনই উদিত হয়েছিল আমার স্বপ্ন সূর্য।
সে আলোয় আলোকিত হয়ে আমি ক্রমেই হয়ে উঠি নীল... নীল ...
( যে জীবন দোয়েলের, শালিখের ছিল... সে জীবনের গল্প )

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


