somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের বর্তমান অনলাইন আর ইন্টারনেট এর ব্যাপারে কিছু ধারনা

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি সাধারনত সচেতনতা মূলক পোস্ট দেই নাহ! দেয়া হয় না। সময়ের অভাবে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অনলাইন আর ইন্টারনেট এর ব্যাপারে কিছু বলতে ইচ্ছা করছে। এড়িয়ে যাবেন না।


অনলাইন আর ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আয়ের অনেক বেশি উৎস আছে, যা একটার চেয়ে আরেকটা অনেক বেশি দামী। ব্লগিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি এর পাশে আছে ফরেক্স, পিটিসি, এমএলএম ইত্যাদি। কিন্তু আমাদের দেশের সব চেয়ে বড় সমস্যা যখন যেটা আসে তখন সবাই সেটাকে পুরা দমে পচায় ফেলে।


আর তাই ঋণাত্মক বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি, যা অনেকেরই বাংলাদেশের অনলাইন আয়ের উৎসঃ


যেখানে অনেক বড় সাইট গুলাতেও এফিলিয়েট মারকেটিং বিদ্যমান, সেখানে আমাদের দেশে এটার কনসেপ্ট কে বাজে ধরনের নেটওয়ার্ক মারকেটিং এ বদল করে এম এল এম এর বাজে রূপ নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু হঠাত করেই দেশের চিত্র কিছু নতুন রা বদলে দিলো উলটা পালটা করে।


ফরেক্স কে করা হয়েছে এক প্রকারের অবৈধ (সঠিক জানিনা) অনেকের ই টাকা আটকে গেছে।


পিটিসি অনেক দেশেই আছে। আমাদের দেশে যদিও ওতো টা পপুলার না। তবে অনেকেই বাইরে আয় করছে। যদি ও টাকার হিসেবে আয় অনেক কম তবে অলস সময়ের জন্য সারফিং এর ক্ষেত্রে খারাপ নাহ!


আপনাদের কি মনে হয় এগুলা অনেক খারাপ কাজ? যদি তাই হয় তাহলে আমি আরো কিছু কাজের বিবরন দেই।


অনেক ব্লগার এর ই পর্ণ ব্লগ সাইট থাকে। সেটা হতে পারে গল্প, ছবি, ভিডিও কে নিয়ে, ব্লগ এ অনেক এড দিয়ে রেভিনিউ আয় করা হয় এক্ষেত্রে। এসব সাইট এ ভিজিটর এর পরিমান এতো বেশি যে বলার মতন না! প্রতিদিন গুগল এর টপ সার্চ করা কি-ওয়ার্ড এই রিলেটেড ই হয়ে থাকে। হঠাত একদিন দেখা যায় সাইট বন্ধ হয়ে যায় সাথে হয়ে যেতে পারে তাদের এড এর একাউন্ট অনেক টাকা সহ!


পর্ণ এক্টিভিটিস, এটা এমন কিছু যা আপনি আপনার ঘরে বসে করছেন, বিপরীত প্রান্ত থেকে কেউ বা কারা তা উপভোগ করছে, ছেলে-মেয়েরা এর মাধ্যমে তাদের শরীর প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জন করে। একদল মানুষ এমন একটা কমিউনিটি থেকে আয় করছে। পরে এইসব ছেলে মেয়েরা ট্র্যাপ এ পড়ে পতিতাবৃত্তি করতে হচ্ছে তাদের। আমাদের দেশের ও অনেক ছেলে মেয়ে নতুন প্রযুক্তি এর কারনে এখন এসবের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা এগুলো তে বেশি আসক্ত। নিঃসঙ্গ দের সঙ্গ দিতে গিয়ে তারা সমাজের সঙ্গ হারিয়ে ফেলে যখন সব খবর ফাঁস হয়ে যায়। মুখ দেখানো জায়গা থাকে না। পরবরতী ফলাফল আত্মহত্যা!


আর এই গুলি কে কি বলবেন?


পুরাতন ফ্রিল্যান্সার রা অনেক ভালো করছে। অনেকেই উৎসাহ দিতে সভা সেমিনার করছেন। অতি উতসাহে একজন কিছু না জানা মানুষ এতে আকর্ষিত হয়ে চলে আসে এই সেক্টরে। খুলে ফেলে একটা ওডেস্কে একাউন্ট খুলে ফেলছে ইল্যান্স এ ও ফ্রিল্যান্সার এ ও। কেউ লোগো এর জন্য বিড করছে ২০০-২৫০ ডলার এ আবার অনেকে মাত্র ৫ ডলার এ ফাইভার থেকে বানায় নিচ্ছে। এতে যা হচ্ছে মার্কেট এ সার্ভিস এর রেট অনেক কমে যাচ্ছে। অনেক এ মার্কেট এ এসে মার্কেট কে অগ্নিদগ্ধ আর দুর্নাম করতেসে।


হঠাত শুরু হলো বাংলাদেশ এ ইকমারস এর দৌড়ের। একজন ওয়েব ডেভেলপার নিজের মন চাওয়ার সাথে সাথেই একটা সাইট ডেভেলপ করে ফেললো। এখানে তাদের অনেক মার্কেটিং খরচ আছে যা তার করছে। কিন্তু প্রোডাক্ট সোরসিং করতে পারছে নাহ। যাদের কে করে দেয়া হচ্ছে সোরসিং তারা আবার মার্কেট করছে নষ্ট। ভেন্ডর দের সাথে কমিউনিকেশন গ্যাপ এর কারনে তাদের ব্যবসা এর ১২ টা ও বাজে।


হঠাত উদ্যোক্তা আন্দোলনের নামে উদ্যোক্তাদের নাকানি-চুবানী খাওয়ানো শুরু হলো। হালের গরু ভেবে তাদের কে এদিক-ওদিক করে দেয়া হলো। অনেক নতুন দের পুরাতন রা মানচিত্র তৈরি করে দিলো যাতে তারা এর বাইরে না যায়। দেয়াল সৃষ্টি করে দেয়া হলো, যারাই এপাড়ে আস্ত্তাটে।চেয়েছে তাদের করা হয়েছে অবাঞ্চিত। অন্যের নাম দেয়া আর করা প্ল্যান নিয়ে তারা তা বাস্তবায়ন করছে তাদের উদ্দেশ্য তাদের বাদ দিয়ে। আর এই সব ছোটো উদ্যোক্তাদের পকেট থেকে স্পন্সরশীপ এর নাম করে হাকায় নেয়া হচ্ছে হাজার হতে শুরু করে লাখ-লাখ টাকা। নন-প্রোফিট এর সাইন বোর্ড হাতে নিয়ে তারা আয় করছে এই টাকা। এতে যারে ঐ তাদের আশায় পড়ে আছে, তারা এখনো সে ঘোড়ে আছে। উদ্যোক্তা ক্লিনিক আর হ্যান ত্যান এর নাম করে এখনো হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে অনেক অনেক টাকা। এই হচ্ছে আমাদের দেশের অবস্থা।

যেকোনো সময়ে পচে যাবে এই উদ্যোক্তা হবার ব্যাপারটা ও... যেকোনো সময়ে ...

নতুন দের অবশ্যি স্বাগতম জানানো উচিত। তবে তাদের গলা টিপে এভাবে মারা উচিত না! একদমি না।

শিয়ালের মতন ৩০ দিন বাঁচার চেয়ে বাঘ-সিংহ এর মত একদিন বাঁচা অনেক ভালো।

কারো খারা লাগলে দুঃখিত! আমার উদ্দেশ্য এমন ছিলো না!
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×