ক্যালেন্ডারের পাতায় শীত শেষ । শহরে রূক্ষতাকে কাটিয়ে মলিন তুলোয় রঙিন একটা ভাব এলে বলে! হয়তো এসেও গেছে অগোচরে। চোখের ভিতর এখনো কুয়াশা, বুকে শৈত্য প্রবাহের শির শির হাওয়া, পাঁজরের কাঁপুনি এটোসেটো সোয়েটারে ঢেকে হেঁটে যাচ্ছে নিঃসঙ্গ পথিক; অমাবস্যায় ঠিক দেখা যায়না, টের পাওয়া যায়না কাঁপুনির আর্তনাদ!
অহেতুক ভাবনা ফেলে ফের ভাবা যায় শহরে শীত নেই, এসেছে বসন্ত!
শহরে রঙ নেই তবুও তাকে কে যেন সাজিয়েছে লাল হলুদের আদলে, শহরে সুখ নেই অথচ চারিদিকে সবাই কেমন হাসছে, শহরে প্রাণ নেই অথচ নিজেকেই বড্ড প্রাণহীন লাগে আবার এই শহরে কেউ নেই কোথাও তবুও তাকে কেন এত আপন মনে হয়; অদ্ভুত! কি আশ্চর্য গোলকধাঁধা, সত্য মিথ্যার মায়াজাল!
এভাবে ভাবতে না চাইলে চোখ বন্ধ করে একটা গান শোনা যেতে পারে নইলে অপু’র গলায় রবীন্দ্রনাথ অথবা পুরোনো কোন স্মৃতিচারণ!
সেল থেকে বেরুবার নিয়ম নেই । কতদিন, ঠিক কতদিন বের হইনা মনে পড়েনা; কতদিন আকাশ দেখিনা, গান বাজে না, অপু রবীন্দ্র’ শোনায় না! মাথা ঝিম ঝিম করে , শকের ভোল্টেজ বাড়ছে ক্রমে ক্রমে। এখনও কানে বাজে শিকলের টুংটাং, চোখে কুয়াশা!
এদিকে শহরে শীত শেষ, নেমে এসেছে বসন্ত; রঙিন এক ঝলমলে বসন্ত!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪০