আমাকে কেউ কি দয়া করে বলবেন যে একটি জীবনের মুল্য কতো? আমি যদি বলি আড়াই লখ্য ডলার। হে আমি আড়াই লাখ ডলারের কথাই বলছি। এবার আসুন আসল প্রসঙ্গে। একটি অমিত স্বম্ভাবনাময় জীবনের করুন অবসানের কথা আজ বলবো। সদ্য স্কুল গ্রাজুয়েসন করে মাএ কলেজে ভর্তি হয়েছে একটি ছেলে । এমন সময় সে জানতে পারে সে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত। ডক্টররা তাকে বোনম্যারু ট্র্যাস্নপেলান্টের কথা বলে। যার খরচ আড়াই লখ্য ডলার। যেহেতু তার কোনো কাগজপএ ছিলনা, তাই আমেরিকার কোনো হসপিটালেই তাকে অপারেসন করতে রাজি হয়নি। সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া ছেলেটির চোখে অনেক স্বপ্ন ছিলো। অসুস্থ মা বাবার দেখা শুনা করা, একমাএ ছোটো বোনের দেখাশুনা করা, আরও কতো না জানি তার স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু সব স্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে সে চলে যায় অনেক দুরে। গত 23 ই ফেব্রুয়ারি ছিলো তার জন্মদিন। আর এই দিনেই সে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যায়। কাগজপএ নেই বলে সে কোনো চিকিৎসা পায়নি। একবার ভাবুন সেই মা বাবার কথা। যারা তাদের একমাএ সন্তানকে পারেননি বাচাতে শুধু মাএ লিগ্যাল কাগজপএ এবং টাকার অভাবে । একজন ভাল ছাএ হওয়ার সাথে সাথে সে একজন ধর্মভীরু মানুষের মতোই পাচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেছে মৃতু্যর আগ পর্যন্ত। অসুস্থ মা বাবার কথা চিন্তা করে সে তাদেরকে মৃতু্যর কয়েকমাস আগ পর্যন্ত বলেনি তার ব্যাধির কথা। নিজে নিজে অনেক চেস্টা করেছে চিকিৎসার জন্য। এমনকি এখানকার কংগ্র্যাসম্যানের সাথে কথা বলেও কোনো কাজ হয়নি। সবাই শুধু আশার কথা শুনায়, কিন্তু কেউই তেমন কোনো সাহায্যে আশেনি। হসপিটালের বেডে শুয়ে নিজের যন্ত্রনার কথাও বুঝতে দেয়নি সে তার মা বাবাকে। অবশেষে 23 ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মাএ 21 বছর বয়সে ছেলেটি মারা যায়। ছেলেটির নাম নীশাত। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ি তাকে দাফন করা হয়েছে বাংলাদেশে তার দাদীর কবরের পাশে। আসুন তার আত্বার মাগফেরাত কামনা করে তার জন্য দোয়া করি। আর কোনো নীশাতকে যেনো এভাবে অকালে চলে যেতে না হয় মায়ের বুক খালি করে.......এই আশাই রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




