আমাদের দেশে পীরেরা কী করেন ? তাদের বৈধ আয়ের উৎস কী ? তারা ধর্মের জন্য কী করেন ?
আমাদের দেশের পীরের ওরশ করেন। ওরশ মানে হল জন্মদিন পালন। মূলত সেই ওরশ বা জন্মদিন পালন করা খাজা বাবার নামে বা কোন মৃত পীরের নামে। ইসলামে জন্মদিন পালন করা মানে ওরশ করা বিদআত। তাহলে পীরেরা এটা করেন কেন ?
কারণ ওরশ করলে প্রচুর দান খয়রাত পাওয়া যায়। খরচ করেও সেই দান খয়রাত থেকে প্রচুর টাকা বেচে যায়। মূলত এটা একটা ব্যবসা।
অ...ন্য দিকে আমাদের দেশে পীরদের কোন বৈধ আয় নাই। কয়েক জন ব্যতিক্রম ছাড়া তারা বেশির ভাগই কোন ব্যবসা বা চাকুরি করেন না। তাদের আয়ের প্রধানতম উৎস হল মুরিদদের দান খয়রাত। এই দান খয়রাত এত বেশি যে, তাদের শান শওকত দেখলে অবাক হতে হয়।
আর গদ্দিনশীন পীরদের আরও জঘন্য অবস্থা। আমি এক বংশানুক্রমিক পীরের বাড়িতে গিয়ে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম তাদের বিলাসিতা ও অপচয় দেখে। তারা একজন কোটিপতির চেয়ে বেশি অপচয় করেন। তাদের সম্পদের কোন হিসাব নাই।
ধর্মের সমর্থন না থাকলেও বাংলাদেশে পীরতন্ত্রের ব্যাপক প্রসারের পিছনে রয়েছে মাজারের ভূমিকা। একটি মাজারকে দরগা বানিয়ে সেই মাজারের আয় লুটে পুটে খাচ্ছে কোন না কোন পীর।
আমাদের দেশের মানুষ ধর্মভীরু বলে তারা পীর পূজা ও মাজার পূজা করছে। ধর্ম সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকায় তারা পীর যা বলছে সেটাকেই ধর্মের কথা বলে মেনে নিচ্ছে। একবারও সাহস করে জেনে নিচ্ছে না আসলে ধর্ম কী বলেছে। এই পীরেরা বিদআত ওরশ, জলনে জুলুছ, মিলাদ মাহফিল ইত্যাদি করে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
আর অনেক ভণ্ড পীরের চরিত্র সম্পর্কে নানা বাজে কথা শোনা যায়। তাদের মুরিদদের মধ্যে বেশির ভাগ মহিলা হয় এবং এ সব মহিলারা তার পীর বাবার জন্য জান কোরবান করতে প্রস্তুত।
এইভাবেই ভণ্ড পীরেরা তাদের আয়েশি জীবন যাপন করে যাচ্ছে। সেই আয়েশি জীবনযাপন যেন বংশানুক্রমিকভাবে করা যায়, তার জন্য গদ্দিনশীন পীর ব্যবস্থার উদ্ভব।
ইসলাম ধর্ম বান্দা ও আল্লাহর মাঝখানে মাধ্যম হিসেবে কাউকে চায় না। পীর, গদ্দিনশীন পীর ও মাজার কেউই ইসলাম ধর্মানুসারে কোন ব্যক্তিকে পরিত্রাণ দিতে পারে না