প্রতিটি শিশুর সঠিক পরিচর্যা ও নিরাপত্তা পাবার অধিকার আছে। তার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষার নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং রাষ্ট্র তার জন্য বয়স ও সময়োপযোগী আইন করবে যাতে তার কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্য সে অনুপযুক্ত সাজা না পায়। তাকে কোনভাবে শারিরীক, মানসিক বা অন্য কোন রকম নিগ্রহ বা নির্যাতনের শিকার হতে দেয়া যাবে না এবং তাকে স্বাধীন ও মুক্ত পরিবেশে বড় হতে দিতে হবে। তার জন্ম নিবন্ধন, মা বাবার সাথে থাকবার সুব্যবস্থা, নিজ ধর্ম বেছে নেয়ার স্বাধীনতা সহ নানা রকম বিষয়াবলী আছে যা শিশুর অধিকারের অন্তর্গত।
প্রতিটি শিশুর জন্য নিরাপদ জন্মগ্রহনের ব্যবস্থা আমরা আজো করতে পারিনি। তাদের জন্য পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারিনি। পারিনি বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে। তাদের এখনো শ্রম দিতে হয় হাটে, মাঠে, চায়ের দোকানে বা কলকারখানায়।
এবার ভাবা যাক সমাধানের পথ। এসবের সমাধান কি বা কোথায়?
আমরা মনেকরি সমাধান কেবল টাকা দিয়েই সম্ভব। তবে তা কী আদৌ সঠিক? না মোটেও না। প্রথমে চাই সদিচ্ছা। তারপর স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন। সারা দেশে যতগুলো অভিজাত স্কুল আছে সবগুলোতে মাত্র ১০ জন করে ছাত্র-ছাত্রি বিনা বেতনে পড়ালে সংখ্যাটি কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যায়। যদি ঠিক করি প্রতিটি স্বচ্ছল পরিবার একজন অধিকারবঞ্চিত শিশুর দায়িত্ত্ব নেয়, তাহলে অন্তত ১০ লক্ষ শিশুর সংস্থান হয়ে যায়। সামাজিক উদ্যোগ ছাড়া কখনো অধিকার অর্জন করা যায় না। হবেনা সমাজের ভাগ্যন্নয়ন।
নীরব, পাষাণ এই পৃথিবীতে সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুদের জন্য ভালোবাসার উষ্ণ প্রস্রবন তৈরী হোক। আজকের শিশু বেড়ে উঠুক আগামী দিনের ভালোবাসায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৮