ঢাকার গুলসান,বনানী,কাকলী এবং মহাখালী আজ উত্তপ্ত। নাহ কোন রাজনৈতিক চাল নায়। নয় টাকার বিনিময়ে রাজনৈতিকদের শিখিয়ে দেওয়া কোন বুলি বর্শন। ছাপান লাগেনি কোন পোষ্টার বিলানোর দরকার পরেনি কোন লিফলেট ঢাকার কোন দেয়ালে লিখা হয়নি যোগ দানের স্লোগান।হাজার হাজার ছাত্র জমায়েত হয়েছে রাজপথে।সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নয় বরং শিক্ষাকে পন্যে পরিনত করে সরকার যে ৪.৫% ভ্যাটের বিধানে মেতেছে তার বিপরীতেই প্রাইভেট বিশববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজের আবস্থান।
বিশববিদ্যাল্যের ছাত্র হিসাবে যখন আপনাকে প্রতিবার টাকা লেন দেনের সময় ৪.৫% ভ্যাট গুনতে হবে তখন কি আপনি বিরক্ত হবেন নাহ? লাইব্রেরিতে বিলম্বে বই জমাদেয়ায় যে জরিমান করা হয়েছে এমন কি ক্যান্টিনে খাওয়ার দায়েও আপনাকে ভ্যাট বাবত দিতে হবে ৪.৫% টাকা।এমন নজ়িরবিহীন ঘটনা কেবল বাংলাদেশের কিছু বুদ্ধিজীবি নামোক মাথামোটা লোকের অনুর্বর মতিস্কের নোংরামো ভিন্ন কিছুই নয়।
বিভিন্ন বিশব্যবিদ্যাল্য় কর্তীপক্ষ যখন অতিরিক্ত ফি আদায়ে লিপ্ত তখন ত তারা প্রতিবাদ করেনি নতুন আইনের বিধানো করেনি।তবে কি তার একটা বড় অংশ পেত সরকারি বিধায়করা? আজ যখন নাকি মতের মিল হচ্ছেনা তখন কি বিকল্প ব্যবস্থা করে নিয়েছে তারা এই ভ্যাট বিধানের মাধ্যমে?
আজ লক্ষ লক্ষ ছেলে পেলে প্রাইভাট ইউনিভারসিটিতে পরছে তাদের প্রতি কি সরকারের কোন দায় নাই?এই ছাত্রদের কি দেশ গঠনে কোন ভুমিকা নেই?দেশের তেল,ডাল,চালের দাম কামিয়ে আনতে ভুর্তুকি দিবে ছাত্ররা এইকি ছিল দেশ নেত্রীর রাজনৈতিক রোড ম্যাপ?
সরকারের শাসন প্রক্রিয়ার পরিবর্তন আসুক।তাদের এক ঘুয়ে রাজনৈতিক মতাদর্শ, যালাও পোড়াও, হরতাল কিংবা নাম বদলের রাজনিতিতে আমরা মোটামুটি বিরক্ত। হোমরা-চোমরা নেতার ওই পুরানো দিনের উদ্দৃতি আর ভালোলাগার নায়।আজও খারাপ ভালোর তফহাত বোঝা যায়না।৪০ বছরের বাংলাদেশে একজনও পরিনত রাজনৈতিক খুজে পাওয়া গেলোনাহ।আজ বিশ্যবিদ্যালয়ের কিছু অর্থ এবং হ্মমতা লোভী ছাত্ররা রাজনীতির লেবাস পরলেও তারা আমাদের চোখে সন্ত্রাসী ভিন্ন কিছুই নয়।আজও ৪০ বছর আগের আন্যায়ের বিচার করতে পারিনি।১৯৭১ সালের দেশবিভাগ আর সীমান্ত সমাধান করতে পারিনি ২০১০সালেও। বিধাতার কাছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক আরজ্ঞ কামনাই আমাদের একমাত্র চাওয়া।প্রত্যক্ষন বিকল্প আর কিছুই করার নেই কেননা অংশগ্রহনের প্রেরনা ১৯৭৫এই হারিয়েছি আমরা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



