আহা কি গোল গোল পাউরুটি ( আদর কইরা ব্রেড বলি) ...........মুরগী হাফ ভাজা......হাফ সিদ্ধ...হাফ ঝলসানো ( শেফ যে কি বানাইতে গেছিল ...... বানাইতে যাইয়া মাঝ পথে ভুইলা গেছে.......পরে যা হইছে তা ই দিয়া গেছে.....), সাথে দেখি ফ্রেন্চ ফ্রাই.......আরেকটু নজর বুলাতে যেয়ে দেখি ভাতের মাড় ও আছে......খচখচ করে উঠলো ভাতের মাড় জিনিসটা এরা চিনলো কেমনে এইটা তো সোললি বাংলাদেশীদের জন্য.......পরে ভালো কইরা তাকায় দেখি মাশরুম সুপ ......
এইচ আর এক্সিকিউটিভ রে দেইখা কইলাম সকালে তো একবার নাস্তা দিছ....আবার নাস্তা দিলা কেমনে......দুইবার নাস্তা পরে লান্চ....পরে ডিনার..... তোমরা এত ভালো হইলা কবে........
আমার দিকে আগুন নজর দিয়া কয় এইটা লান্চ........আমি কইলাম ওহ.....
পরে খাবার নিতে যাইয়া দেখি আরেক ঝামেলা.......কোনটা মেইন ডিশ কোনটা সাইড ডিশ ....... তা উবু দশ বিশ করতে করতে পেছনে লম্বা লাইন.......প্লেটের চেহারাও মজার........বড় একটা ট্রে.......চার পাশে হরেক রকমের গর্ত......মাঝখানের টায় মেইন ডিশ......আসে পাশের গুলায় সাইড ডিশ নাকি নিতে হয়........
আমি পুরাই কনফিউজড কোনটা মেইন ডিশ কোনটা সাইড ডিশ.......যাই হোক আশে পাশে তাকায় দেখে যা বুঝলাম মাংশটা মেইন ডিশ......
খুবই আনন্দের সাথে একটুকরা তুলে নিলাম........ব্রেডও নিলাম সাইডে.....ফ্রাইস সস......ভাতের মাড় থুক্কু মাশরুম সুপ সবই নিলাম......
করুন মুখে খাওয়া দেখে জিএম বলতাছে তুমি কি ভাত মিস করতেছ? উত্তর না দিয়া বললাম এখন থেকে কি সব দিন এমন ব্রেকফাস্ট দিবা? কইলো কি হইছে ? বললাম না তেমন কিছু হয় নাই তবে বুঝতে পারতেছিনা কোনটা মেইন ডিশ কোনটা সাইড ডিশ.......একটু যদি বইলা দিতা তবে পেট ভইরা খাইতে পারতাম.........ভদ্রলোকও দেখি হাসি দিয়া গেল গিয়া.........
ফ্রন্ট অফিস ম্যানেজার কইতেছে অরু কেমন খাইলা ......... বললাম বান্ধবীরে চুমা দেওনের মতো মজা পাইতেছি.......কিছু না কইয়াই গেল গিয়া উইঠা.........
আমিও হাড্ডি চিবাইতে চিবাইতে নিজেরে কইতেছি আজ থাইকা মনে হয় জাতে উঠলাম.......ওয়েষ্ট্রান লান্চ করতেছি.......ভালো ভালো.......
