somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাটুকারীতা যখন বিপদজনক হয়ে ওঠে!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অবশেষে মুক্ত হলেন পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিক।
এর মাধ্যমে প্রায় ২ দিনের উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে এক স্ত্রী ফিরে পেয়েছে তার স্বামীকে, মা ফিরে পেয়েছে তার সন্তানকে, সন্তানেরা ফিরে পেয়েছে তার বাবাকে।
এবং অবসান হয়েছে দিনে-দুপুরে সিনেমাটিক অপহরনের, রাত-দুপুরে নাটকিয় মুক্তিতে।

যে মুক্তিটি(পড়তে হবে উদ্ধার) ছিলো নিতান্তই আশাবাদ! যাকিনা অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই অক্ষত অবস্থায় এবং দ্রুততার সাথে মুক্তিতে গড়িয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো- সেটা কিভাবে সম্ভব হয়েছে-

বিভিন্ন গনমাধ্যমের নিউজ এবং রিজওয়ানা হাসানের বিবৃতি পড়ে যে দুটি পয়েন্ট আমার কাছে উল্লেখযোগ্য মনে হয়েছে-
এক. প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সদিচ্ছা বা সরাসরি তদারকি।
এবং দুই. গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন ও রাষ্ট্রের প্রচণ্ড চাপ।
অভিনন্দন, প্রধানমন্ত্রীকে। অভিনন্দন, গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। এক স্বজন হারাতে বসা পরিবারের চোখের পানি মুছে দিতে তাদের এ ভূমিকা সত্যি অতুলনীয়।

আমি পড়ছিলাম- আজকের প্রথম আলোয় আইনও সালিস কেন্দ্রের গত ৪ বছরের অপহরনের তথ্য সম্বলিত নিউজ। "গত ৪ বছরে অপহৃত হয়েছে ২৬৮ জন, ফিরে এসেছে ২৪ জন, লাস উদ্ধার হয়েছে ৪৩ টি আর এখনো নিঁখোজ ১৮৭ জন"!!
এখন প্রশ্ন হলো- ফিরে আসা ২৪ জন বাদ দিলে অবশিষ্ঠ ২৪৪ জনের ক্ষেত্রে কি প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সদিচ্ছা বা সরাসরি তদারকি ছিলো না? ছিলো না গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন ও রাষ্ট্রের প্রচণ্ড চাপ?
এ ২৪৪ পরিবারের চোখের পানির দায় কি এড়াতে পারেন আজকের কৃতীত্বের দাবীদার, অভিনন্দন প্রাপ্তরা?
অবশ্য, ইস্যুর নিচে চাপা পড়া ইস্যুর মতোই, এক আবু বকরের মুক্তিতেই চাপা পড়ে যাবে ২৪৪ গুম! যেমন আবু বকর সিদ্দিকের অপহরনে চাপা পড়েছে- এয়ারপোর্টে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর অপারেশনের ঘটনা।।
এমন ইস্যুর চাপা পড়ার আরেকটি বিশেষ দিক লক্ষ্যনীয়- যেখানে ইস্যু ভিত্তিক সমস্যা সমাধানে এক ত্রাতার ভূমিকাও থাকে। চাটুকারেরা বলে বেড়ান- ত্রাতার সদিচ্ছাতেই তো এটা সম্ভব হয়েছে। এই চামচাগিরির উদ্দেশ্য হলো সমালোচনায় বিদ্ধ প্রভুকে একজন সর্বশক্তিমান অতিকায় মানবের ভাবমূর্তি দেয়া। কিন্তু চাটুকারী এই মনোভাবের পরিণতিও কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে-
প্রশ্ন আসতে পারে- কিভাবে?
উত্তরঃ ইউ কে ডি!
একজন জাদরেল সরকারি কর্মকর্তা। আড্ডা ও পার্টিতে তিনি সাধারণত চুপচাপই থাকতেন। আর কথার খই ফোটাতেন তার স্ত্রী। যে কোনো সরকারি কাজের কথা উঠলে স্ত্রীটি বলতেন- ওটা তো উনিই করিয়ে দিলেন। সেই থেকে ওই স্ত্রীর নাম হয়ে যায় উনিই করিয়ে দিলেন সংক্ষেপে ইউ কে ডি। কিন্তু গোলমাল হয়ে গেল একদিন এক পার্টিতে। ভদ্রমহিলার খেয়াল ছিল না যে ওই পার্টির হোস্ট বহুদিন পর তার স্ত্রীর প্রথম সন্তান প্রসবে খুশি হয়ে সবাইকে সেদিন ডেকেছিলেন। বেখেয়ালি স্বামীভক্ত সেই ভদ্রমহিলা সেদিন সেই সন্তান সম্পর্কে বলে ফেললেন, ওটা তো উনিই করিয়ে দিলেন!
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×