somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে অনুপ্রেরনা বাংলাদেশের জয়ের টনিক হতে পারে?

০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এশিয়া কাপ ফাইনাল'১৬ তে আমি বাংলাদেশ-ভারতের জয়ের সম্ভাব্যতাকে দেবো ৪৫-৫৫।
দলগত শক্তিমত্তা এবং সাম্প্রতিক পার্ফরমেন্স বিচারে আমি ভারতকে এগিয়ে রাখবো।

যদিও T-20'তে দুটি দলের মধ্যে ব্যবধান ক্ষনেই পরিবর্তন হতে পারে এবং বাংলাদেশের যে অনুপ্রানিত উত্থান তাতে ম্যাচে মানুষিকভাবে বাংলাদেশই চাঙ্গা থাকবে বিপরিতে ভারত থাকবে চাপে। প্রথম থেকেই এ চাপটা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ জিতবে।
আমার দেশের প্রতি টান আবেগিয়ভাবে এ কামনাই করছে।

এ এশিয়া কাপে ক'দিন আগেই ক্রিকেটিয় জায়ান্ট শ্রী লংকা এবং পাকিস্তানকে হারানোর টাটকা সুখস্মৃতি বাংলাদেশের রয়েছে। যদিও সে সুখস্মৃতি অর্জনের টনিক ভারতের সাথে কাজ করবে কিনা সন্দেহ!
মনে করে দেখুন- শ্রী লংকার সাথে লড়াইকে ধরা হয়েছে জাতীয় পশু বাঘে সিংহে লড়াই হিসাবে। যেখানে বাংলার বাঘেরা উৎজ্জীবিত হয়েছে, সিংহকে পরাজিত করে শিরোনাম করেছে- 'বাঘের থাবায় সিংহ বধ'
অপরদিকে পাকিস্তানের সাথে খেলায় বাঘ-ছাগলের লড়াই হতে পারে না! তাই বাংলাদেশী টাইগারেরা উৎজ্জীবিত হয়েছে ইতিহাস থেকে! ২ মার্চ ছিলো ১৯৭১এ পতাকা উত্তোলনের দিন, সে ২ মার্চেই পাকিস্তানকে হারিয়ে এ ফাইনালে উড়িয়েছে বাংলাদেশের পতাকা।

এখন প্রশ্ন হলো- ভারতের সাথে এ মনস্তাত্বিক লড়াইটা কি হবে? সেটা কি জাতীয় পশুতে নাকি ইতিহাসে?

দুঃখজনক ভাবে ভারতের জাতীয় পশুও 'রয়েল বেঙ্গল টাইগার' তাই বাঘে বাঘে এ লড়াই হতে পারে সমতার! অন্যদিকে বাংলাদেশে বাঘ আছে ১০৬ টি বিপরিতে ভারতে সুন্দরবন অংশে ৬৪ টি সহ মোট ২২২৬ টি(বিশ্বের ৭০ শতাংশ বাঘই ভারতে)।
তাই লড়াইটা বাঘে বাঘে হলে ভারতের একতরফা ভাবে জিতে যাওয়ার কথা!

অপরদিকে লড়াইটা ইতিহাসের হলে, আজ ৬ মার্চ, এদিনের কোন প্রাসংগিক ইতিহাস পাওয়া যাচ্ছে না! তবে আগামীকাল ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষনের দিন। যেদিনে এমাটির এক শ্রেষ্ঠবক্তা বলেছিলেন- "৭ কোটি বাঙ্গালিরে দারায়ে রাখতে পারবা না"
আপনারা স্বরণ করতে পারেন, গত বছর বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে দাবায়ে রাখা দাদাগিরি!
তাই আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের অনুপ্রেরনা হতে পারে বঙ্গবন্ধুর ভাষন। "আইসিসির ওপর যতই খবরদারি করো, ১৬ কোটি বাংলাদেশীকে, ক্রিকেটে বাংলাদেশকে দাবায়ে রাখতে পারবা না"

এখন কথা হলো- বঙ্গবন্ধুর এ ভাষনে বাংলাদেশিরা হয়তো অনুপ্রানিত হতে পারে কিন্ত ইন্ডিয়ান খেলোয়ারদের আত্মবিশ্বাস ছিঁড়েফুঁড়ে দেয়া টনিক কি হতে পারে?

উত্তর- পাদুয়ার বিজয়।
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল বড়াইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বেআইনীভাবে বাংলাদেশে ঢুকে হামলা করেছিলো প্রায় ৪০০ ভারতীয় সেনা।
পৃথিবীর ইতিহাসে এটা একটা নজিরবিহীন ঘটনা যে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ মাত্র ১০ জন বিডিআর জওয়ান প্রায় ৪০ গুন শত্রুর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়েছিল। এবং সে লড়াইয়ে বিপর্যস্থ বিএসএফ তাদের ১৬ জনের লাশ ফেলেই পালিয়ে গিয়েছিলো।(বিপরীতে শহীদ হন ৩ বিডিআর জওয়ান, ল্যান্স নায়ক ওয়াহিদ মিয়া, সিপাহী মাহফুজ এবং সিপাহী আব্দুল কাদের)।

বড়াইবাড়ির এ অনুপ্রেরনাই বাংলাদেশের জয়ের টনিক হতে পারে, যাকিনা ইন্ডিয়ার মনোবল ভেঙ্গে দিতে পারে।
১০ বিডিআরের সামনে অসহায় ৪০০ বিএসএফের মতো ১০৬টি বাঘের বাংলাদেশের কাছে দূর্বল হতে পারে ২২২৬ বাঘের ইন্ডিয়া!

তবে স্বরণ করিয়ে দেই- বড়াইবাড়ির এ ঘটনায় ৩ শহীদকে জাতীয় মর্যাদায় দাফন ও পুরস্কৃত করা হয়নি! এমনকি ভারতের চাপে তৎকালীন বিডিআর ডিজি সহ বড়াইবাড়ির বীর জওয়ানদের বদলী করা হয়েছিলো(শাস্তি মূলক)।
এ কথাটি যদি বাংলাদেশের খেলোয়ারদের মাথায় থাকে তবে কিন্তু বিজয়ের টনিক উল্টা কাজ করতে পারে....
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×