somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কার্ড বৃত্তান্ত

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই অভাগা/ দুর্ভাগা গতকাল একটা শুভ কাজ সম্পন্ন করিয়াছি, যেহেতু শুভকাজ সম্পন্ন করিয়াছি,তাই নিজেকে আর অভাগা বলিয়া আপনাদেরকে কষ্ট দিতে চাই না।

সে যাহাই হউক, আমার শুভকর্মের বৃত্তান্ত কই।

আমার একখান সোনালী রঙের অতীব সুন্দর কার্ড ছিল, হিমু ভক্তরা উহা দেখিলেই বলিতে পারেন, এই কার্ড এর ঈশ্বর হিমু ও একমাত্র হিমু; বড়ই ভয়ে ছিলাম, কবে কোনদিন এই ঈশ্বরভক্তদের হাতে পড়ি।

না, তিনি বড়ই দয়ালু, বইয়ের পাতা হইতে মর্ত্যে নামিয়া আসিয়া নিজের অধিকার খাটাতে চান নাই, উহাতে তাহার প্রতি আমার অসীম কৃতজ্ঞতা।

না! সত্য আমাকে বলতে ই হবে, নইলে আরশ ফাটিয়া দুই বা ততোধিক ভাগ হইয়া যাইবে, এই কার্ডের উপর আমার বেগমের কোনও নজর ই ছিল না, তাই বলে তাকে আপনারা অন্ধ ভাবিবেন না, তিনি সুদুরদর্শিনী, আমি যে আজ ইহা লিখিব, তিনি উহা ও জানিতেন।

নারী কোটায় নবুয়্যতির সুবিধা থাকিলে আমিই সর্বাগ্রে তাহার উপর ঈমান আনিতাম।

যাহা ই হউক (২), আমি উক্ত বরকতময় কার্ডখানা বন্ধ করিবার নিমিত্তে সেই সুমহান ব্যাংকের আরও সুমহান কাস্টোমার কেয়ার এ এইদেশের একমাত্র এলিট মোবাইল অপারেটর গিপি এর শতবর্ষী পুরাতন একখানা পোস্টপেইড নম্বর থেকে কল করিয়া কৃতজ্ঞ হইলাম।

যান্ত্রিক কোমল ও সুললিত নারী কন্ঠের নির্দেশনায় মত মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলিবার জন্য মুঠোফোনের পর্দায় ১ চাপিলাম, অতঃপর, আর ও কিছু নির্দেশনা পাইয়া হাজির হইল সেই মোহনীয়ক্ষণ, যখন আমাকে ০ চাপিবার জন্য বলা হইল।

আমি আনন্দে আত্মহারা হইয়া গ্যালাম, এ যেন কোন ছোটখাট অর্জন নয়, চোখে জল আসিয়া পড়িল, আবেগে, কন্ঠ রুদ্ধ হইয়া গেল সবেগে।

আমার বিস্ময়ের সীমা রহিল না, সেই, সেই সুললিত নারী কন্ঠ, যেন বীনা বাজে; স্বীকার করিতে আজ কুন্ঠা নাই, যাহার কন্ঠ শুনিতে বেগমের কন্ঠের হইতে ও অধিক মায়াময়, আধিক ভালোবাসাময়, অধিক প্রেমময়, ততোধিক কেয়ারিং, ও কামময় মনে হয়, শুধুমাত্র যাহার কন্ঠ শুনিবার নিমিত্তে হাজার ও পুরুষ এই দুর্মুল্যের বাজারে অতীব কষ্টে অর্জিত ঘুস ও অন্যায়ভাবে অর্জিত টাকা (ভাবিবেন না,উহা খুব সহজ কাজ) ব্যয় করিয়া ১৬৪২০ নম্বরে কল করিয়া থাকে, এই সেই কন্ঠ যাহা শুনিবার নিমিত্তে আমার এত দীর্ঘ অপেক্ষা; অবশেষে আমার প্রতীক্ষার অবসান হইল, যে প্রতীক্ষা বাঙালির বিছানার ধৈর্য্য হইতে উত্তম, যাহা শান্তিকামি মানুষের অতিসংবেদন নুনুভূতির হইতে ও সংবেদনশীল।

অবশেষে আমি পাইলাম, উহাকে পাইলাম।

তিনি মধুভরা কন্ঠে জিজ্ঞেস করিলেন, "আপনার জন্য আমি কি করিতে পারি?" আহ! এত দরদ, এত মায়া, মনে পড়ে গেল, বনলতা সেনকে, জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলুম, "এতদিন কোথায় ছিলে?" বাট হঠাৎ করে এক বয়োজ্যেষ্ঠ ভ্রাতার কথা মনে পড়িল, তিনি বলেছিলেন, বনলতা সেন একজন পতিতা।

ছ্যাঃ ছ্যাঃ পতিতা!
পরক্ষণেই মনে পড়িল, আমাদের জন্য পতিতা হারাম হইতে পারে, বাট উহার বক্ষ, উরু, জংঘা আর মাংস হারাম নহে, উহা গনিমতের মাল বটে।

যাহা ই হউক, অতঃপর আমি আর ধরিয়া রাখিতে পারিলাম না।

দুষ্ট লোকেরা দুষ্ট কথা ভাববে।

পানি ধরিয়া রাখিতে পারিলাম না।

যাহা হউক, কিছু কথা থাক না গোপন,
যদি কখনো লিখি আত্মজীবন
তাহার প্রনয়ের কথা না হয় লিখিব তখন
হৃদয় মন্দিরে সযতনে সে না হয় থাক ততক্ষণ।

অবশেষে আমি গতকাল আমার উক্ত কার্ডের সকল বকেয়া পরিশোধ করতঃ উহা বন্ধ করিবার রিকোয়েস্ট পাঠাইয়া ধন্য হইয়াছি, আর আপাতত আপনারা যারা এই কাব্য পড়িয়াছেন তাহারা অত্যাচারের হাত হইতে রক্ষা পাইলেন।

(পরবর্তী পার্ট আসন্ন)

এই অভাগা/ দুর্ভাগা গতকাল একটা শুভ কাজ সম্পন্ন করিয়াছি, যেহেতু শুভকাজ সম্পন্ন করিয়াছি,তাই নিজেকে আর অভাগা বলিয়া আপনাদেরকে কষ্ট দিতে চাই না।

সে যাহাই হউক, আমার শুভকর্মের বৃত্তান্ত কই।

আমার একখান সোনালী রঙের অতীব সুন্দর কার্ড ছিল, হিমু ভক্তরা উহা দেখিলেই বলিতে পারেন, এই কার্ড এর ঈশ্বর হিমু ও একমাত্র হিমু; বড়ই ভয়ে ছিলাম, কবে কোনদিন এই ঈশ্বরভক্তদের হাতে পড়ি।

না, তিনি বড়ই দয়ালু, বইয়ের পাতা হইতে মর্ত্যে নামিয়া আসিয়া নিজের অধিকার খাটাতে চান নাই, উহাতে তাহার প্রতি আমার অসীম কৃতজ্ঞতা।

না! সত্য আমাকে বলতে ই হবে, নইলে আরশ ফাটিয়া দুই বা ততোধিক ভাগ হইয়া যাইবে, এই কার্ডের উপর আমার বেগমের কোনও নজর ই ছিল না, তাই বলে তাকে আপনারা অন্ধ ভাবিবেন না, তিনি সুদুরদর্শিনী, আমি যে আজ ইহা লিখিব, তিনি উহা ও জানিতেন।

নারী কোটায় নবুয়্যতির সুবিধা থাকিলে আমিই সর্বাগ্রে তাহার উপর ঈমান আনিতাম।

যাহা ই হউক (২), আমি উক্ত বরকতময় কার্ডখানা বন্ধ করিবার নিমিত্তে সেই সুমহান ব্যাংকের আরও সুমহান কাস্টোমার কেয়ার এ এইদেশের একমাত্র এলিট মোবাইল অপারেটর গিপি এর শতবর্ষী পুরাতন একখানা পোস্টপেইড নম্বর থেকে কল করিয়া কৃতজ্ঞ হইলাম।

যান্ত্রিক কোমল ও সুললিত নারী কন্ঠের নির্দেশনায় মত মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলিবার জন্য মুঠোফোনের পর্দায় ১ চাপিলাম, অতঃপর, আর ও কিছু নির্দেশনা পাইয়া হাজির হইল সেই মোহনীয়ক্ষণ, যখন আমাকে ০ চাপিবার জন্য বলা হইল।

আমি আনন্দে আত্মহারা হইয়া গ্যালাম, এ যেন কোন ছোটখাট অর্জন নয়, চোখে জল আসিয়া পড়িল, আবেগে, কন্ঠ রুদ্ধ হইয়া গেল সবেগে।

আমার বিস্ময়ের সীমা রহিল না, সেই, সেই সুললিত নারী কন্ঠ, যেন বীনা বাজে; স্বীকার করিতে আজ কুন্ঠা নাই, যাহার কন্ঠ শুনিতে বেগমের কন্ঠের হইতে ও অধিক মায়াময়, আধিক ভালোবাসাময়, অধিক প্রেমময়, ততোধিক কেয়ারিং, ও কামময় মনে হয়, শুধুমাত্র যাহার কন্ঠ শুনিবার নিমিত্তে হাজার ও পুরুষ এই দুর্মুল্যের বাজারে অতীব কষ্টে অর্জিত ঘুস ও অন্যায়ভাবে অর্জিত টাকা (ভাবিবেন না,উহা খুব সহজ কাজ) ব্যয় করিয়া ১৬৪২০ নম্বরে কল করিয়া থাকে, এই সেই কন্ঠ যাহা শুনিবার নিমিত্তে আমার এত দীর্ঘ অপেক্ষা; অবশেষে আমার প্রতীক্ষার অবসান হইল, যে প্রতীক্ষা বাঙালির বিছানার ধৈর্য্য হইতে উত্তম, যাহা শান্তিকামি মানুষের অতিসংবেদন নুনুভূতির হইতে ও সংবেদনশীল।

অবশেষে আমি পাইলাম, উহাকে পাইলাম।

তিনি মধুভরা কন্ঠে জিজ্ঞেস করিলেন, "আপনার জন্য আমি কি করিতে পারি?" আহ! এত দরদ, এত মায়া, মনে পড়ে গেল, বনলতা সেনকে, জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলুম, "এতদিন কোথায় ছিলে?" বাট হঠাৎ করে এক বয়োজ্যেষ্ঠ ভ্রাতার কথা মনে পড়িল, তিনি বলেছিলেন, বনলতা সেন একজন পতিতা।

ছ্যাঃ ছ্যাঃ পতিতা!
পরক্ষণেই মনে পড়িল, আমাদের জন্য পতিতা হারাম হইতে পারে, বাট উহার বক্ষ, উরু, জংঘা আর মাংস হারাম নহে, উহা গনিমতের মাল বটে।

যাহা ই হউক, অতঃপর আমি আর ধরিয়া রাখিতে পারিলাম না।

দুষ্ট লোকেরা দুষ্ট কথা ভাববে।

পানি ধরিয়া রাখিতে পারিলাম না।

যাহা হউক, কিছু কথা থাক না গোপন,
যদি কখনো লিখি আত্মজীবন
তাহার প্রনয়ের কথা না হয় লিখিব তখন
হৃদয় মন্দিরে সযতনে সে না হয় থাক ততক্ষণ।

অবশেষে আমি গতকাল আমার উক্ত কার্ডের সকল বকেয়া পরিশোধ করতঃ উহা বন্ধ করিবার রিকোয়েস্ট পাঠাইয়া ধন্য হইয়াছি, আর আপাতত আপনারা যারা এই কাব্য পড়িয়াছেন তাহারা অত্যাচারের হাত হইতে রক্ষা পাইলেন।

(পরবর্তী পার্ট আসন্ন)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×