somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্ডেমনিটি

১৭ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে বলা হয় মোস্ট আনপ্রেডিক্টেবল!

আনপ্রেডিক্টেবল দল বলতে বোঝানো হয়, এদের বিষয়ে কোনওরুপ নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না, নিশ্চিতভাবে জেতা ম্যাচ ও এই দল হেরে যেতে পারে আবার নিশ্চিতভাবে হারা ম্যাচ ও জিততে পারে।

দঃ আফ্রিকাকে বলা হয় চোকার, মানে এই দলটা বিগ ম্যাচে চাপের মুখে ভেঙে পরে।

এই চোকার এবং আনপ্রেডিক্টেবল এর মাঝে সূক্ষ্ম ১টা রেখা আছে, পার্থক্যটা যৎসামান্য, সেদিকটায় এবেলা আর না যাই।

ক্রীড়াংগনে মোটামুটিভাবে এই দুইটা দলের সাথে এই টার্ম দুটো লেগে গেছে, এবং এইটা বেশ প্রতিষ্ঠিত একটা বিষয় ও বটে।

এই যে "আনপ্রেডিক্টেবল" হয়ে ওঠা, এইটা ১টা খুব রকম বাজে প্রাক্টিস।
কাউকে "আনপ্রেডিক্টেবল" সার্টিফিকেট দেয়ার মানে হচ্ছে, তাকে ইন্ডেমনিটি দেয়া বা তার এই অনিশ্চয়তাকে সামহাউ রিকগনাইজ করা বা স্থুলভাবে গ্লোরিফাই করা।

আপনি যখন কাউকে এভাবে ইন্ডেমনিটি দিবেন, সে চাইলে এর অপব্যবহার করতে পারে, সে ইচ্ছে করেই এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারে, ও ফাকে অনৈতিক কিছু করে বসতে পারে।

যার উদাহরণ স্পষ্টতই পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
এবং পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা যে এর সদ্বব্যবহার করে নি সে কথা এই দলটার ঘোর সমর্থক ও বলতে পারবে না। (৯৯ এর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জয় ও নাকি ডন দাউদ ভাইয়ের বদান্যতা)। Click This Link

ক্রিকেট জুয়ার ইতিহাসে পাকিস্তান একটা আলাদা চাপ্টার এর ধারক ও বাহক উইথ ডিউ প্রাইড।

অবশ্য সাউথ আফ্রিকার হ্যান্সি ক্রনিয়ে বাদে অন্য কোনও নাম সেভাবে আসে নাই।

অবশ্য আমার এখানে আলোচ্য বিষয় ক্রিকেট জুয়া না, তবু যখন ক্রিকেট নিয়ে কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স নিয়ে খানিক কথা না বলা সমিচীন মনে হচ্ছে না।

উদাহরণ স্বরুপ টিটুয়েন্টি ম্যাচ এর কথা বলা যায়।
বর্তমান ক্যাপ্টেনকে মোটামুটিভাবে দেশের ক্রীড়ানুরাগীরা অথর্ব, অচল ও বাতিল এর খাতায় ফেলে দিয়েছে (অথচ, বিপিএল এ এই সেম ক্যাপ্টেনের বেশ কিছু ম্যাচ দেখেছি, যেখানে সে খুবই লো স্কোরিং ম্যাচ জিতে এসেছে।) তার বিরুদ্ধে বড় ১ টা অভিযোগ, সে বাই বুক ক্যাপ্টেন্সি করে আর এ কারণেই দল এগিয়ে থেকে ও হেরে যায়। আমার ধারণা এটা ক্যাপ্টেন এর ও অজানা থাকার কথা না, এবং আপনারা এইভাবে ই তাকে ইন্ডেমনিটি দিয়ে দিলেন।

উদাহরনের স্বার্থে বা যুক্তির খাতিরে ধরুন, সে ম্যাচটা ফিক্সিং করল ও হেরে গেল, আপনারা ই বলবেন, “ আগেই কইছিলাম/ জানতাম"। সে যদি আপনার এই জ্ঞানটাকে এনক্যাস করতে চায়, নো ওয়ান উইল সাসপেক্ট।

এইরকম একটা সেম প্যাটার্ন পরিবার ও সমাজে অহরহ দেখা যায়ঃ
পরিবারের ক্ষেত্রে অনেকটা এইরকম, পরিবারের ১ সন্তান একটু ঘাড়ত্যাড়া, সো ঝামেলা এড়াতে তার অনেক অন্যায় আবদার ও মেনে নেয়া হয়, এর সবথেকে বড় ভুক্তভোগী হয় ওই ব্যক্তির স্বামী/ স্ত্রী। সবাই বেচারা/ বেচারীকে ই পরামর্শ দেয় "মানিয়ে নেয়ার জন্য"।

অর্থাৎ এখানে ও উক্ত ঘাড়ত্যরা ব্যক্তিকে ইন্ডেমনিটি দেয়া হয়েছে ও সে তার পূর্ণ স্বদ্বব্যবহার করছে।

স্থানীয় বাজারে খেয়াল করবেন, পাগল বেশে কিছু মানুষ ঘুরে বেড়ায়, এদের মধ্যে দুই ১জন এইরকম হয়, যখন তখন যারে তারে হামলা করে বসে, এই পাগল ও বিষয়টা জানে, ওরে ইন্ডেমনিটি দেয়া হইছে!

সমাজ বিজ্ঞান বা চিকিৎসা বিজ্ঞান এর কোনও নাম দিয়েছে বোধহয়, আমার জানা নেই যদিও, নামকরণ না করে থাকলে ১ টা নাম দিয়ে দিবনে।

এই যে ধরেন দেশে একটা গোষ্টী দুই দিন পর পর অন্য আরেকটা গোষ্টীর উপর হামলা চালাচ্ছে (রাজনৈতিক গ্রুপ ও উপগ্রুপের দলাদলি), ব্যাপার হচ্ছে তারা জানে তাদের ইন্ডেমনিটি দেয়া আছে; তারা যেটা জানেনা, সেটা হচ্ছে, অন্য কেউ এই সেম ইন্ডেমনিটি তার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য দিন গুনছে, সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছে, ১ম ধাপ চলছে, ২য় বা ৩য় ধাপে তার পালা ই আসছে।

লেখার মূল প্রসংগ হচ্ছে, কাউকেই, সে যে ই হোক, ক্রিকেটার বা পিকেটার কাউকেই ইন্ডেম্নিটি দেয়া যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×